Dhaka শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দুর্দান্ত জয়ে বিপিএল শুরু বরিশালের

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৫:৩১:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ১৯৮ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

এবারের বিপিএল হবে অন্যরকম, অনেক আগ থেকেই কথাগুলো বলে আসছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। মাঠের বাইরের বিষয়ের সঙ্গে মাঠের খেলাতেও পরিবর্তন আনার আভাস দেওয়া হয়েছে। বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে সেটা দেখাও গেল। চার-ছক্কার ফুলঝুড়িতে প্রথম ম্যাচে রীতিমত রান উৎসব দেখা গেল। রান উৎসবের ম্যাচে ৪ উইকেটের দুর্দান্ত জয় পেয়েছে টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল।

বিপিএলে মিরপুরের পিচে সচরাচর বড় রানের দেখা মিলে না। এবার ‘পরিবর্তনের’ কথা বলে পিচেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। ব্যাটিং সহায়ক পিচ বানানোর চেষ্টা করেছে বিসিবি। তার সুফল মিলল উদ্বোধনী ম্যাচে। প্রথমে ব্যাটিং করে ইয়াছির আলি রাব্বির ৯৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করে ১৯৭ রানের বিশাল স্কোর গড়েছিল দুর্বার রাজশাহী। পরে ফাহিম আশরাফ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে সেই রান পেরিয়ে জিতেছে ফরচুন বরিশাল।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বরিশালের শুরুটা হয়েছিল খুবই বাজে। ইনিংসের প্রথম বলেই নাজমুল হোসেন শান্তকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন জিশান আলম। সুবিধা করতে পারেননি আরেক ওপেনার তামিম ইকবালও। ৫ বলে ৭ রান করেছেন অধিনায়ক।

১২ রানে দুই উইকেট হারানোর পর উইকেটে আসেন কাইল মেয়ার্স। গত আসরে দুর্দান্ত খেলা এই ক্যারিবিয়ান এবার শুরুর ম্যাচেই ব্যর্থ। ৫ বলে ৬ রান করা এই হার্ডহিটারকে রায়ান বার্লের ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফিরিয়েছেন তাসকিন আহমেদ।

৩০ রানে টপ অর্ডারের ৩ ব্যাটারকে হারিয়ে বিপদে পড়ে বরিশাল। সেই বিপদ আরো বাড়িয়েছেন মুশফিকুর রহিম-তাওহিদ হৃদয়রা। দুজনই শুরু পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি।

৬১ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ষষ্ঠ উইকেটে মাহমুদউল্লাহকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। ১৭ বলে ২৭ রান করে আফ্রিদি ফিরলে ভাঙে ৫১ রানের জুটি। এই জুটিতে কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরে বরিশাল।

এরপর ফাহিম আশরাফকে নিয়ে কাউন্টার অ্যাটাকে যান মাহমুদউল্লাহ। দুজনেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে সমীকরণ মেলানোয় মনোযোগ দেন। তাতে সফল দুজনই। ২৬ বলে অপরাজিত ৫৬ রান করেছেন মাহমুদউল্লাহ। আর ফাহিমের ব্যাট থেকে এসেছে ২১ বলে ৫৪ রান।

সপ্তম উইকেটে এ দুজন মিলে গড়েছেন ৮৮ রানের অপরাজিত জুটি। রিয়াদ করেছেন ২৬ বলে ৫ চার আর ৪ ছয়ে অপরাজিত ৫৬ রান। ওদিকে ফাহিম ৫৪ রান করেছেন ২১ বলে, ১ চারের সঙ্গে তিনি ছক্কা হাঁকিয়েছেন ৭টি। নিজের শেষ ছয় দিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করার পাশাপাশি নিজের ফিফটিও পূরণ করেন তিনি। তাসকিন ছাড়া আর ভালো মানের কোন পেসার না থাকাতেও স্লগ ওভারের হিসাব মিলিয়ে উঠতে পারেনি রাজশাহী।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি রাজশাহী। দুই বলে কোন রান করার আগেই কাইল মেয়ার্সের বলে বোল্ড হয়ে যান জিসান আলম। এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে রানের ফুলঝুরি ছিল তার ব্যাটে, প্রত্যাশার চাপ নিয়ে খেলতে নেমে বিপিএলে হয়েছেন ব্যর্থ।

