Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশের কয়েকটি স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য পাহারায় পুলিশ

  • যোগাযোগ ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৫:৪১:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২০
  • ১৮৭ জন দেখেছেন

বরিশালে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য পাহারা দিচ্ছে পুলিশ

হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য পাহারায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও বরিশালসহ দেশের বেশ কয়েকটি স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য পাহারা দিচ্ছে পুলিশ। কথিত আলেম নামের দুস্কৃতিকারীরা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য যাতে না ভাঙতে পারে সেজন্যই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

আমাদের বরিশাল প্রতিনিধি জানান, শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যে পাহারা বসানো হয়েছে। সোমবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকে তিন পুলিশ সদস্যকে ভাস্কর্যটি পাহারায় নিযুক্ত করা হয়।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম বলেন, বরিশালে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও নজরদারি বাড়ানোসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সদর দফতর নির্দেশনা দিয়েছে।

নির্দেশ মোতাবেক নগরীতে অবস্থিত একমাত্র ভাস্কর্যটির নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পালাক্রমে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা ভাস্কর্যের কাছে পুলিশ অবস্থান করবে বলে জানান ওসি।

আরও পড়ুন : ফয়জুল-মামুনুলের বয়ান শুনে ভাস্কর্য ভাঙচুর

স্বাধীনতার ৪৫ বছর পর ২০১৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর বরিশাল বিভাগে প্রথম বঙ্গবন্ধুর বিশাল ভাস্কর্য স্থাপিত হয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে।

নগরীর সাংবাদিক মাইনুল হাসান সড়কে (আগরপুর রোড) শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবের সামনে প্রায় ১০ ফুট উঁচু বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য। নির্মিত হয়েছে ৭ মার্চের ভাষণের আদলে। পাথর আর সিমেন্টের তৈরি ধবধবে সাদা ভাস্কার্যটি সকলেরই দৃষ্টি কেড়েছে।

বরিশাল প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পুলক চ্যাটার্জী জানান, ভাস্কর্যটি নির্মাণ করেন খুলনার বিশিষ্ট শিল্পী প্রশান্ত দাস। টানা চার মাসব্যাপী কাজ চালিয়ে ভাস্কর্যটি তৈরি করা হয়।

এ ধরনের ভাস্কর্যকে রিয়েলিস্টিক ভাস্কর্য বলা হয়। কাসটিং ঢালাইয়ের তৈরি ভাস্কর্যটির উচ্চতা ৯ ফুট ১১ ইঞ্চি। এ আকৃতির ভাস্কর্য দক্ষিণাঞ্চলে আর নেই। ভাস্কর্যটি কোনও রঙ ব্যবহার করা হয়নি। বর্তমানে যে রঙ আছে তা ভাস্কর্যের নিজস্ব রঙ। এ ধরনের ভাস্কর্য তৈরিতে প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয় হয়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

দেশের কয়েকটি স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য পাহারায় পুলিশ

প্রকাশের সময় : ০৫:৪১:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২০

হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য পাহারায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও বরিশালসহ দেশের বেশ কয়েকটি স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য পাহারা দিচ্ছে পুলিশ। কথিত আলেম নামের দুস্কৃতিকারীরা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য যাতে না ভাঙতে পারে সেজন্যই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

আমাদের বরিশাল প্রতিনিধি জানান, শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যে পাহারা বসানো হয়েছে। সোমবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকে তিন পুলিশ সদস্যকে ভাস্কর্যটি পাহারায় নিযুক্ত করা হয়।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম বলেন, বরিশালে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও নজরদারি বাড়ানোসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সদর দফতর নির্দেশনা দিয়েছে।

নির্দেশ মোতাবেক নগরীতে অবস্থিত একমাত্র ভাস্কর্যটির নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পালাক্রমে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা ভাস্কর্যের কাছে পুলিশ অবস্থান করবে বলে জানান ওসি।

আরও পড়ুন : ফয়জুল-মামুনুলের বয়ান শুনে ভাস্কর্য ভাঙচুর

স্বাধীনতার ৪৫ বছর পর ২০১৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর বরিশাল বিভাগে প্রথম বঙ্গবন্ধুর বিশাল ভাস্কর্য স্থাপিত হয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে।

নগরীর সাংবাদিক মাইনুল হাসান সড়কে (আগরপুর রোড) শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবের সামনে প্রায় ১০ ফুট উঁচু বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য। নির্মিত হয়েছে ৭ মার্চের ভাষণের আদলে। পাথর আর সিমেন্টের তৈরি ধবধবে সাদা ভাস্কার্যটি সকলেরই দৃষ্টি কেড়েছে।

বরিশাল প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পুলক চ্যাটার্জী জানান, ভাস্কর্যটি নির্মাণ করেন খুলনার বিশিষ্ট শিল্পী প্রশান্ত দাস। টানা চার মাসব্যাপী কাজ চালিয়ে ভাস্কর্যটি তৈরি করা হয়।

এ ধরনের ভাস্কর্যকে রিয়েলিস্টিক ভাস্কর্য বলা হয়। কাসটিং ঢালাইয়ের তৈরি ভাস্কর্যটির উচ্চতা ৯ ফুট ১১ ইঞ্চি। এ আকৃতির ভাস্কর্য দক্ষিণাঞ্চলে আর নেই। ভাস্কর্যটি কোনও রঙ ব্যবহার করা হয়নি। বর্তমানে যে রঙ আছে তা ভাস্কর্যের নিজস্ব রঙ। এ ধরনের ভাস্কর্য তৈরিতে প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয় হয়।