Dhaka সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশটা এখন বিপদের মধ্যে আছে : মির্জা আব্বাস

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, দেশটা এখন একটা বিপদের মধ্যে আছে। সরকারের কাছে দেশটা যদিও বা একটা স্বর্গ রাজ্যে পরিণত হয়েছে। আসলে ব্যাপারটা কিন্তু তা নয়।

সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর শাজাহানপুরে নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার ডামি নির্বাচন করে ক্ষমতায় এসেছে। তারা এখন ভয়ে আছে। আমাদের তো এমন বিষয় না যে কালকেই ক্ষমতায় যেতে হবে। আগে বলছি এখনো বলছি, এ আন্দোলন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য না, এ আন্দোলন জনগণের মৌলিক অধিকার, কথা বলার অধিকার, ভোটের অধিকার, বাঁচার জন্যই আমাদের এ আন্দোলন। এ আন্দোলন চলবে, এ আন্দোলন থেমে থাকবে না। আমরা না পারি আর কেউ করবে, আন্দোলন হবেই।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিবৃতি দেয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) ধন্যবাদ জানিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে বিদেশি রাষ্ট্রগুলো সমালোচনা করায় সরকার ভয় পাচ্ছে। এ অবস্থায় গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলন চলমান থাকবে, কোনোভাবেই থেমে থাকবে না।

গণতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি ১৭ বছর ধরে আন্দোলন করে যাচ্ছে উল্লেখ করে দলটির শীর্ষ এই নেতা বলেন, বিষয়টা এমন না যে কালকেই বিএনপিকে ক্ষমতায় যেতে হবে। আমাদের আন্দোলন জনগণের মৌলিক অধিকার, কথা বলার অধিকার, ভোটের অধিকার, বাঁচার অধিকার আদায়ের জন্য। এই আন্দোলন চলবে, থেমে থাকবে না। এর ধারাবাহিকতায় গত বছরের ২৮ অক্টোবর আমাদের সমাবেশ হয়, সেখানে সরকার অতর্কিত আক্রমণ করে।

কারাগারে বন্দি থাকার ঘটনার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, এবারের মতো এত খারাপ অভিজ্ঞতা জীবনে আর কখনো হয়নি। জেলে আমাকে খালি মাটিতে ঘুমাতে হয়েছে, প্রচণ্ড গরমে থাকতে হয়েছে। ডায়বেটিস রোগী হওয়ার পরও হাঁটতে দেয়া হয়নি। ট্রাঙ্ক ভর্তি ওষুধ নিয়েছিলাম। অসুস্থ হয়ে পড়লেও ভালো ডাক্তার দেখানো হয়নি।

মির্জা আব্বাস বলেন, একজন মন্ত্রী বলেছেন বরই দিয়ে ইফতার করেন। কিন্তু সে মন্ত্রীর হয়তো অভিজ্ঞতাই নাই, খালি পেটে বড়ই খেলে একজন মানুষ মারা যেতে পারেন। খালি পেটে বড়ই খেলে কত বড় মারাত্মক সমস্যা হতে পারে! জনগণের জন্য বড়ই আর বেগুনির বদলে পেঁপে। আর তাদের জন্য দামি ফল, খেজুর ও আঙ্গুর।

রমজানে নিত্যপণ্যের দাম আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে মির্জা আব্বাস বলেছেন, লাগামহীন দামে দেশের জনগণ স্বস্তিতে থাকতে পারবেন না। এমনকি ফিলিস্তিনের গাজার চেয়েও বাংলাদেশের অবস্থা খারাপ হতে পারে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, রমজানে নিত্যপণ্যের আরও দাম বাড়বে। বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হবে সরকার। নিত্যপণ্যোর লাগামহীন দামে স্বস্তিতে রমজান পালন করতে পারবেন না জনগণ।

