Dhaka সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশের জনগণ এই সরকারকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে : মঈন খান

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, দেশের জনগণ এই সরকারকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা গায়ের জোরে, পুলিশ দিয়ে, রাষ্ট্রীয় শক্তি দিয়ে যে নির্বাচন করেছে জনগণ তা চায়নি। এজন্য সাধারণ মানুষ নির্বাচন বর্জন করেছে।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কালো পতাকা মিছিলের আগে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ হুংকার দেন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বাতিল, খালেদা জিয়াসহ গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তির এক দফা দাবিতে এই কালো পতাকা মিছিলের আয়োজন করে বিএনপি।

তিনি বলেন, আমরা জনগণকে নিয়ে রাজনীতি করি, ক্ষমতার জন্য বিএনপি রাজনীতি করে না। বিএনপি একদলীয় শাসনের পরিবর্তন চায় একটিমাত্র কারণে, বাংলাদেশের মানুষ কখনো একদলীয় শাসন বরদাস্ত করেনি, করবে না। তারা দেশকে বিভাজন করছে, তারা প্রতিহিংসার রাজনীতি সৃষ্টি করেছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, বিএনপি দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেশের শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তন চায়। কারণ এই দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিল দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে। জনগণ কখনোই বাকশালী শাসন মানেনি এবং মানবে না।

আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তারা প্রতিহিংসার রাজনীতি সৃষ্টি করেছে, দেশকে বিভাজন করেছে। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো। সরকারের বিদায় ঘণ্টা বাজাতে মাঠে নেমেছে বিএনপি।

বাংলাদেশ দিল্লির শাসনে চলতে পারে না বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল কারো কাছে মাথা নত করতে নয়। দিল্লির শাসন দিয়ে কোনোদিন বাংলাদেশ চলেনি। আজকেও দেশের জনগণ আওয়ামী লীগকে প্রত্যাখ্যান করেছে। আওয়ামী লীগ ঔপনিবেশিক প্রক্রিয়ায় দেশ শাসন করছে। তারা দেশে বিভাজন তৈরি করেছে।

মঈন খান বলেন, আমরা অবৈধ, অগণতান্ত্রিক সরকারের পদত্যাগ ঘটাতে রাজপথে নেমেছি। গত ৭ জানুয়ারি দেশের জনগণ এই সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে। সেদিন সরকারের নৈতিক পরাজয় হয়েছে। তারা সেদিন পুলিশ দিয়ে, গায়ের জোরে রাষ্ট্রীয় শক্তি ব্যবহার করে নির্বাচন করেছে। সরকার যত শতাংশ ভোট দেখাতে চেয়েছিলে সেই মোতাবেক নির্বাচন কমিশন ভোট কাস্টিং দেখিয়েছে। সুতরাং কত শতাংশ ভোট পড়েছে সেটি কথা নয়। সেদিন আসলে কোনো ভোট হয়নি।

বিএনপি গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাসী উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সুমতি ফিরে আসুক যে তারা বাকশাল থেকে পিছু হটবে। আমরা তারেক রহমানের নেতৃত্বে রাজপথে ছিলাম এখনো আছি এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

মিছিলে বিএনপির কেন্দ্রীয়, মহানগর ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীসহ উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কবির রিজভী, প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, শিরিন সুলতানা, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, তাইফুল ইসলাম টিপু, কাজী রওনকুল ইসলাম টিপু, বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, আমিরুজ্জামান খান প্রমুখ।

আবহাওয়া

সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি তরুণীর পা বিচ্ছিন্ন

দেশের জনগণ এই সরকারকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে : মঈন খান

প্রকাশের সময় : ০৭:৪৮:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, দেশের জনগণ এই সরকারকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা গায়ের জোরে, পুলিশ দিয়ে, রাষ্ট্রীয় শক্তি দিয়ে যে নির্বাচন করেছে জনগণ তা চায়নি। এজন্য সাধারণ মানুষ নির্বাচন বর্জন করেছে।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কালো পতাকা মিছিলের আগে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ হুংকার দেন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বাতিল, খালেদা জিয়াসহ গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তির এক দফা দাবিতে এই কালো পতাকা মিছিলের আয়োজন করে বিএনপি।

তিনি বলেন, আমরা জনগণকে নিয়ে রাজনীতি করি, ক্ষমতার জন্য বিএনপি রাজনীতি করে না। বিএনপি একদলীয় শাসনের পরিবর্তন চায় একটিমাত্র কারণে, বাংলাদেশের মানুষ কখনো একদলীয় শাসন বরদাস্ত করেনি, করবে না। তারা দেশকে বিভাজন করছে, তারা প্রতিহিংসার রাজনীতি সৃষ্টি করেছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, বিএনপি দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেশের শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তন চায়। কারণ এই দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিল দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে। জনগণ কখনোই বাকশালী শাসন মানেনি এবং মানবে না।

আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তারা প্রতিহিংসার রাজনীতি সৃষ্টি করেছে, দেশকে বিভাজন করেছে। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো। সরকারের বিদায় ঘণ্টা বাজাতে মাঠে নেমেছে বিএনপি।

বাংলাদেশ দিল্লির শাসনে চলতে পারে না বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল কারো কাছে মাথা নত করতে নয়। দিল্লির শাসন দিয়ে কোনোদিন বাংলাদেশ চলেনি। আজকেও দেশের জনগণ আওয়ামী লীগকে প্রত্যাখ্যান করেছে। আওয়ামী লীগ ঔপনিবেশিক প্রক্রিয়ায় দেশ শাসন করছে। তারা দেশে বিভাজন তৈরি করেছে।

মঈন খান বলেন, আমরা অবৈধ, অগণতান্ত্রিক সরকারের পদত্যাগ ঘটাতে রাজপথে নেমেছি। গত ৭ জানুয়ারি দেশের জনগণ এই সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে। সেদিন সরকারের নৈতিক পরাজয় হয়েছে। তারা সেদিন পুলিশ দিয়ে, গায়ের জোরে রাষ্ট্রীয় শক্তি ব্যবহার করে নির্বাচন করেছে। সরকার যত শতাংশ ভোট দেখাতে চেয়েছিলে সেই মোতাবেক নির্বাচন কমিশন ভোট কাস্টিং দেখিয়েছে। সুতরাং কত শতাংশ ভোট পড়েছে সেটি কথা নয়। সেদিন আসলে কোনো ভোট হয়নি।

বিএনপি গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাসী উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সুমতি ফিরে আসুক যে তারা বাকশাল থেকে পিছু হটবে। আমরা তারেক রহমানের নেতৃত্বে রাজপথে ছিলাম এখনো আছি এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

মিছিলে বিএনপির কেন্দ্রীয়, মহানগর ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীসহ উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কবির রিজভী, প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, শিরিন সুলতানা, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, তাইফুল ইসলাম টিপু, কাজী রওনকুল ইসলাম টিপু, বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, আমিরুজ্জামান খান প্রমুখ।