Dhaka রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশকে মেধাহীন করতে হাদিকে হত্যাচেষ্টা, হিট লিস্টে অনেকেই : আসিফ মাহমুদ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর দেশকে মেধাহীন ও নেতৃত্বহীন করার জন্য ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করে অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, জুলাইয়ের পরাজিত শক্তি হাদিকে হত্যার মাধ্যমে দেশকে মেধাহীন করতে চাচ্ছে। এ ধরনের ষড়যন্ত্রে আরও অনেকেই হিট লিস্টে রয়েছেন।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির শ্রেষ্ঠ মেধাবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, দেশকে মেধাহীন করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র করে পাকিস্তানি বাহিনী এবং তাদের এ দেশীয় দোসররা। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্ন অনুযায়ী স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও তাদের প্রাপ্তি অনেক কম।

সাবেক এ উপদেষ্টা বলেন, ‘চব্বিশের অভ্যুত্থানের পর দেশকে নেতৃত্বহীন করার জন্য ওসমান হাদির ওপর হামলা করা হয়েছে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেভাবে বুদ্বিজীবীদের হত্যা করে দেশকে মেধাহীন করতে চেয়েছিল, তেমনি সম্প্রতি হাদিকে হত্যা করে দেশকে মেধাহীন করতে চাচ্ছে জুলাইয়ের পরাজিত শক্তি। অনেককে হিট লিস্টে রাখা হয়েছে। একাত্তরে যেমন হানাদার বাহিনী পরাজিত হয়েছে, তেমনি এবারও এই ফ্যাসিবাদী শক্তি পরাজিত হবে’।

তিনি আরও বলেন, ‘একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের অপশক্তিকে যেভাবে পরাজিত করা হয়েছিলে, আজও কেউ সফল হতে পারবে না। তাদের শক্ত হাতে দমন করা হবে’।

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করে আসিফ মাহমুদ বলেন, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পরিকল্পিতভাবে দেশের খ্যাতিমান অধ্যাপক, সাহিত্যিক, কবি ও বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করা। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দেশীয় দোসররা সেই ষড়যন্ত্র চালিয়েছিল। সেই নির্মম হত্যাকাণ্ডের স্মরণে আমরা প্রতিবছর গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে এই দিনটি পালন করে আসছি।

“যেই প্রত্যাশা নিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিল, ৫৪ বছর পরে এসেও আমাদের প্রাপ্তি অনেক কম। আমরা একটা স্বাধীন দেশ পেয়েছি, স্বাধীন ভূখণ্ড পেয়েছি এবং সার্বভৌম রাষ্ট্র পেয়েছি, সেটা প্রতিষ্ঠার লড়াইটা আমাদেরই গত ৫৪ বছরও করে যেতে হয়েছে; যার সর্বশেষ সংযোজন হচ্ছে ২০২৪। যেখানে আরো শত, সহস্র মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য।”

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এদিন রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

আবহাওয়া

প্রণয় ভার্মাকে তলবের পর ঢাকার উদ্বেগ প্রত্যাখ্যান করে নয়াদিল্লির বিবৃতি

দেশকে মেধাহীন করতে হাদিকে হত্যাচেষ্টা, হিট লিস্টে অনেকেই : আসিফ মাহমুদ

প্রকাশের সময় : ০১:২২:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর দেশকে মেধাহীন ও নেতৃত্বহীন করার জন্য ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করে অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, জুলাইয়ের পরাজিত শক্তি হাদিকে হত্যার মাধ্যমে দেশকে মেধাহীন করতে চাচ্ছে। এ ধরনের ষড়যন্ত্রে আরও অনেকেই হিট লিস্টে রয়েছেন।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির শ্রেষ্ঠ মেধাবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, দেশকে মেধাহীন করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র করে পাকিস্তানি বাহিনী এবং তাদের এ দেশীয় দোসররা। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্ন অনুযায়ী স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও তাদের প্রাপ্তি অনেক কম।

সাবেক এ উপদেষ্টা বলেন, ‘চব্বিশের অভ্যুত্থানের পর দেশকে নেতৃত্বহীন করার জন্য ওসমান হাদির ওপর হামলা করা হয়েছে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেভাবে বুদ্বিজীবীদের হত্যা করে দেশকে মেধাহীন করতে চেয়েছিল, তেমনি সম্প্রতি হাদিকে হত্যা করে দেশকে মেধাহীন করতে চাচ্ছে জুলাইয়ের পরাজিত শক্তি। অনেককে হিট লিস্টে রাখা হয়েছে। একাত্তরে যেমন হানাদার বাহিনী পরাজিত হয়েছে, তেমনি এবারও এই ফ্যাসিবাদী শক্তি পরাজিত হবে’।

তিনি আরও বলেন, ‘একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের অপশক্তিকে যেভাবে পরাজিত করা হয়েছিলে, আজও কেউ সফল হতে পারবে না। তাদের শক্ত হাতে দমন করা হবে’।

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করে আসিফ মাহমুদ বলেন, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পরিকল্পিতভাবে দেশের খ্যাতিমান অধ্যাপক, সাহিত্যিক, কবি ও বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করা। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দেশীয় দোসররা সেই ষড়যন্ত্র চালিয়েছিল। সেই নির্মম হত্যাকাণ্ডের স্মরণে আমরা প্রতিবছর গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে এই দিনটি পালন করে আসছি।

“যেই প্রত্যাশা নিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিল, ৫৪ বছর পরে এসেও আমাদের প্রাপ্তি অনেক কম। আমরা একটা স্বাধীন দেশ পেয়েছি, স্বাধীন ভূখণ্ড পেয়েছি এবং সার্বভৌম রাষ্ট্র পেয়েছি, সেটা প্রতিষ্ঠার লড়াইটা আমাদেরই গত ৫৪ বছরও করে যেতে হয়েছে; যার সর্বশেষ সংযোজন হচ্ছে ২০২৪। যেখানে আরো শত, সহস্র মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য।”

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এদিন রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।