Dhaka বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নিজে কোনোদিন দুর্নীতি করেননি এমন মন্তব্য করে নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন বলেছেন, দুর্নীতির ব্যাপারে আমার জিরো টলারেন্স থাকবে। আমি জীবনে নিজেও কোনোদিন দুর্নীতি করিনি।

রোববার (১৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে প্রথম অফিস করতে এসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যের দুর্নীতি দূর করতে আপনি কী করতে পারেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি যেগুলো বলছেন আপনাদের মতো আমিও শুনছি। ভেতরের খবর আমি জানি না। চেষ্টা করবো, এটুকু বলতে পারি দুর্নীতির ব্যাপারে আমার জিরো টলারেন্স থাকবে। আমি নিজেও জীবনে কোনোদিন দুর্নীতি করিনি। আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। উনি আমাকে বলেছেন তুমি করো, যদি কোনো অসুবিধা হয় আমাকে ফোন করবা। আমি সেটাই করবো। যদি কোথাও দেখি দুর্নীতি হচ্ছে আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।

গ্রাম-গঞ্জের ডাক্তার থাকে না এ সমস্যার সমাধান কীভাবে করবেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এখন ডাক্তার থাকে না এটা একটা সমস্যা আমি জানি। এর মেইন কারণ কী সেটা খুঁজে বের করতে হবে। আমি চেষ্টা করবো। আমার শুধু একপক্ষের কথা শুনলে হবে না, ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলতে হবে। আমাকে ডাক্তারের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখতে হবে। সব দেখে তারপর আমি ব্যবস্থা নেবো।

তিনি বলেন, আমার প্রথম কাজ হচ্ছে একেবারে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর, একেবারে গ্রাস রুট লেভেলে চিকিৎসাসেবাটা পৌঁছে দিতে পারি। সেই লক্ষ্য একদিনে পারবো না। আমাকে বসে সবার সঙ্গে কথা বলে, আমার দুই সচিবের সঙ্গে বসে ঠিক করবো কীভাবে কী করা যায়। আমরা যদি ওইটা করতে পারি তাহলে ঢাকা শহরে মাটিতে শুয়ে চিকিৎসা করাতে হবে না।
সামন্ত লাল বলেন, আমরা যদি সবাই সিনসিয়ারলি কাজ করি অসম্ভব কিছু না। পাঁচ থেকে ৫০০ বেডে (বার্ন ইউনিট) আসতে আমার অনেক কষ্ট হয়েছে। আমি অনেকের কাছে গেছি প্রথম প্রথম। আমাকে অনেকে ফিরিয়ে দিয়েছেন এবং ফাইল ছুড়ে মেরেছেন এরকম ঘটনাও আমার আছে। কিন্তু আমি ধৈর্য ধরে আসছি এবং সবার সহযোগিতা পেয়েই এ জায়গায় আসছি।

নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমি চেষ্টা করব। ওটা করতে পারলে ঢাকা শহরে শুয়ে (ফ্লোরে) চিকিৎসা নিতে হবে না।

কর্মপরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেন, আমি প্রত্যেকটা হাসপাতালে যাব, কী কী সমস্যা আছে জানব। তারপর আমি একটা কর্মপরিকল্পনা করব।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, একটি মেডিকেল কলেজ খুললেই হবে না, সেখানে চিকিৎসক লাগবে। আমি সবগুলো বিষয় দেখব। গ্রামে ডাক্তার কেন থাকে না তার কারণ বের করতে হবে। তাদের সঙ্গেও কথা বলতে হবে। সব দেখে আমি ব্যবস্থা নেব।

এ সময় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনাদের সবার কাছেই অনুরোধ, এ মন্ত্রণালয়ে যারা কর্মকর্তা আছেন এবং বাহির থেকেও যারা আছেন, আপনারা যেকোনো সময় যেকোনো কিছু…আপনারা আমার দরজায় কোনো প্রটোকল লাগবে না, আপনারা চলে আসবেন। আমি আগের মতোই থাকব, আমাকে একটু উপদেশ দেবেন। আপনাদের উপদেশ পেলে আমরা নির্ধারিতভাবে কাজ করতে পারব।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

