Dhaka শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিয়ে দেশকে পঙ্গু করে দেওয়া তাদের একমাত্র লক্ষ্য : আমু

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেন, একটা দখলদার বাহিনী দেশে যে সব ধ্বংসযজ্ঞ করে, তারই কিছু নমুনা তারা এখানে রেখে গেছেন। আজকে আর বলতে অসুবিধা নেই, তারা দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বকে এখন পর্যন্ত মেনে নিতে পারেনি, বিশ্বাস করে না। যারা দেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করতে চায়, তাদেরই কর্ম হচ্ছে আজকের এই স্থাপনাগুলো ধ্বংস করে দেওয়া, যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়া। দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিয়ে দেশকে পঙ্গু করে দেওয়া। এটাই তাদের একমাত্র লক্ষ্য।

সোমবার (২৯ জুলাই) দুপুরে দুষ্কৃতকারীদের আগুনে পুড়ে যাওয়া মহাখালীর দুর্যোগ ভবন পরিদর্শন করে এসব কথা বলেন আমির হোসেন আমু। এর আগে তার নেতৃত্বে ১৪ দলের একটি প্রতিনিধি দল সেতু ভবনও পরিদর্শন করে।

তিনি বলেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে ধ্বংস সব জনগণের বিরুদ্ধে, দেশের বিরুদ্ধে হয়। দেশদ্রোহীদের কর্মকাণ্ডের কুফল ভোগ করবে জনগণ। জনগণ প্রতিটি ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম দুর্দশাগ্রস্ত হবে, অসুবিধায় পড়বে। এটাই সন্ত্রাসীরা তৈরি করেছে। তারা স্বাধীনতার শত্রু, এ দেশের শত্রু।

১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক বলেন, ৫৩টি গাড়ি, ল্যাপটপ ও ডিজিটাল সেন্টারসহ সবকিছু ধ্বংস করে দেওয়ার মধ্য দিয়ে আজ সারা দেশে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ বাধাগ্রস্ত হলো, অসহায় মানুষ বঞ্চিত হলো। বিভিন্ন ত্রাণসামগ্রী নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় যে মানুষ যাবে, সাহায্য সহযোগিতা করবে, সেই অবস্থান আজ রাখে নাই।

প্রধানমন্ত্রীর অবদান উল্লেখ করে আমির হোসেন আমু বলেন, আজকে যেহেতু দেশকে খুবই অল্প সময়ে একটি জায়গায় উপস্থিত করতে পেরেছেন, আন্তর্জাতিক বিশ্বে একটি সমাদৃত দেশ ও জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, সে জন্য তিনি হচ্ছেন তাদের গাত্রদাহ। তাই, আজকে তার বিরুদ্ধে নানান কুৎসা রটনা ও ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় অন্যরা আমাদের কাছ থেকে শিক্ষা নিত। কিন্তু এখন সামনে যে ঝোড়ো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেটা যদি আসে, একটা বন্য যদি আসে, তাহলে সেটা আমরা কীভাবে মোকাবিলা করব জানি না। আমরা যে সক্ষমতা অর্জন করেছিলাম, পৃথিবীর কাছে প্রশংসনীয় হয়েছিলাম সেগুলো ধ্বংস করে দিয়ে দুষ্কৃতকারীরা বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। আমাদের তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা দুর্যোগ ভবনটাকে আমরা ঢেলে সাজিয়েছিলাম। যেকোনো দুর্যোগ এলে সেটা মোকাবিলার জন্য এই ভবনটি প্রতীক হিসেবে কাজ করত। যখনই বন্যা, যখনই খরা, যখনই দুর্যোগ আসে তখনই দুর্যোগ অধিদপ্তরে কাজ করতে হয়। কিন্তু আজ এই প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করার মূল উদ্দেশ্য এ দেশের মানুষ যেন সেবা না পায়। এরা দুষ্কৃতকারী জামায়াত-শিবির, কোটা আন্দোলনকারীদের কাঁধে ভর করে যারা এসব করেছে তাদের প্রতি তীব্র নিন্দা জানাই। তাদের খুঁজে বের করে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননসহ ১৪ দলের নেতৃবৃন্দ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

