Dhaka বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশের গণতন্ত্র কঠিন চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করছে : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশের গণতন্ত্র কঠিন চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শহীদ নূর হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা সবার সামনেই পরিষ্কার। দেশের গণতন্ত্র কঠিন চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করছে। যে চ্যালেঞ্জটা এসেছে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, জঙ্গিবাদী শক্তি ও গণতন্ত্রবিরোধী শক্তির কাছ থেকে। এর আগেও তারা গণতন্ত্রে আঘাত এনেছে।

তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের লড়াই চলছে। এটি চলমান থাকবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, তারাই (বিএনপি) আজকে গণতন্ত্রের নামে আন্দোলন করছে। সেই আন্দোলনের ব্যর্থতার একপর্যায়ে অগ্নিসন্ত্রাস ও সন্ত্রাসী তৎপরতা চালাচ্ছে। তারা এখন আগুন দিয়ে বাস পোড়ানো, পরিবহন পোড়ানো ও আগুন সন্ত্রাসের মতো অপতৎপরতা চালাচ্ছে। তারা সেই ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালের মতো নির্বাচনকে সামনে রেখে এসব অপতৎপরতার পুনরাবৃত্তি ঘটাচ্ছে। আসলে এরা গণতন্ত্র চায় না। এরা নির্বাচন চায় না। আজকে তারা যে আন্দোলন করছে, সেই আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততার অভাব।

তিনি বলেন, আন্দোলনের ব্যর্থতাকে তারা চোরাগোপ্তার দিকে নিয়ে গেছে। চোরাগোপ্তা আন্দোলন চালিয়ে তারা বর্তমান সরকার এবং শেখ হাসিনাকে হঠাতে চায়। এর মাধ্যমে তারা নির্বাচন বানচাল করতে চায় এটাই হচ্ছে বিএনপির নেতৃত্বে বিরোধীদলের আন্দোলনের প্রধান লক্ষ্য।

শহীদ নুর হোসেনকে নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’ এই স্লোগান নূর হোসেন বুকে ও পিঠে লিখে রাজপথের কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন। নূর হোসেনের রক্ত গণতন্ত্রকে শিকলমুক্ত করার লড়াইয়ে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। এটা ছিল অনেকটা টার্নিং পয়েন্টের মতো। আজকের দিনে অনেক বাধা বিপত্তি ও চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা আমাদের দেশে অব্যাহত রয়েছে। গণতন্ত্রকে শিকলমুক্ত করতে আমাদের দেশে স্বৈরাচারবিরোধী সংগ্রামে আপসহীন সংগ্রামের ভূমিকা পালন করেছিলেন আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা।

সেতুমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীতে গণতন্ত্র নিয়ে যত কথাই বলুক, গণতন্ত্র কোথাও পারফেক্ট নয়। গণতন্ত্রের ত্রুটি আছে। বিশ্বের গণতান্ত্রিক বড় বড় শক্তিগুলো, যারা নিজেদেরকে গণতন্ত্র মানবাধিকারের প্রবক্তা ভাবেন… তাদের গণতন্ত্রেও অনেক ত্রুটি লক্ষ্য করা যায়। আমরা আমাদের দেশে গণতন্ত্রকে অনেকটা ত্রুটিমুক্ত করেছি।

আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর শহীদ নূর হোসেনের সংগঠন আওয়ামী যুবলীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

এসময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, প্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক আব্দুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক আব্দুস সবুর, সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাপা, উপ-দপ্তর সায়েম খান এবং উপ-প্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

দেশের গণতন্ত্র কঠিন চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করছে : কাদের

প্রকাশের সময় : ১২:০৭:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশের গণতন্ত্র কঠিন চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শহীদ নূর হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা সবার সামনেই পরিষ্কার। দেশের গণতন্ত্র কঠিন চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করছে। যে চ্যালেঞ্জটা এসেছে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, জঙ্গিবাদী শক্তি ও গণতন্ত্রবিরোধী শক্তির কাছ থেকে। এর আগেও তারা গণতন্ত্রে আঘাত এনেছে।

তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের লড়াই চলছে। এটি চলমান থাকবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, তারাই (বিএনপি) আজকে গণতন্ত্রের নামে আন্দোলন করছে। সেই আন্দোলনের ব্যর্থতার একপর্যায়ে অগ্নিসন্ত্রাস ও সন্ত্রাসী তৎপরতা চালাচ্ছে। তারা এখন আগুন দিয়ে বাস পোড়ানো, পরিবহন পোড়ানো ও আগুন সন্ত্রাসের মতো অপতৎপরতা চালাচ্ছে। তারা সেই ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালের মতো নির্বাচনকে সামনে রেখে এসব অপতৎপরতার পুনরাবৃত্তি ঘটাচ্ছে। আসলে এরা গণতন্ত্র চায় না। এরা নির্বাচন চায় না। আজকে তারা যে আন্দোলন করছে, সেই আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততার অভাব।

তিনি বলেন, আন্দোলনের ব্যর্থতাকে তারা চোরাগোপ্তার দিকে নিয়ে গেছে। চোরাগোপ্তা আন্দোলন চালিয়ে তারা বর্তমান সরকার এবং শেখ হাসিনাকে হঠাতে চায়। এর মাধ্যমে তারা নির্বাচন বানচাল করতে চায় এটাই হচ্ছে বিএনপির নেতৃত্বে বিরোধীদলের আন্দোলনের প্রধান লক্ষ্য।

শহীদ নুর হোসেনকে নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’ এই স্লোগান নূর হোসেন বুকে ও পিঠে লিখে রাজপথের কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন। নূর হোসেনের রক্ত গণতন্ত্রকে শিকলমুক্ত করার লড়াইয়ে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। এটা ছিল অনেকটা টার্নিং পয়েন্টের মতো। আজকের দিনে অনেক বাধা বিপত্তি ও চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা আমাদের দেশে অব্যাহত রয়েছে। গণতন্ত্রকে শিকলমুক্ত করতে আমাদের দেশে স্বৈরাচারবিরোধী সংগ্রামে আপসহীন সংগ্রামের ভূমিকা পালন করেছিলেন আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা।

সেতুমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীতে গণতন্ত্র নিয়ে যত কথাই বলুক, গণতন্ত্র কোথাও পারফেক্ট নয়। গণতন্ত্রের ত্রুটি আছে। বিশ্বের গণতান্ত্রিক বড় বড় শক্তিগুলো, যারা নিজেদেরকে গণতন্ত্র মানবাধিকারের প্রবক্তা ভাবেন… তাদের গণতন্ত্রেও অনেক ত্রুটি লক্ষ্য করা যায়। আমরা আমাদের দেশে গণতন্ত্রকে অনেকটা ত্রুটিমুক্ত করেছি।

আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর শহীদ নূর হোসেনের সংগঠন আওয়ামী যুবলীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

এসময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, প্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক আব্দুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক আব্দুস সবুর, সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাপা, উপ-দপ্তর সায়েম খান এবং উপ-প্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম উপস্থিত ছিলেন।