Dhaka শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেড় মাসে হাসিনাকে হটিয়েছে যারা ভাবে তারা বোকার স্বর্গে আছে : আউয়াল মিন্টু

বরিশাল জেলা প্রতিনিধি : 

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এবং বরিশাল বিভাগীয় দলনেতা আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা ১৭ বছর বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে সংগ্রাম করেছে। জেল খেটেছে হাজার হাজার মানুষ। এক দেড় মাসে হাসিনার সরকার হাটিয়েছি এটা কেউ মনে করলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বরিশালে আয়োজিত আলোচনা ও দোয়া মোনাজাতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আমাদের এই অর্জন কারো একার না। দেশের আপামর জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে ফ্যাসিস্টকে হটিয়েছে। এই অর্জন অক্ষুণ্ন রাখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখতে হবে।

আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ভবিষ্যতে দলকে আরও শক্তিশালী, সুসংগঠিত করে দেশের জনগণের মৌলিক অধিকার, সাংবিধানিক ও ভোটদানের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যই লড়াই করছে বিএনপি।

আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, একজন বলে বছরের শেষেই নির্বাচন, আরেকজন বলে সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট পেয়ে কথাবার্তার পরে তারিখ জানানো হবে। আমরা নির্বাচন নিয়ে ধানাই-পানাই শোনার জন্য আন্দোলন করিনি। স্বৈরাচার হটানোর আন্দোলনের একটাই লক্ষ্য ছিল জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।

তিনি বলেন, গত ১৭ বছর আন্দোলন করেছি, এখনও করছি। এই আন্দোলন দেশের মানুষের সাংবিধানিক, মৌলিক, ভোটের অধিকার ফেরত না পাওয়া পর্যন্ত চলবে। এসব অধিকার নিশ্চিতের প্রথম কাজ হচ্ছে নির্বাচন। আমাদের লক্ষ্য ছিল আওয়ামী সরকারের পতনের মধ্যদিয়ে জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার। সংগ্রামের প্রাথমিক বিজয় পেয়েছি। মূল লক্ষ্য পূরণ করতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

আউয়াল মিন্টু বলেন, স্বৈরাচার হটানোর আন্দোলনে বিএনপির অবদানকে কারও স্বীকৃতি দিতে হবে না। গত ১৭ বছর ধরে বিএনপির নেতাকর্মীরা বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় অনেক ত্যাগ করেছেন। ৬২ লাখ বিএনপি নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা প্রহসনমূলক মামলা হয়েছে। মামলার সংখ্যা ১ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি। এগুলো ইতিহাস থেকে কেউ মুছে ফেলতে পারবে না। অতএব যদি কেউ মনে করে আমাদের ১৭ বছরের সংগ্রামের পরিবর্তে এক-দেড় মাসের আন্দোলনে একটা সরকারকে ফেলে দিয়েছি, তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করেন। আমাদের স্বীকৃতি ভোটের মাধ্যমে দেবে জনগণ।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা পাওয়ার পর আমাদের বলা হতো তলাবিহীন ঝুড়ি। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে মহান রাষ্ট্রনায়কের (জিয়াউর রহমান) দক্ষ নেতৃত্বের মধ্যদিয়ে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে শস্যভান্ডারে দেশ রূপান্তর হয়। তারপর আমরা বিদেশেও চাল রফতানি করেছি।

বরিশাল জেলা (দক্ষিণ) আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবুল কালাম শাহিনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুল আউয়াল মিন্টু আরও বলেন, দেশের জন্য বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অবদান কোনো গুণগান গেয়ে শেষ করা যাবে না। তার নাম যতবার মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে ততই তার অনুগামী ও অনুসারীদের হৃদয়ের স্পৃহা আরও বেড়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা, দেশের মহান রাষ্ট্রনায়কের নাম কোনো দিন মুছে ফেলতে আমরা দেব না। আর স্বাধীনতা ঘোষক কে? এ বিষয়টি নিয়ে বিভেদ সৃষ্টি ভবিষ্যতে করার আর সুযোগও কেউ পাবে না।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