আরেক ওপেনার মোহাম্মদ হারিসকেও এক ওভার পর এসে ফেরান মেয়ার্স। তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে ১২ বলে ১৩ রান করে আউট হন হারিস। কিন্তু এরপরই হাল ধরেন এনামুল হক বিজয় ও ইয়াসির আলি রাব্বি।

পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৪০ রান করে তারা। শুরুতে কিছুটা থিতু হওয়ার চেষ্টায় থাকা ইয়াসির-বিজয় জুটি পরে রীতিমতো ঝড় তোলেন। বিশেষত ইয়াসিরের ব্যাটে ঝড় ছিল। রিপন মন্ডলের এক ওভারে তিনি নেন ১৬ রান।

ইয়াসিরের সঙ্গে ৮৭ বলে ১৪০ রানের জুটির পর আউট হন এনামুল। ৫১ বলে ৬৫ রান করে ফাহিম আশরাফের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরত যান তিনি। তবে শেষ অবধি অপরাজিত থাকেন ইয়াসির। ৭ চার ও ৮ ছক্কায় ৪৭ বলে ৯৪ রান করেন তিনি।

বোলিংয়ে অভিষেক রাঙানো হয়নি পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদির। ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। এছাড়া রিপন মণ্ডল ৪ ওভারে দিয়েছেন ৫৫ রান। ভালো করেননি তানভীর ইসলামও। ৪৪ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। কাইল মায়ার্স ৩ ওভারে ১৩ রান দিয়ে পেয়েছেন ২ উইকেট।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

অপতথ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান সিইসির

দুর্দান্ত জয়ে বিপিএল শুরু বরিশালের

প্রকাশের সময় : ০৫:৩১:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক : 

এবারের বিপিএল হবে অন্যরকম, অনেক আগ থেকেই কথাগুলো বলে আসছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। মাঠের বাইরের বিষয়ের সঙ্গে মাঠের খেলাতেও পরিবর্তন আনার আভাস দেওয়া হয়েছে। বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে সেটা দেখাও গেল। চার-ছক্কার ফুলঝুড়িতে প্রথম ম্যাচে রীতিমত রান উৎসব দেখা গেল। রান উৎসবের ম্যাচে ৪ উইকেটের দুর্দান্ত জয় পেয়েছে টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল।

বিপিএলে মিরপুরের পিচে সচরাচর বড় রানের দেখা মিলে না। এবার ‘পরিবর্তনের’ কথা বলে পিচেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। ব্যাটিং সহায়ক পিচ বানানোর চেষ্টা করেছে বিসিবি। তার সুফল মিলল উদ্বোধনী ম্যাচে। প্রথমে ব্যাটিং করে ইয়াছির আলি রাব্বির ৯৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করে ১৯৭ রানের বিশাল স্কোর গড়েছিল দুর্বার রাজশাহী। পরে ফাহিম আশরাফ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে সেই রান পেরিয়ে জিতেছে ফরচুন বরিশাল।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বরিশালের শুরুটা হয়েছিল খুবই বাজে। ইনিংসের প্রথম বলেই নাজমুল হোসেন শান্তকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন জিশান আলম। সুবিধা করতে পারেননি আরেক ওপেনার তামিম ইকবালও। ৫ বলে ৭ রান করেছেন অধিনায়ক।

