Dhaka রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশের দিকে কেউ হাত বাড়ালে সে হাত ভেঙে দেবো : আবদুল হান্নান

নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি : 

দেশের দিকে কেউ হাত বাড়ালে সে হাত ভেঙে দেবো মন্তব্য করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। অপরাধীর চোখের দিকে তাকিয়ে তাকে অপরাধী বলতে হবে। আমাদের দেশের মাটির প্রতি কোনো দেশ যদি হাত বাড়ায় সে হাত আমরা ভেঙে দেবো।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকালে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার পরিষদ মাঠে স্থানীয়দের উদ্যোগে আয়োজিত ঐক্য ও সংহতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, ভারত তার এজেন্ট শেখ হাসিনাকে মসনদে বসিয়ে দেশকে ধ্বংস করেছে। শুধু দেশকে ধ্বংস করে শেষ হয় নাই। দিল্লিতে বসে এখনও বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। তার এ স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে। সে এজেন্টকে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে।

তিনি আরও বলেন, দিল্লিতে বসে যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে সে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। যে দেশে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান একসঙ্গে বসে খায়, একসঙ্গে স্লোগান ধরে সে দেশ কখনও সাম্প্রদায়িক হতে দেশ হতে পারে না।

আবদুল হান্নান মাসউদ বলেন, অতীতের ফ্যাসিস্ট কায়দায় সন্ত্রাস-চাঁদাবাজিসহ শোষণ চলছে। নতুন বাংলাদেশে আর কোনো শোষণ চলবে না। অচিরে এ অনিয়ম বন্ধ করতে হবে। তা না হলে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সুফল জনগণ পাবে না।

মাসউদ বলেন, ড. ইউনূস আমাদের যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন, সে স্বপ্ন আমরা নিজেরাও দেখবো। যেখানে চাঁদাবাজি-সন্ত্রাস থাকবে না। নির্ভয়ে পথ চলতে পারবো। আর অনিয়ম যেখানে থাকবে সেখানে প্রতিরোধ গড়ে তুলবো।

তিনি বলেন, আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই। যেখানে দলমত নির্বিশেষ সবাই একসঙ্গে রাজনীতি করবে। যে বাংলাদেশে বিএনপি, জামায়াত, ডান দল বাম দল সবই থাকবে। সাধারণ মানুষ নির্বিঘ্নে পথ চলবে। কোথাও কোনো বাধা থাকবে না।

তিনি বলেন, অপরাধীর পরিচয় অপরাধী। যে অপরাধ করে তার চোখের দিকে তাকালে তা বোঝা যায়। এক্ষেত্রে আমিও যদি কোনো ভুল করে থাকি, আমার চোখের দিকে তাকিয়ে অকপটে তা বলতে হবে যে-আপনি ভুল করছেন। তা না হলে আমি নিজেই তো ফ্যাসিস্ট হয়ে যাবো।

জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের কথা স্মরণ করতে গিয়ে তিনি হাতিয়াবাসীর উদ্দেশে বলেন, এখানে বৈষম্যবিরোধী লড়াই এখনও শেষ হয়নি। এখানে বৈষম্যবিরোধী লড়াই হয় নাই বলে দ্বীপবাসী এখনও এর তাৎপর্য বুঝতে পারেনি।

আবদুল হান্নান মাসউদ বলেন, দ্বীপ হাতিয়ায় সন্ত্রাসের গডফাদার মোহাম্মদ আলীকে দিয়ে শাসন করাতো শেখ হাসিনা। আর মোহাম্মদ আলী করতো শোষণ। তার নির্দেশ ছাড়া এখানে একটি গাছের পাতাও নড়তো না। তার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কথা বলায় বহু লোকও হত্যা করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এ দ্বীপে কারো কথা বলার স্বাধীনতা ছিল না। কেউ ফেসবুকে পোস্ট দিলে বাধার সৃষ্টি করা হতো। বিএনপির অনুষ্ঠানে যেতে চাইলে হাঁটু ভেঙে দেওয়া হতো। আমি শুনেছি এখনো কেউ নাকি এসব করেন। তাহলে তো আপনারাই মোহাম্মদ আলীর উত্তরসূরি। আমরা আর অতীতে ফেরত যেতে চাই না।

এসময় হাতিয়া উপজেলা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আবহাওয়া

