Dhaka বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশকে এগিয়ে নিতে দেশের অভ্যন্তরীণ সব বৈষম্য দূর করতে হবে : জামায়াত আমীর

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে দেশের অভ্যন্তরীণ সব বৈষম্য দূর করতে হবে। বৈষম্য দূর হলেই দেশ এগিয়ে যাবে।বাংলাদেশে সত্যিকারের একটা পরিবর্তনের প্লাবন সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিবর্তন ধরে রাখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করতে হবে।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ চৈন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম (এনডিএফ) আয়োজিত জাতীয় চিকিৎসক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াত আমির এসব কথা বলেন।

সাম্য ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ায় চিকিৎসক সমাজকে অগ্রণী ভূমিকা রাখার মাধ্যমে জাতিকে পথ দেখানোর আহ্বান জানিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা যে কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ দেখতে চাই, সেটি গড়তে চিকিৎসকদের বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। চিকিৎসকদের একার পক্ষে হয়ত মানবিক দেশ গড়া সম্ভব নয়, তবে তাদেরকে সামনে থেকে পথ দেখাতে হবে। এজন্য স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও বেশি মানবিক হতে হবে।

তিনি বলেন, মানুষের অতি প্রয়োজনীয় সময়ে চিকিৎসকরা ভূমিকা রাখেন বলে পশ্চিমা সমাজে গডের (সৃষ্টিকর্তা) পরে জায়গা দেওয়া হয়। আমরা মনে করি, কাঙ্ক্ষিত দেশ গড়ার কাজে অন্যদের চেয়ে চিকিৎসকদের দায়িত্ব অনেক বেশি। সেবার মাধ্যমে সেটি করতে হবে। মানুষের সেবার মাধ্যমে আল্লাহকে পাওয়া সহজ হয়। এর মাধ্যমেই আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে হবে। এক্ষেত্রে এনডিএফের মাধ্যমে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরিবর্তন আসবে এটা আমার বিশ্বাস।

জামায়াত আমির বলেন, আমাদের স্মার্ট সার্ভিস উপহার দিতে হবে। সেবাপ্রত্যাশীদের যথাযথ সম্মান দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, আপনার-আমার আজকের এ অবস্থানে আসার পেছনে শুধু বাবার টাকাই নয়, খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষেরও টাকা রয়েছে। রাষ্ট্রের ট্যাক্সের টাকা ধনী-গরিব সব একসঙ্গে রাখা হয়, প্রতিটি অকাঠামোর ইট-পাথরে খেটে খাওয়া মানুষের ঘাম লেগে আছে। এজন্য একটা মানবিক দেশ গড়তে চাই আমরা। যেখানে পথ দেখাতে হবে চিকিৎসকদের।

তিনি বলেন, চিকিৎসকদের জ্ঞানের রাজ্যে শ্রেষ্ঠ হতে হবে, এজন্য বেশি বেশি পড়াশোনা ও কঠোর পরিশ্রমী হতে হবে। এ চিকিৎসকদের মধ্য থেকেই আবার কিছু মানুষকে গবেষণায় আত্মনিয়োগ করতে হবে। দুর্ভাগ্যক্রমে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এটাকে খুব বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় না। কিন্তু চিকিৎসা সেবায় গবেষণার কোনো বিকল্প নেই।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোসহ সবার মধ্যে বৈষম্য দূর করতে হবে। চিকিৎসকদের প্রতি দেশের জনগণের যে প্রত্যাশা, তা পূরণে কাজ করতে হবে। সেইসঙ্গে চিকিৎসকদের নিজেদের মেধার সর্বোচ্চ দিয়ে, বিগত সরকারের ধসে যাওয়া চিকিৎসাব্যবস্থাকে নতুন করে গড়ে তুলতে হবে।

দেশে চিকিৎসা এগিয়ে গেলেও ওষুধের কাঁচামালে এখনও আমদানি নির্ভরশীল। এক্ষেত্রে সরকারকে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান জামায়াত আমির।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

