Dhaka রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫, ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেড় মাস পর নয়াপল্টনে বিএনপির নেতাকর্মীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় দীর্ঘ ১ মাস ১৮ দিন পর আবার নেতাকর্মীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। তবে কার্যালয় এখনো বন্ধ। দলটির সিনিয়র কোনো নেতা এখনো ওই এলাকায় আসেননি।

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) বিজয় দিবসের র‌্যালি আয়োজন করেছে দলটি। সকাল ১০টার পর থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন।

বিএনপির পূর্বঘোষিত বিজয় শোভাযাত্রা পালনের জন্য বেলা ১১টার পর থেকেই নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে জড়ো হচ্ছেন। বেলা একটায় এখান থেকেই শোভাযাত্রা শুরু হবে, শেষ হবে শান্তিনগর মোড়ে গিয়ে।

বিএনপি নেতাকর্মীরা সরকারবিরোধী বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ও পোস্টার নিয়ে শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে ছোট ছোট মিছিলে আসছেন। এ সময় দলীয় কার্যালয়ের বাইরে বেশ কয়েকটি পিকআপ ট্রাক দাঁড় করানো দেখা গেছে। তবে এখন পর্যন্ত বিএনপির সিনিয়র কোনো নেতাকে সমাবেশস্থলে দেখা যায়নি।

সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনের নির্বাচনের দাবিতে অনেকদিন ধরেই আন্দোলন করে আসছে বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলো। এরই অংশ হিসেনে গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সমাবেশ ডেকেছিল প্রায় দেড় যুগ ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিজয় দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রা সফল করার জন্য বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করছেন। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তবে সার্বিক পরিস্থিতি রয়েছে স্বাভাবিক।

এর আগে সকালে একটি পিকআপে করে সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহারের জন্য মাইক আনা হয় নয়াপল্টনে।

এছাড়া উক্ত এলাকায় কোথাও বিএনপির নেতাকর্মীদের একত্রে অবস্থান নিতে দেখা যায়নি। অন্যান্য সময় নয়া পল্টনে দলীয় কোনও কর্মসূচি থাকলে তা সফল করতে সকাল থেকেই দলীয় কার্যালয় ও নয়া পল্টনের আশপাশ এলাকায় বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা জড়ো হতে থাকেন।

তবে বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত না থাকলেও সকাল থেকেই সতর্ক অবস্থানে আছে পুলিশ। ইতোমধ্যে তাদের জড়ো করে আজকের দিনে কী কী করণীয় তা সম্পর্কে ব্রিফিং করেছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

পুলিশের অবস্থান সম্পর্কে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল জোনের সহকারী কমিশনার গোলাম রুহানী বলেন, পুলিশের পক্ষ হতে বিএনপিকে বিজয় র‌্যালি করার একটা অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যদিও অফিসিয়ালি কিছু বলা হয়নি। বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে বিজয় দিবসের র‌্যালি করতে পারবে। তবে এখনও তাদের কাউকে দেখা যায়নি। আমার মনে হয় ২টার আগে তারা তাদের র‌্যালি শুরু করতে পারবে না।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতেই বাড়তি পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি তাদের কর্মসূচি পালন করবে। আমরা আমাদের মতো পরিস্থিতি কন্ট্রোলে রাখবো। তারা যদি কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা বা সংঘাত না করে তাহলে কর্মসূচি পালনে কোনও বাধা নেই।

উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর দলীয় মহাসমাবেশে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর বিএনপির সমাবেশ পণ্ড হলে বিকাল থেকেই দলটির কার্যালয় নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ। ঝুলিয়ে দেওয়া হয় তালা। পর দিন ২৯ অক্টোবর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইম সিন ইউনিট বিএনপি কার্যালয়ের তিন দিকে ‘ডু নট ক্রস– ক্রাইম সিন’ লেখা হলুদ ফিতা টানিয়ে দিয়ে আলামত সংগ্রহ করে। এরপর থেকে গত ৫০ দিন ধরে সেখানে সর্বক্ষণ অবস্থানে আছে পুলিশ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