পাঁচ মামলায় চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর

দেড় মাসে হাসিনাকে হটিয়েছে যারা ভাবে তারা বোকার স্বর্গে আছে : আউয়াল মিন্টু

প্রকাশের সময় : ০৯:৪৭:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

বরিশাল জেলা প্রতিনিধি : 

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এবং বরিশাল বিভাগীয় দলনেতা আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা ১৭ বছর বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে সংগ্রাম করেছে। জেল খেটেছে হাজার হাজার মানুষ। এক দেড় মাসে হাসিনার সরকার হাটিয়েছি এটা কেউ মনে করলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বরিশালে আয়োজিত আলোচনা ও দোয়া মোনাজাতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আমাদের এই অর্জন কারো একার না। দেশের আপামর জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে ফ্যাসিস্টকে হটিয়েছে। এই অর্জন অক্ষুণ্ন রাখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখতে হবে।

আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ভবিষ্যতে দলকে আরও শক্তিশালী, সুসংগঠিত করে দেশের জনগণের মৌলিক অধিকার, সাংবিধানিক ও ভোটদানের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যই লড়াই করছে বিএনপি।

আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, একজন বলে বছরের শেষেই নির্বাচন, আরেকজন বলে সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট পেয়ে কথাবার্তার পরে তারিখ জানানো হবে। আমরা নির্বাচন নিয়ে ধানাই-পানাই শোনার জন্য আন্দোলন করিনি। স্বৈরাচার হটানোর আন্দোলনের একটাই লক্ষ্য ছিল জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।

তিনি বলেন, গত ১৭ বছর আন্দোলন করেছি, এখনও করছি। এই আন্দোলন দেশের মানুষের সাংবিধানিক, মৌলিক, ভোটের অধিকার ফেরত না পাওয়া পর্যন্ত চলবে। এসব অধিকার নিশ্চিতের প্রথম কাজ হচ্ছে নির্বাচন। আমাদের লক্ষ্য ছিল আওয়ামী সরকারের পতনের মধ্যদিয়ে জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার। সংগ্রামের প্রাথমিক বিজয় পেয়েছি। মূল লক্ষ্য পূরণ করতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

আউয়াল মিন্টু বলেন, স্বৈরাচার হটানোর আন্দোলনে বিএনপির অবদানকে কারও স্বীকৃতি দিতে হবে না। গত ১৭ বছর ধরে বিএনপির নেতাকর্মীরা বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় অনেক ত্যাগ করেছেন। ৬২ লাখ বিএনপি নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা প্রহসনমূলক মামলা হয়েছে। মামলার সংখ্যা ১ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি। এগুলো ইতিহাস থেকে কেউ মুছে ফেলতে পারবে না। অতএব যদি কেউ মনে করে আমাদের ১৭ বছরের সংগ্রামের পরিবর্তে এক-দেড় মাসের আন্দোলনে একটা সরকারকে ফেলে দিয়েছি, তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করেন। আমাদের স্বীকৃতি ভোটের মাধ্যমে দেবে জনগণ।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা পাওয়ার পর আমাদের বলা হতো তলাবিহীন ঝুড়ি। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে মহান রাষ্ট্রনায়কের (জিয়াউর রহমান) দক্ষ নেতৃত্বের মধ্যদিয়ে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে শস্যভান্ডারে দেশ রূপান্তর হয়। তারপর আমরা বিদেশেও চাল রফতানি করেছি।

বরিশাল জেলা (দক্ষিণ) আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবুল কালাম শাহিনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুল আউয়াল মিন্টু আরও বলেন, দেশের জন্য বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অবদান কোনো গুণগান গেয়ে শেষ করা যাবে না। তার নাম যতবার মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে ততই তার অনুগামী ও অনুসারীদের হৃদয়ের স্পৃহা আরও বেড়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা, দেশের মহান রাষ্ট্রনায়কের নাম কোনো দিন মুছে ফেলতে আমরা দেব না। আর স্বাধীনতা ঘোষক কে? এ বিষয়টি নিয়ে বিভেদ সৃষ্টি ভবিষ্যতে করার আর সুযোগও কেউ পাবে না।