নিজস্ব প্রতিবেদক :
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ পদত্যাগ করেছেন। একই সঙ্গে অপর দুই কমিশনারও পদত্যাগ করেছেন। তারা হলে কমিশনার আছিয়া খাতুন (অনুসন্ধান) ও কমিশনার জহুরুল হক (তদন্ত)।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) মন্ত্রিপরিষদ সচিবের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি বরাবর এ পদত্যাগপত্র দুদকের দায়িত্বশীল একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিকাল সাড়ে ৩টায় দুদক চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা ছিল দুদক সংস্কার কমিশনের।
বৈঠকে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ও দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামানের নেতৃত্বে সংস্কার কমিশনের সদস্যদের উপস্থিত থাকার কথা ছিল। এর আগেই পদত্যাগ করলেন চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনার।
দুদক আইন অনুযায়ী, কমিশন নিজ পথ থেকে পদত্যাগ করতে হলে অন্তত এক মাস আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার বিধান রয়েছে। তাঁদের অব্যাহতি দেওয়ার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম কার্যকর।
দুদকের একটি সূত্র জানিয়েছে, দুদক চেয়ারম্যান ও কমিশনারেরা তাদের পদত্যাগপত্র কমিশন অফিসে জমা দিয়েছেন। এ বিষয়ে দুদক সচিব এবং সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এক অনির্ধারিত বৈঠক শুরু হয়েছে। বৈঠকের পর দুদক থেকে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে বলে জানা গেছে।
পদত্যাগপত্রটি মন্ত্রিপরিষদ হয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।
৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরে গত ১৩ আগস্ট দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান, কমিশনার ও সচিবকে পদত্যাগের জন্য আলটিমেটাম দিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ওইদিন আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন, নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, আইন কমিশনসহ সব কমিশনে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো বসে আছে। সব মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং সব কমিশনের প্রধানকে আজকের মধ্যে অপসারণ করতে হবে।
২০২১ সালের ৩ মার্চ রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর নিয়োগের গেজেটে সই করেন। ইকবাল মাহমুদের স্থলাভিষিক্ত হন মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ। তিনি এর আগে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ছিলেন।
পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে মইউদ্দীন আব্দুল্লাহ বলেন, এ বিষয়ে একটু পরে কথা বলছি, কিছু জানতে চাইলে সচিবের সঙ্গে কথা বলুন। এর পরই ফোন কলটি কেটে দেন তিনি।
আইন অনুযায়ী, তিনজন কমিশনারের সমন্বয়ে দুদক গঠিত হয়। কমিশনারদের মেয়াদ থাকে পাঁচ বছর। তাদের মধ্য থেকে একজনকে চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়।