পাঁচ মামলায় চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর

দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিয়ে দেশকে পঙ্গু করে দেওয়া তাদের একমাত্র লক্ষ্য : আমু

প্রকাশের সময় : ০১:৪৩:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জুলাই ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেন, একটা দখলদার বাহিনী দেশে যে সব ধ্বংসযজ্ঞ করে, তারই কিছু নমুনা তারা এখানে রেখে গেছেন। আজকে আর বলতে অসুবিধা নেই, তারা দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বকে এখন পর্যন্ত মেনে নিতে পারেনি, বিশ্বাস করে না। যারা দেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করতে চায়, তাদেরই কর্ম হচ্ছে আজকের এই স্থাপনাগুলো ধ্বংস করে দেওয়া, যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়া। দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিয়ে দেশকে পঙ্গু করে দেওয়া। এটাই তাদের একমাত্র লক্ষ্য।

সোমবার (২৯ জুলাই) দুপুরে দুষ্কৃতকারীদের আগুনে পুড়ে যাওয়া মহাখালীর দুর্যোগ ভবন পরিদর্শন করে এসব কথা বলেন আমির হোসেন আমু। এর আগে তার নেতৃত্বে ১৪ দলের একটি প্রতিনিধি দল সেতু ভবনও পরিদর্শন করে।

তিনি বলেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে ধ্বংস সব জনগণের বিরুদ্ধে, দেশের বিরুদ্ধে হয়। দেশদ্রোহীদের কর্মকাণ্ডের কুফল ভোগ করবে জনগণ। জনগণ প্রতিটি ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম দুর্দশাগ্রস্ত হবে, অসুবিধায় পড়বে। এটাই সন্ত্রাসীরা তৈরি করেছে। তারা স্বাধীনতার শত্রু, এ দেশের শত্রু।

১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক বলেন, ৫৩টি গাড়ি, ল্যাপটপ ও ডিজিটাল সেন্টারসহ সবকিছু ধ্বংস করে দেওয়ার মধ্য দিয়ে আজ সারা দেশে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ বাধাগ্রস্ত হলো, অসহায় মানুষ বঞ্চিত হলো। বিভিন্ন ত্রাণসামগ্রী নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় যে মানুষ যাবে, সাহায্য সহযোগিতা করবে, সেই অবস্থান আজ রাখে নাই।

প্রধানমন্ত্রীর অবদান উল্লেখ করে আমির হোসেন আমু বলেন, আজকে যেহেতু দেশকে খুবই অল্প সময়ে একটি জায়গায় উপস্থিত করতে পেরেছেন, আন্তর্জাতিক বিশ্বে একটি সমাদৃত দেশ ও জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, সে জন্য তিনি হচ্ছেন তাদের গাত্রদাহ। তাই, আজকে তার বিরুদ্ধে নানান কুৎসা রটনা ও ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় অন্যরা আমাদের কাছ থেকে শিক্ষা নিত। কিন্তু এখন সামনে যে ঝোড়ো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেটা যদি আসে, একটা বন্য যদি আসে, তাহলে সেটা আমরা কীভাবে মোকাবিলা করব জানি না। আমরা যে সক্ষমতা অর্জন করেছিলাম, পৃথিবীর কাছে প্রশংসনীয় হয়েছিলাম সেগুলো ধ্বংস করে দিয়ে দুষ্কৃতকারীরা বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। আমাদের তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা দুর্যোগ ভবনটাকে আমরা ঢেলে সাজিয়েছিলাম। যেকোনো দুর্যোগ এলে সেটা মোকাবিলার জন্য এই ভবনটি প্রতীক হিসেবে কাজ করত। যখনই বন্যা, যখনই খরা, যখনই দুর্যোগ আসে তখনই দুর্যোগ অধিদপ্তরে কাজ করতে হয়। কিন্তু আজ এই প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করার মূল উদ্দেশ্য এ দেশের মানুষ যেন সেবা না পায়। এরা দুষ্কৃতকারী জামায়াত-শিবির, কোটা আন্দোলনকারীদের কাঁধে ভর করে যারা এসব করেছে তাদের প্রতি তীব্র নিন্দা জানাই। তাদের খুঁজে বের করে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননসহ ১৪ দলের নেতৃবৃন্দ।