দেশকে এগিয়ে নিতে দেশের অভ্যন্তরীণ সব বৈষম্য দূর করতে হবে : জামায়াত আমীর

প্রকাশের সময় : ০৬:৫৭:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে দেশের অভ্যন্তরীণ সব বৈষম্য দূর করতে হবে। বৈষম্য দূর হলেই দেশ এগিয়ে যাবে।বাংলাদেশে সত্যিকারের একটা পরিবর্তনের প্লাবন সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিবর্তন ধরে রাখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করতে হবে।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ চৈন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম (এনডিএফ) আয়োজিত জাতীয় চিকিৎসক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াত আমির এসব কথা বলেন।

সাম্য ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ায় চিকিৎসক সমাজকে অগ্রণী ভূমিকা রাখার মাধ্যমে জাতিকে পথ দেখানোর আহ্বান জানিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা যে কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ দেখতে চাই, সেটি গড়তে চিকিৎসকদের বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। চিকিৎসকদের একার পক্ষে হয়ত মানবিক দেশ গড়া সম্ভব নয়, তবে তাদেরকে সামনে থেকে পথ দেখাতে হবে। এজন্য স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও বেশি মানবিক হতে হবে।

তিনি বলেন, মানুষের অতি প্রয়োজনীয় সময়ে চিকিৎসকরা ভূমিকা রাখেন বলে পশ্চিমা সমাজে গডের (সৃষ্টিকর্তা) পরে জায়গা দেওয়া হয়। আমরা মনে করি, কাঙ্ক্ষিত দেশ গড়ার কাজে অন্যদের চেয়ে চিকিৎসকদের দায়িত্ব অনেক বেশি। সেবার মাধ্যমে সেটি করতে হবে। মানুষের সেবার মাধ্যমে আল্লাহকে পাওয়া সহজ হয়। এর মাধ্যমেই আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে হবে। এক্ষেত্রে এনডিএফের মাধ্যমে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরিবর্তন আসবে এটা আমার বিশ্বাস।

জামায়াত আমির বলেন, আমাদের স্মার্ট সার্ভিস উপহার দিতে হবে। সেবাপ্রত্যাশীদের যথাযথ সম্মান দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, আপনার-আমার আজকের এ অবস্থানে আসার পেছনে শুধু বাবার টাকাই নয়, খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষেরও টাকা রয়েছে। রাষ্ট্রের ট্যাক্সের টাকা ধনী-গরিব সব একসঙ্গে রাখা হয়, প্রতিটি অকাঠামোর ইট-পাথরে খেটে খাওয়া মানুষের ঘাম লেগে আছে। এজন্য একটা মানবিক দেশ গড়তে চাই আমরা। যেখানে পথ দেখাতে হবে চিকিৎসকদের।

তিনি বলেন, চিকিৎসকদের জ্ঞানের রাজ্যে শ্রেষ্ঠ হতে হবে, এজন্য বেশি বেশি পড়াশোনা ও কঠোর পরিশ্রমী হতে হবে। এ চিকিৎসকদের মধ্য থেকেই আবার কিছু মানুষকে গবেষণায় আত্মনিয়োগ করতে হবে। দুর্ভাগ্যক্রমে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এটাকে খুব বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় না। কিন্তু চিকিৎসা সেবায় গবেষণার কোনো বিকল্প নেই।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোসহ সবার মধ্যে বৈষম্য দূর করতে হবে। চিকিৎসকদের প্রতি দেশের জনগণের যে প্রত্যাশা, তা পূরণে কাজ করতে হবে। সেইসঙ্গে চিকিৎসকদের নিজেদের মেধার সর্বোচ্চ দিয়ে, বিগত সরকারের ধসে যাওয়া চিকিৎসাব্যবস্থাকে নতুন করে গড়ে তুলতে হবে।

দেশে চিকিৎসা এগিয়ে গেলেও ওষুধের কাঁচামালে এখনও আমদানি নির্ভরশীল। এক্ষেত্রে সরকারকে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান জামায়াত আমির।