সংস্কারের অভাবে সড়কের বেহাল দশা, ভোগান্তিতে হাজারো মানুষ

দেশের দিকে কেউ হাত বাড়ালে সে হাত ভেঙে দেবো : আবদুল হান্নান

প্রকাশের সময় : ০৯:১৪:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি : 

দেশের দিকে কেউ হাত বাড়ালে সে হাত ভেঙে দেবো মন্তব্য করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। অপরাধীর চোখের দিকে তাকিয়ে তাকে অপরাধী বলতে হবে। আমাদের দেশের মাটির প্রতি কোনো দেশ যদি হাত বাড়ায় সে হাত আমরা ভেঙে দেবো।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকালে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার পরিষদ মাঠে স্থানীয়দের উদ্যোগে আয়োজিত ঐক্য ও সংহতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, ভারত তার এজেন্ট শেখ হাসিনাকে মসনদে বসিয়ে দেশকে ধ্বংস করেছে। শুধু দেশকে ধ্বংস করে শেষ হয় নাই। দিল্লিতে বসে এখনও বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। তার এ স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে। সে এজেন্টকে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে।

তিনি আরও বলেন, দিল্লিতে বসে যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে সে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। যে দেশে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান একসঙ্গে বসে খায়, একসঙ্গে স্লোগান ধরে সে দেশ কখনও সাম্প্রদায়িক হতে দেশ হতে পারে না।

আবদুল হান্নান মাসউদ বলেন, অতীতের ফ্যাসিস্ট কায়দায় সন্ত্রাস-চাঁদাবাজিসহ শোষণ চলছে। নতুন বাংলাদেশে আর কোনো শোষণ চলবে না। অচিরে এ অনিয়ম বন্ধ করতে হবে। তা না হলে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সুফল জনগণ পাবে না।

মাসউদ বলেন, ড. ইউনূস আমাদের যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন, সে স্বপ্ন আমরা নিজেরাও দেখবো। যেখানে চাঁদাবাজি-সন্ত্রাস থাকবে না। নির্ভয়ে পথ চলতে পারবো। আর অনিয়ম যেখানে থাকবে সেখানে প্রতিরোধ গড়ে তুলবো।

তিনি বলেন, আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই। যেখানে দলমত নির্বিশেষ সবাই একসঙ্গে রাজনীতি করবে। যে বাংলাদেশে বিএনপি, জামায়াত, ডান দল বাম দল সবই থাকবে। সাধারণ মানুষ নির্বিঘ্নে পথ চলবে। কোথাও কোনো বাধা থাকবে না।

তিনি বলেন, অপরাধীর পরিচয় অপরাধী। যে অপরাধ করে তার চোখের দিকে তাকালে তা বোঝা যায়। এক্ষেত্রে আমিও যদি কোনো ভুল করে থাকি, আমার চোখের দিকে তাকিয়ে অকপটে তা বলতে হবে যে-আপনি ভুল করছেন। তা না হলে আমি নিজেই তো ফ্যাসিস্ট হয়ে যাবো।

জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের কথা স্মরণ করতে গিয়ে তিনি হাতিয়াবাসীর উদ্দেশে বলেন, এখানে বৈষম্যবিরোধী লড়াই এখনও শেষ হয়নি। এখানে বৈষম্যবিরোধী লড়াই হয় নাই বলে দ্বীপবাসী এখনও এর তাৎপর্য বুঝতে পারেনি।

আবদুল হান্নান মাসউদ বলেন, দ্বীপ হাতিয়ায় সন্ত্রাসের গডফাদার মোহাম্মদ আলীকে দিয়ে শাসন করাতো শেখ হাসিনা। আর মোহাম্মদ আলী করতো শোষণ। তার নির্দেশ ছাড়া এখানে একটি গাছের পাতাও নড়তো না। তার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কথা বলায় বহু লোকও হত্যা করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এ দ্বীপে কারো কথা বলার স্বাধীনতা ছিল না। কেউ ফেসবুকে পোস্ট দিলে বাধার সৃষ্টি করা হতো। বিএনপির অনুষ্ঠানে যেতে চাইলে হাঁটু ভেঙে দেওয়া হতো। আমি শুনেছি এখনো কেউ নাকি এসব করেন। তাহলে তো আপনারাই মোহাম্মদ আলীর উত্তরসূরি। আমরা আর অতীতে ফেরত যেতে চাই না।

এসময় হাতিয়া উপজেলা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।