বৈশ্বিক পরিস্থিতি ভালো না হলে দেশের অর্থনীতিরও তেমন পরিবর্তন হবে না বলে মনে করেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। আজ শনিবার (১৭ই সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ওভারসিজ করেসপনডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন- ওকাব আয়োজিত মিট দ্য প্রেসে তিনি একথা বলেন।
এসময় বাণিজ্যমন্ত্রী নিত্যপ্রয়োজনীয় ৯টি পণ্যের দাম বেঁধে দেওয়ার দায় কৃষিমন্ত্রীকে দেন। ডলারের বাড়তি দাম ও বিকল্প মুদ্রার ব্যবহার প্রসঙ্গে তিনি জানান, ডলারের পাশাপাশি ইউয়ান ব্যবহার নিয়ে আলোচনা চলছে। দাম সহনীয় রাখতে ভারত থেকে ডিম আমদানির চিন্তা করা হচ্ছে বলেও জানান টিপু মুনশি।
টিপু মুনশি বলেন, গত বছর প্রায় ৬০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি হয়েছে। ২০২৪ সালে ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০২৬ সালে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এলডিসি গ্রাজুয়েশন করে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। ২০২৬ সালে তা কার্যকর হবে, এরপর আরও তিন বছর পর অর্থাৎ ২০২৯ সাল থেকে এলডিসিভুক্ত দেশের বাণিজ্য সুবিধা আর থাকবে না বাংলাদেশের। বর্তমানে আমাদের তৈরি পোশাক খাতে মোট রপ্তানির প্রায় ৮২ ভাগ অবদান রাখছে। পাশাপাশি আইসিটি, লেদার, প্লাস্টিক, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, পাটসহ প্রায় ১০টি পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধির বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে পিটিএ বা এফটিএ এর মতো বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের জন্য গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা চলছে। শিল্পের যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানির কারণে চীন এবং ভারতের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য ব্যাবধান সবচেয়ে বেশি। চায়না বাণিজ্য ব্যাবধান কমাতে ৯৯ ভাগ পণ্য রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দক্ষ জনশক্তি রয়েছে, উৎপাদন খরচ কম। তৈরি পোশাক শিল্পে গ্রীণ ফ্যাক্টরি এখন বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি। ফলে রপ্তানি বাণিজ্যে আমাদের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর সফল হয়েছে। ভুটান ও নেপালের সঙ্গে সড়ক পথের ফ্রি ট্রানজিট সুবিধা দিতে সম্মত হয়েছে ভারত। ভারতের সঙ্গে সড়ক, নৌ এবং আকাশ পথে ব্যবসা বাণিজ্য বৃদ্ধির সুযোগ বাড়ছে, যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক উন্নত হচ্ছে, নদীর পানি বন্টন সবমিরিয়ে ৭টি চুক্তি হয়েছে।
ওভারসিস করেসপনডেন্ট অব বাংলাদেশ (ওকাব) এর আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক কাদির কল্লোল, সদস্য-সচিব নজরুল ইসলাম মিঠু এবং ওকাবের সিনিয়র সদস্য ফরিদ হোসেনসহ সিনিয়র সাংবাদিকরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রাজধানীতে আরেকটি অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াতে নতুন কয়েকটি স্থলবন্দর খুলে দেবার কথা জানান।