দেড় মাস পর নয়াপল্টনে বিএনপির নেতাকর্মীরা

প্রকাশের সময় : ০১:২৭:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় দীর্ঘ ১ মাস ১৮ দিন পর আবার নেতাকর্মীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। তবে কার্যালয় এখনো বন্ধ। দলটির সিনিয়র কোনো নেতা এখনো ওই এলাকায় আসেননি।

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) বিজয় দিবসের র‌্যালি আয়োজন করেছে দলটি। সকাল ১০টার পর থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন।

বিএনপির পূর্বঘোষিত বিজয় শোভাযাত্রা পালনের জন্য বেলা ১১টার পর থেকেই নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে জড়ো হচ্ছেন। বেলা একটায় এখান থেকেই শোভাযাত্রা শুরু হবে, শেষ হবে শান্তিনগর মোড়ে গিয়ে।

বিএনপি নেতাকর্মীরা সরকারবিরোধী বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ও পোস্টার নিয়ে শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে ছোট ছোট মিছিলে আসছেন। এ সময় দলীয় কার্যালয়ের বাইরে বেশ কয়েকটি পিকআপ ট্রাক দাঁড় করানো দেখা গেছে। তবে এখন পর্যন্ত বিএনপির সিনিয়র কোনো নেতাকে সমাবেশস্থলে দেখা যায়নি।

সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনের নির্বাচনের দাবিতে অনেকদিন ধরেই আন্দোলন করে আসছে বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলো। এরই অংশ হিসেনে গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সমাবেশ ডেকেছিল প্রায় দেড় যুগ ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিজয় দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রা সফল করার জন্য বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করছেন। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তবে সার্বিক পরিস্থিতি রয়েছে স্বাভাবিক।

এর আগে সকালে একটি পিকআপে করে সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহারের জন্য মাইক আনা হয় নয়াপল্টনে।

এছাড়া উক্ত এলাকায় কোথাও বিএনপির নেতাকর্মীদের একত্রে অবস্থান নিতে দেখা যায়নি। অন্যান্য সময় নয়া পল্টনে দলীয় কোনও কর্মসূচি থাকলে তা সফল করতে সকাল থেকেই দলীয় কার্যালয় ও নয়া পল্টনের আশপাশ এলাকায় বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা জড়ো হতে থাকেন।

তবে বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত না থাকলেও সকাল থেকেই সতর্ক অবস্থানে আছে পুলিশ। ইতোমধ্যে তাদের জড়ো করে আজকের দিনে কী কী করণীয় তা সম্পর্কে ব্রিফিং করেছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

পুলিশের অবস্থান সম্পর্কে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল জোনের সহকারী কমিশনার গোলাম রুহানী বলেন, পুলিশের পক্ষ হতে বিএনপিকে বিজয় র‌্যালি করার একটা অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যদিও অফিসিয়ালি কিছু বলা হয়নি। বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে বিজয় দিবসের র‌্যালি করতে পারবে। তবে এখনও তাদের কাউকে দেখা যায়নি। আমার মনে হয় ২টার আগে তারা তাদের র‌্যালি শুরু করতে পারবে না।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতেই বাড়তি পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি তাদের কর্মসূচি পালন করবে। আমরা আমাদের মতো পরিস্থিতি কন্ট্রোলে রাখবো। তারা যদি কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা বা সংঘাত না করে তাহলে কর্মসূচি পালনে কোনও বাধা নেই।

উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর দলীয় মহাসমাবেশে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর বিএনপির সমাবেশ পণ্ড হলে বিকাল থেকেই দলটির কার্যালয় নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ। ঝুলিয়ে দেওয়া হয় তালা। পর দিন ২৯ অক্টোবর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইম সিন ইউনিট বিএনপি কার্যালয়ের তিন দিকে ‘ডু নট ক্রস– ক্রাইম সিন’ লেখা হলুদ ফিতা টানিয়ে দিয়ে আলামত সংগ্রহ করে। এরপর থেকে গত ৫০ দিন ধরে সেখানে সর্বক্ষণ অবস্থানে আছে পুলিশ।