আবহাওয়া

সারাদেশের সব পোশাক কারখানা ৫ আগস্ট বন্ধ

দেশটা এখন বিপদের মধ্যে আছে : মির্জা আব্বাস

প্রকাশের সময় : ০৩:১০:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, দেশটা এখন একটা বিপদের মধ্যে আছে। সরকারের কাছে দেশটা যদিও বা একটা স্বর্গ রাজ্যে পরিণত হয়েছে। আসলে ব্যাপারটা কিন্তু তা নয়।

সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর শাজাহানপুরে নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার ডামি নির্বাচন করে ক্ষমতায় এসেছে। তারা এখন ভয়ে আছে। আমাদের তো এমন বিষয় না যে কালকেই ক্ষমতায় যেতে হবে। আগে বলছি এখনো বলছি, এ আন্দোলন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য না, এ আন্দোলন জনগণের মৌলিক অধিকার, কথা বলার অধিকার, ভোটের অধিকার, বাঁচার জন্যই আমাদের এ আন্দোলন। এ আন্দোলন চলবে, এ আন্দোলন থেমে থাকবে না। আমরা না পারি আর কেউ করবে, আন্দোলন হবেই।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিবৃতি দেয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) ধন্যবাদ জানিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে বিদেশি রাষ্ট্রগুলো সমালোচনা করায় সরকার ভয় পাচ্ছে। এ অবস্থায় গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলন চলমান থাকবে, কোনোভাবেই থেমে থাকবে না।

গণতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি ১৭ বছর ধরে আন্দোলন করে যাচ্ছে উল্লেখ করে দলটির শীর্ষ এই নেতা বলেন, বিষয়টা এমন না যে কালকেই বিএনপিকে ক্ষমতায় যেতে হবে। আমাদের আন্দোলন জনগণের মৌলিক অধিকার, কথা বলার অধিকার, ভোটের অধিকার, বাঁচার অধিকার আদায়ের জন্য। এই আন্দোলন চলবে, থেমে থাকবে না। এর ধারাবাহিকতায় গত বছরের ২৮ অক্টোবর আমাদের সমাবেশ হয়, সেখানে সরকার অতর্কিত আক্রমণ করে।

কারাগারে বন্দি থাকার ঘটনার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, এবারের মতো এত খারাপ অভিজ্ঞতা জীবনে আর কখনো হয়নি। জেলে আমাকে খালি মাটিতে ঘুমাতে হয়েছে, প্রচণ্ড গরমে থাকতে হয়েছে। ডায়বেটিস রোগী হওয়ার পরও হাঁটতে দেয়া হয়নি। ট্রাঙ্ক ভর্তি ওষুধ নিয়েছিলাম। অসুস্থ হয়ে পড়লেও ভালো ডাক্তার দেখানো হয়নি।

মির্জা আব্বাস বলেন, একজন মন্ত্রী বলেছেন বরই দিয়ে ইফতার করেন। কিন্তু সে মন্ত্রীর হয়তো অভিজ্ঞতাই নাই, খালি পেটে বড়ই খেলে একজন মানুষ মারা যেতে পারেন। খালি পেটে বড়ই খেলে কত বড় মারাত্মক সমস্যা হতে পারে! জনগণের জন্য বড়ই আর বেগুনির বদলে পেঁপে। আর তাদের জন্য দামি ফল, খেজুর ও আঙ্গুর।

রমজানে নিত্যপণ্যের দাম আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে মির্জা আব্বাস বলেছেন, লাগামহীন দামে দেশের জনগণ স্বস্তিতে থাকতে পারবেন না। এমনকি ফিলিস্তিনের গাজার চেয়েও বাংলাদেশের অবস্থা খারাপ হতে পারে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, রমজানে নিত্যপণ্যের আরও দাম বাড়বে। বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হবে সরকার। নিত্যপণ্যোর লাগামহীন দামে স্বস্তিতে রমজান পালন করতে পারবেন না জনগণ।