১২ রানে দুই উইকেট হারানোর পর উইকেটে আসেন কাইল মেয়ার্স। গত আসরে দুর্দান্ত খেলা এই ক্যারিবিয়ান এবার শুরুর ম্যাচেই ব্যর্থ। ৫ বলে ৬ রান করা এই হার্ডহিটারকে রায়ান বার্লের ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফিরিয়েছেন তাসকিন আহমেদ।

৩০ রানে টপ অর্ডারের ৩ ব্যাটারকে হারিয়ে বিপদে পড়ে বরিশাল। সেই বিপদ আরো বাড়িয়েছেন মুশফিকুর রহিম-তাওহিদ হৃদয়রা। দুজনই শুরু পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি।

৬১ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ষষ্ঠ উইকেটে মাহমুদউল্লাহকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। ১৭ বলে ২৭ রান করে আফ্রিদি ফিরলে ভাঙে ৫১ রানের জুটি। এই জুটিতে কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরে বরিশাল।

এরপর ফাহিম আশরাফকে নিয়ে কাউন্টার অ্যাটাকে যান মাহমুদউল্লাহ। দুজনেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে সমীকরণ মেলানোয় মনোযোগ দেন। তাতে সফল দুজনই। ২৬ বলে অপরাজিত ৫৬ রান করেছেন মাহমুদউল্লাহ। আর ফাহিমের ব্যাট থেকে এসেছে ২১ বলে ৫৪ রান।

সপ্তম উইকেটে এ দুজন মিলে গড়েছেন ৮৮ রানের অপরাজিত জুটি। রিয়াদ করেছেন ২৬ বলে ৫ চার আর ৪ ছয়ে অপরাজিত ৫৬ রান। ওদিকে ফাহিম ৫৪ রান করেছেন ২১ বলে, ১ চারের সঙ্গে তিনি ছক্কা হাঁকিয়েছেন ৭টি। নিজের শেষ ছয় দিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করার পাশাপাশি নিজের ফিফটিও পূরণ করেন তিনি। তাসকিন ছাড়া আর ভালো মানের কোন পেসার না থাকাতেও স্লগ ওভারের হিসাব মিলিয়ে উঠতে পারেনি রাজশাহী।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি রাজশাহী। দুই বলে কোন রান করার আগেই কাইল মেয়ার্সের বলে বোল্ড হয়ে যান জিসান আলম। এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে রানের ফুলঝুরি ছিল তার ব্যাটে, প্রত্যাশার চাপ নিয়ে খেলতে নেমে বিপিএলে হয়েছেন ব্যর্থ।

আরেক ওপেনার মোহাম্মদ হারিসকেও এক ওভার পর এসে ফেরান মেয়ার্স। তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে ১২ বলে ১৩ রান করে আউট হন হারিস। কিন্তু এরপরই হাল ধরেন এনামুল হক বিজয় ও ইয়াসির আলি রাব্বি।

পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৪০ রান করে তারা। শুরুতে কিছুটা থিতু হওয়ার চেষ্টায় থাকা ইয়াসির-বিজয় জুটি পরে রীতিমতো ঝড় তোলেন। বিশেষত ইয়াসিরের ব্যাটে ঝড় ছিল। রিপন মন্ডলের এক ওভারে তিনি নেন ১৬ রান।

ইয়াসিরের সঙ্গে ৮৭ বলে ১৪০ রানের জুটির পর আউট হন এনামুল। ৫১ বলে ৬৫ রান করে ফাহিম আশরাফের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরত যান তিনি। তবে শেষ অবধি অপরাজিত থাকেন ইয়াসির। ৭ চার ও ৮ ছক্কায় ৪৭ বলে ৯৪ রান করেন তিনি।

বোলিংয়ে অভিষেক রাঙানো হয়নি পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদির। ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। এছাড়া রিপন মণ্ডল ৪ ওভারে দিয়েছেন ৫৫ রান। ভালো করেননি তানভীর ইসলামও। ৪৪ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। কাইল মায়ার্স ৩ ওভারে ১৩ রান দিয়ে পেয়েছেন ২ উইকেট।