জাকসু নির্বাচনের দায়িত্ব ছাড়লেন বিএনপিপন্থি ৩ শিক্ষক

দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৩:৫৩:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নিজে কোনোদিন দুর্নীতি করেননি এমন মন্তব্য করে নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন বলেছেন, দুর্নীতির ব্যাপারে আমার জিরো টলারেন্স থাকবে। আমি জীবনে নিজেও কোনোদিন দুর্নীতি করিনি।

রোববার (১৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে প্রথম অফিস করতে এসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যের দুর্নীতি দূর করতে আপনি কী করতে পারেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি যেগুলো বলছেন আপনাদের মতো আমিও শুনছি। ভেতরের খবর আমি জানি না। চেষ্টা করবো, এটুকু বলতে পারি দুর্নীতির ব্যাপারে আমার জিরো টলারেন্স থাকবে। আমি নিজেও জীবনে কোনোদিন দুর্নীতি করিনি। আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। উনি আমাকে বলেছেন তুমি করো, যদি কোনো অসুবিধা হয় আমাকে ফোন করবা। আমি সেটাই করবো। যদি কোথাও দেখি দুর্নীতি হচ্ছে আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।

গ্রাম-গঞ্জের ডাক্তার থাকে না এ সমস্যার সমাধান কীভাবে করবেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এখন ডাক্তার থাকে না এটা একটা সমস্যা আমি জানি। এর মেইন কারণ কী সেটা খুঁজে বের করতে হবে। আমি চেষ্টা করবো। আমার শুধু একপক্ষের কথা শুনলে হবে না, ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলতে হবে। আমাকে ডাক্তারের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখতে হবে। সব দেখে তারপর আমি ব্যবস্থা নেবো।

তিনি বলেন, আমার প্রথম কাজ হচ্ছে একেবারে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর, একেবারে গ্রাস রুট লেভেলে চিকিৎসাসেবাটা পৌঁছে দিতে পারি। সেই লক্ষ্য একদিনে পারবো না। আমাকে বসে সবার সঙ্গে কথা বলে, আমার দুই সচিবের সঙ্গে বসে ঠিক করবো কীভাবে কী করা যায়। আমরা যদি ওইটা করতে পারি তাহলে ঢাকা শহরে মাটিতে শুয়ে চিকিৎসা করাতে হবে না।
সামন্ত লাল বলেন, আমরা যদি সবাই সিনসিয়ারলি কাজ করি অসম্ভব কিছু না। পাঁচ থেকে ৫০০ বেডে (বার্ন ইউনিট) আসতে আমার অনেক কষ্ট হয়েছে। আমি অনেকের কাছে গেছি প্রথম প্রথম। আমাকে অনেকে ফিরিয়ে দিয়েছেন এবং ফাইল ছুড়ে মেরেছেন এরকম ঘটনাও আমার আছে। কিন্তু আমি ধৈর্য ধরে আসছি এবং সবার সহযোগিতা পেয়েই এ জায়গায় আসছি।

নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমি চেষ্টা করব। ওটা করতে পারলে ঢাকা শহরে শুয়ে (ফ্লোরে) চিকিৎসা নিতে হবে না।

কর্মপরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেন, আমি প্রত্যেকটা হাসপাতালে যাব, কী কী সমস্যা আছে জানব। তারপর আমি একটা কর্মপরিকল্পনা করব।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, একটি মেডিকেল কলেজ খুললেই হবে না, সেখানে চিকিৎসক লাগবে। আমি সবগুলো বিষয় দেখব। গ্রামে ডাক্তার কেন থাকে না তার কারণ বের করতে হবে। তাদের সঙ্গেও কথা বলতে হবে। সব দেখে আমি ব্যবস্থা নেব।

এ সময় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনাদের সবার কাছেই অনুরোধ, এ মন্ত্রণালয়ে যারা কর্মকর্তা আছেন এবং বাহির থেকেও যারা আছেন, আপনারা যেকোনো সময় যেকোনো কিছু…আপনারা আমার দরজায় কোনো প্রটোকল লাগবে না, আপনারা চলে আসবেন। আমি আগের মতোই থাকব, আমাকে একটু উপদেশ দেবেন। আপনাদের উপদেশ পেলে আমরা নির্ধারিতভাবে কাজ করতে পারব।