Dhaka বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দুই শিশুসহ ইসরায়েলি নারীকে মুক্ত করে দিল হামাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ইসরায়েলের একজন নারী জিম্মি ও দুই শিশুকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। সংগঠনের সশস্ত্র শাখা কাসাম ব্রিগেড একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, যাতে দেখা যায়- একজন জিম্মি নারী ও দুই শিশুকে মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে।

স্থানীয় সময় বুধবার (১১ অক্টোবর) রাতে আল-জাজিরায় প্রচারিত ভিডিওটি দূর থেকে তোলা হয়েছে। যেখানে অজ্ঞাত ওই নারী ও শিশুদের পেছন থেকে দেখা গেছে। তাদের মুখ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল না। হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েল ও গাজার সীমান্তের একটি খোলা জায়গায় তাদের রেখে চলে যায়।

হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জেদিন আল-কাসাম ব্রিগেডস এক বিবৃতিতে বলেছে, একজন ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী এবং তার দুই সন্তানকে সংঘর্ষের সময় আটক করার হলেও পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

আল জাজিরা বলছে, হামাসের কাসাম ব্রিগেডস একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে যাতে দেখা যাচ্ছে, আটককৃত এক নারী ও তার দুই শিশুকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার রাতে আল জাজিরাতে প্রচারিত ফুটেজটি দূর থেকে ধারণ করা হয়েছে। সেখানে পেছন থেকে অজ্ঞাতনামা এক নারী এবং ওই দুই শিশুকে দেখানো হয়েছে।

ওই ভিডিও ফুটেজে বেশ কয়েকজন যোদ্ধাকে – যারা সম্ভবত হামাস যোদ্ধা – একটি বেড়ার কাছে খোলা জায়গায় ওই নারী ও তার দুই শিশুকে রেখে চলে যেতে দেখা যায়, যা ইসরায়েল এবং গাজার মধ্যে সীমান্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

ভিডিওটি কবে ধারণ করা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। তবে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এখনও ভিডিওটির বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।

হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসাম ব্রিগেডস এক বিবৃতিতে বলেছে, ওই নারী একজন ইসরায়েলি নাগরিক। বার্তাসংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘একজন ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী এবং তার দুই সন্তানকে সংঘর্ষের সময় আটক করা হলেও পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’

আল জাজিরার হোদা আবদেল-হামিদ পশ্চিম জেরুজালেম থেকে বলছেন, হামাসের প্রকাশিত ওই ভিডিও ফুটেজটিকে ইসরায়েলি মিডিয়া ‘এক চিমটি লবণ’ হিসেবে আখ্যায়িত করছে। তিনি জানান, ‘একজন প্রতিবেদক বলেছেন- হামাস ক্ষতি মেরামতের চেষ্টা করছে এবং এটি কেবল একটি মিডিয়া স্টান্ট। অন্যান্য ইসরায়েলি চ্যানেল বলছে, বন্দি মুক্তির এই ঘটনা আগে ঘটেছে। কেউ কেউ বলছেন, গত শনিবার এই ঘটনা ঘটেছে এবং হামাস এখন তার আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি উন্নত করার চেষ্টা করছে।’

আল জাজিরা বলছে, ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলার সময় গত শনিবার থেকে আনুমানিক ১৫০ জনকে বন্দি করেছে হামাস। পরে গত শনিবার থেকে ইসরায়েলের অবিরাম বিমান হামলা গাজার পুরো আশপাশের এলাকাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে এবং কমপক্ষে ১২০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও আরও হাজার হাজার আহত হয়েছেন।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা বলেছে, ইসরায়েলের হাতে অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি এই ভূখণ্ডে আড়াই লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। পর্যবেক্ষকরা এটিকে ‘মানবিক বিপর্যয়’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, গত শনিবার থেকে ইসরায়েলে ১৫৫ সেনাসহ ১২০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে।

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, সংঘর্ষের সময় আটক হওয়ার পর এক ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী ও তার দুই সন্তানকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

পশ্চিম জেরুজালেম থেকে আল জাজিরার সংবাদদাতা হোদা আবদেল হামিদ বলেন, ছবিগুলো এখন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি শুধু আল-জাজিরায় প্রচারিত হয়েছে।

ইসরায়েলের ওপর নজিরবিহীন হামলার সময় শনিবার হামাস আনুমানিক ১৫০ জনকে আটক করে।

এদিকে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা বলছে, ইসরাইলের অবরোধের মুখে থাকা ফিলিস্তিনি অঞ্চল থেকে আড়াই লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। পর্যবেক্ষকদের মতে এটি একটি মানবিক বিপর্যয়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ডাকসু নির্বাচনে জয়ী প্রথম দম্পতি রায়হান-সালমা

