Dhaka রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দুর্নীতি না হলে সড়কের নির্মাণ ব্যয় ৩০ শতাংশ কমে যাবে : সড়ক ও সেতু উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দুর্নীতির কারণে দেশের সড়ক নির্মাণ ব্যয় বেশি হচ্ছে, এটি কমাতে পারলে সড়ক নির্মাণের ব্যয় ৩০ শতাংশ কমে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল করিম খান।

রোববার (২৪ আগস্ট) সকালে গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস এলাকায় ভোগড়া থেকে নারায়ণগঞ্জের মদনপুর পর্যন্ত ৪৮ কিলোমিটার ঢাকা বাইপাস সড়কের ১৮ কিলোমিটার অংশের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আশেপাশের দেশের তুলনায় বাংলাদেশের রাস্তা নির্মাণের ব্যয় অনেক বেশি, এগুলো কমাতে হবে। রাস্তাঘাট দুর্নীতির একটা বড় ক্ষেত্র। এই দুর্নীতি কমালে এবং দেশের প্রকৌশলীরা যদি দেখেন, তাহলে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণের ব্যয় কমানো সম্ভব। সড়কের ওপর নির্ভরতা কমাতে হবে। অন্যান্য যেসব যাতায়াতের মাধ্যম আছে রেলপথ, নদীপথ এবং বিমান এসবের ব্যবহার বাড়াতে হবে।

সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা বলেন, ঢাকা শহরে এ ধরনের বাইপাস করতে হবে, যাতে বড় শহরকে যানজট থেকে মুক্ত করতে পারি। সড়ক নির্মাণের ব্যয় কমাতে হবে এবং প্রযুক্তিও পরিবর্তন করতে হবে, যাতে বছর বছর রাস্তা খারাপ না হয়ে যায়। এখানে চীনের ঠিকাদার কাজ করছে।

ফাওজুল করিম বলেন, ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে রাজধানীর যানজট কমাতে কাজ করবে। এসব মেগা প্রকল্পে বিদেশি প্রকৌশলীরা কাজ করায় দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। এ সময় দেশের প্রকৌশলীদের আন্তর্জাতিক মানের কাজ করার আহবানও জানান তিনি।

সড়ক ও সেতু উপদেষ্টা বলেন, আমাদের দেশে দক্ষ প্রকৌশলী না থাকায়, বাইরে থেকে লোক এসে সড়ক-রেলপথ বানিয়ে দিয়ে যায়। অথচ আমাদের দেশের বুয়েট থেকে প্রতিবছর হাজার হাজার ইঞ্জিনিয়ার বের হয়। এটা অনেক লজ্জার বিষয়। সুতরাং বিদেশিদের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে দেশে দক্ষ প্রকৌশলী তৈরির চেষ্টা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, অন্যান্য যে যাতায়াতের মাধ্যম আছে যেমন—নদীপথে যাতায়াত, রেলওয়ে যাতায়াত ও বিমানে যাতায়াত—এগুলোকে অবহেলা করেছি। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে এখন উদ্যোগ নিয়েছি। মাল্টি-লেভেল প্ল্যান আমরা করছি। এই প্ল্যানের মধ্যে আমরা সবকিছু একত্রে দেখব সড়কপথ, রেলপথ ও নদীপথ। যেখানে যেটা উপযুক্ত, সেখানে সেটার উপর জোর দেব।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মেট্রোপলিটনের পুলিশ কমিশনার ড. মোহাম্মদ নাজমুল করিম খান ও গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীন। এছাড়াও বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

দুর্নীতি না হলে সড়কের নির্মাণ ব্যয় ৩০ শতাংশ কমে যাবে : সড়ক ও সেতু উপদেষ্টা

প্রকাশের সময় : ০৪:০৯:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দুর্নীতির কারণে দেশের সড়ক নির্মাণ ব্যয় বেশি হচ্ছে, এটি কমাতে পারলে সড়ক নির্মাণের ব্যয় ৩০ শতাংশ কমে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল করিম খান।

রোববার (২৪ আগস্ট) সকালে গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস এলাকায় ভোগড়া থেকে নারায়ণগঞ্জের মদনপুর পর্যন্ত ৪৮ কিলোমিটার ঢাকা বাইপাস সড়কের ১৮ কিলোমিটার অংশের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আশেপাশের দেশের তুলনায় বাংলাদেশের রাস্তা নির্মাণের ব্যয় অনেক বেশি, এগুলো কমাতে হবে। রাস্তাঘাট দুর্নীতির একটা বড় ক্ষেত্র। এই দুর্নীতি কমালে এবং দেশের প্রকৌশলীরা যদি দেখেন, তাহলে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণের ব্যয় কমানো সম্ভব। সড়কের ওপর নির্ভরতা কমাতে হবে। অন্যান্য যেসব যাতায়াতের মাধ্যম আছে রেলপথ, নদীপথ এবং বিমান এসবের ব্যবহার বাড়াতে হবে।

সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা বলেন, ঢাকা শহরে এ ধরনের বাইপাস করতে হবে, যাতে বড় শহরকে যানজট থেকে মুক্ত করতে পারি। সড়ক নির্মাণের ব্যয় কমাতে হবে এবং প্রযুক্তিও পরিবর্তন করতে হবে, যাতে বছর বছর রাস্তা খারাপ না হয়ে যায়। এখানে চীনের ঠিকাদার কাজ করছে।

ফাওজুল করিম বলেন, ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে রাজধানীর যানজট কমাতে কাজ করবে। এসব মেগা প্রকল্পে বিদেশি প্রকৌশলীরা কাজ করায় দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। এ সময় দেশের প্রকৌশলীদের আন্তর্জাতিক মানের কাজ করার আহবানও জানান তিনি।

সড়ক ও সেতু উপদেষ্টা বলেন, আমাদের দেশে দক্ষ প্রকৌশলী না থাকায়, বাইরে থেকে লোক এসে সড়ক-রেলপথ বানিয়ে দিয়ে যায়। অথচ আমাদের দেশের বুয়েট থেকে প্রতিবছর হাজার হাজার ইঞ্জিনিয়ার বের হয়। এটা অনেক লজ্জার বিষয়। সুতরাং বিদেশিদের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে দেশে দক্ষ প্রকৌশলী তৈরির চেষ্টা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, অন্যান্য যে যাতায়াতের মাধ্যম আছে যেমন—নদীপথে যাতায়াত, রেলওয়ে যাতায়াত ও বিমানে যাতায়াত—এগুলোকে অবহেলা করেছি। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে এখন উদ্যোগ নিয়েছি। মাল্টি-লেভেল প্ল্যান আমরা করছি। এই প্ল্যানের মধ্যে আমরা সবকিছু একত্রে দেখব সড়কপথ, রেলপথ ও নদীপথ। যেখানে যেটা উপযুক্ত, সেখানে সেটার উপর জোর দেব।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মেট্রোপলিটনের পুলিশ কমিশনার ড. মোহাম্মদ নাজমুল করিম খান ও গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীন। এছাড়াও বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।