নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেড় ঘণ্টার ব্যবধানে মারা গেলেন সাবেক দুই প্রতিমন্ত্রী-উপমন্ত্রী। তারা হলেন- পটুয়াখালী-১ আসনের বর্তমান সংসদের সদস্য ও সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শাহজাহান মিয়া এবং আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও এরশাদ সরকারের সময়ের সাবেক উপমন্ত্রী এ এফ এম ফখরুল ইসলাম মুন্সী।
শনিবার (২১ অক্টোবর) ভোর ৬টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে মারা যান পটুয়াখালী-১ আসন থেকে তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য এবং সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শাহজাহান মিয়া এবং ভোর ৪টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে বার্ধক্যজনিত কারণে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এফ এম ফখরুল ইসলাম মুন্সী।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার মেজ ছেলে সাবেক সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তারিকুজ্জামান মনি।
শাহজাহান মিয়া ১৯৪০ সালের ১৭ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পেশায় একজন আইনজীবী এবং বরেণ্য রাজনীতিবিদ। তিনি ১৯৯১ সাল থেকে ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ১২ জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম, ২০০৮ সালের নবম ও ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে পটুয়াখালী-০১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদে সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়েসহ নাতি এবং অসংখ্য ভক্ত, রাজনৈতিক ও আইন পেশার সহকর্মী রেখে গেছেন।
তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম আরিফ ও সহসভাপতি উপাধ্যক্ষ জসীম উদ্দিন।
এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও গভীর শোক জানানো হয়েছে।
শাহজাহান মিয়ার মৃত্যুর প্রায় দেড় ঘণ্টা আগে ভোট চারটা ৪০ মিনিটের দিকে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য, সাবেক সংসদ সদস্য এ এফ এম ফখরুল ইসলাম মুন্সী।
রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ফখরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও দুই ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গিয়েছেন।
এ এফ এম ফখরুল ইসলাম মুনশী ১৯৪৭ সালে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ফখরুল ইসলাম মুন্সী জাতীয় পার্টির হয়ে ১৯৮৬ সালের তৃতীয় ও ১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে এরশাদ সরকারের অর্থউপমন্ত্রীও হয়েছিলেন তিনি।
১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে পরাজিত হন। ১৯৯৫ সালে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন এবং ১৯৯৬ সাল ও ২০০১ সালের নির্বাচনে পরাজিত হন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী রাকিবা বানু, দুই ছেলে রাকিব মোহাম্মদ ফখরুল ও রাজী মোহাম্মদ ফখরুল সহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গিয়েছেন।