দুই শিশুসহ ইসরায়েলি নারীকে মুক্ত করে দিল হামাস

প্রকাশের সময় : ০২:১২:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ইসরায়েলের একজন নারী জিম্মি ও দুই শিশুকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। সংগঠনের সশস্ত্র শাখা কাসাম ব্রিগেড একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, যাতে দেখা যায়- একজন জিম্মি নারী ও দুই শিশুকে মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে।

স্থানীয় সময় বুধবার (১১ অক্টোবর) রাতে আল-জাজিরায় প্রচারিত ভিডিওটি দূর থেকে তোলা হয়েছে। যেখানে অজ্ঞাত ওই নারী ও শিশুদের পেছন থেকে দেখা গেছে। তাদের মুখ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল না। হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েল ও গাজার সীমান্তের একটি খোলা জায়গায় তাদের রেখে চলে যায়।

হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জেদিন আল-কাসাম ব্রিগেডস এক বিবৃতিতে বলেছে, একজন ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী এবং তার দুই সন্তানকে সংঘর্ষের সময় আটক করার হলেও পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

আল জাজিরা বলছে, হামাসের কাসাম ব্রিগেডস একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে যাতে দেখা যাচ্ছে, আটককৃত এক নারী ও তার দুই শিশুকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার রাতে আল জাজিরাতে প্রচারিত ফুটেজটি দূর থেকে ধারণ করা হয়েছে। সেখানে পেছন থেকে অজ্ঞাতনামা এক নারী এবং ওই দুই শিশুকে দেখানো হয়েছে।

ওই ভিডিও ফুটেজে বেশ কয়েকজন যোদ্ধাকে – যারা সম্ভবত হামাস যোদ্ধা – একটি বেড়ার কাছে খোলা জায়গায় ওই নারী ও তার দুই শিশুকে রেখে চলে যেতে দেখা যায়, যা ইসরায়েল এবং গাজার মধ্যে সীমান্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

ভিডিওটি কবে ধারণ করা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। তবে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এখনও ভিডিওটির বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।

হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসাম ব্রিগেডস এক বিবৃতিতে বলেছে, ওই নারী একজন ইসরায়েলি নাগরিক। বার্তাসংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘একজন ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী এবং তার দুই সন্তানকে সংঘর্ষের সময় আটক করা হলেও পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’

আল জাজিরার হোদা আবদেল-হামিদ পশ্চিম জেরুজালেম থেকে বলছেন, হামাসের প্রকাশিত ওই ভিডিও ফুটেজটিকে ইসরায়েলি মিডিয়া ‘এক চিমটি লবণ’ হিসেবে আখ্যায়িত করছে। তিনি জানান, ‘একজন প্রতিবেদক বলেছেন- হামাস ক্ষতি মেরামতের চেষ্টা করছে এবং এটি কেবল একটি মিডিয়া স্টান্ট। অন্যান্য ইসরায়েলি চ্যানেল বলছে, বন্দি মুক্তির এই ঘটনা আগে ঘটেছে। কেউ কেউ বলছেন, গত শনিবার এই ঘটনা ঘটেছে এবং হামাস এখন তার আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি উন্নত করার চেষ্টা করছে।’

আল জাজিরা বলছে, ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলার সময় গত শনিবার থেকে আনুমানিক ১৫০ জনকে বন্দি করেছে হামাস। পরে গত শনিবার থেকে ইসরায়েলের অবিরাম বিমান হামলা গাজার পুরো আশপাশের এলাকাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে এবং কমপক্ষে ১২০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও আরও হাজার হাজার আহত হয়েছেন।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা বলেছে, ইসরায়েলের হাতে অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি এই ভূখণ্ডে আড়াই লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। পর্যবেক্ষকরা এটিকে ‘মানবিক বিপর্যয়’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, গত শনিবার থেকে ইসরায়েলে ১৫৫ সেনাসহ ১২০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে।

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, সংঘর্ষের সময় আটক হওয়ার পর এক ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী ও তার দুই সন্তানকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

পশ্চিম জেরুজালেম থেকে আল জাজিরার সংবাদদাতা হোদা আবদেল হামিদ বলেন, ছবিগুলো এখন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি শুধু আল-জাজিরায় প্রচারিত হয়েছে।

ইসরায়েলের ওপর নজিরবিহীন হামলার সময় শনিবার হামাস আনুমানিক ১৫০ জনকে আটক করে।

এদিকে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা বলছে, ইসরাইলের অবরোধের মুখে থাকা ফিলিস্তিনি অঞ্চল থেকে আড়াই লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। পর্যবেক্ষকদের মতে এটি একটি মানবিক বিপর্যয়।