পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার জলিশা মিরাবাড়ি ব্রিজ থেকে মাঝেরবাড়ি পর্যন্ত ইউনিয়ন কানেক্টিং সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। ফলে ওই পথে চলাচলকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থী, রোগী ও স্থানীয় বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগে ভুগছেন।
জানা যায়, আংগারিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের জলিশা তালুকদার ইসলামিয়া স্বতন্ত্র ইফতেদায়ি মাদরাসা (প্রতিষ্ঠিত ২০০৫) ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জলিশা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় (প্রতিষ্ঠিত ২০১৫) এই দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী আসা-যাওয়া করে। কিন্তু যাতায়াতের একমাত্র এলজিইডি নির্মিত হেরিংবন্ড সড়কটি বিভিন্ন স্থানে ইট উঠে গিয়ে দেবে ও ভেঙে পড়ায় এখন প্রায় চলাচল-অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ভাঙ্গাচোরা সড়কে রিক্সা, ভ্যান, অটোবাইক ঢুকতে না পারায় শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীদের পায়ে হেটে অতিকষ্টে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এমন নাজুক রাস্তায় বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নিত্য চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তাজুড়ে বড় বড় গর্ত, জঙ্গল ও বর্ষায় হাঁটুসমান কাদা-পানিতে জমে থাকে। এতে রিকশা, ভ্যান ও অ্যাম্বুলেন্স চলাচল প্রায় বন্ধ। স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে।
জলিশা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের দায়িত্বরত প্রধান শিক্ষক সৈয়দ আতিকুল ইসলাম বলেন, খারাপ রাস্তার কারণে শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ভোগান্তিতে পড়ে, অনেক সময় বৃষ্টিতে পিছলে পড়ে আঘাতও পায়।
একই অভিযোগ করেন জলিশা তালুকদার ইসলামিয়া স্বতন্ত্র ইফতেদায়ি মাদরাসার প্রধান শিক্ষক আবু মুছা, তিনি জানান, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। রিকশা চালক মনির হোসেন বলেন, গাড়ি চালাতে অনেক কষ্ট হয়, রাস্তাটি এখনই সংস্কার নয়, স্থায়ী সমাধানের জন্য পাকা করণ আবশ্যক।
স্থানীয় বাসিন্দা সৈয়দ আমিনুল ইসলাম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, অবিলম্বে সংস্কার না হলে এলাকাবাসী আন্দোলনে নামবে।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান জানান, উপজেলার সব বেহাল রাস্তাই তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদন পেলে জরুরি রাস্তা হিসেবে এটি অগ্রাধিকার পাবে।