নিজস্ব প্রতিবেদক :
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের আসন পিরোজপুর-১ ও সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর পিরোজপুর-২ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের বৈধতা নিয়ে জারি করা রুল খারিজ করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে এই দুই সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত বহাল রইলো।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ন, এম কে রহমান, সাঈদ আহমেদ রাজা ও মোস্তাফিজুর রহমান খান। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. কামাল হোসেন মিয়াজী।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কামাল খান দাউদ। আজকে শুধু এই রায় ঘোষণার জন্য হাইকোর্টের এই বিশেষ বেঞ্চ বসানো হয়।
আদালতে এ বিষয়ে মতামত দেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ।
রায়ের পরে আইনজীবী কামাল হোসেন মিয়াজী জানান, সীমানা নির্ধারণের প্রক্রিয়ায় আইনের কোনো ব্যত্যয় হয়নি। তাই রুল খারিজ করে দিয়েছেন।
এর আগে, পিরোজপুর-১ ও পিরোজপুর-২ আসনের সীমানা পুনর্র্নিধারণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন পিরোজপুরের কাউখালীর বাসিন্দা আবু সাঈদ মিয়া, ভান্ডারিয়া পৌরসভার বাসিন্দা মো. কায়কোবাদ, মো. আহসানুল কিবরিয়া, ইন্দুরকানী উপজেলার বাসিন্দা আক্তারুজ্জামান ও নেছারাবাদ উপজেলার বাসিন্দা নাজমুল ইসলাম শরীফ।
গত ৩ জুন প্রকাশিত নির্বাচন কমিশনের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, পিরোজপুর-২ আসনে থাকা ইন্দুরকানী উপজেলাকে পিরোজপুর-১ আসনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। আর পিরোজপুর-১ আসন থেকে কেটে নেছারাবাদ উপজেলাকে যুক্ত করা হয়েছে পিরোজপুর-২ আসনের সঙ্গে। এতে এখন পিরোজপুর-১ আসনের সীমানায় থাকছে পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর ও ইন্দুরকানী উপজেলা।
এদিকে পিরোজপুর-২ আসনে থাকছে কাউখালী, ভান্ডারিয়া ও নেছারাবাদ উপজেলা। ইন্দুরকানী উপজেলাকে বাদ দিয়ে সেখানে নেছারাবাদকে যুক্ত করায় নাখোশ এ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।
পরে গত ৩০ জুলাই মৎস্য ও প্রাণীসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের নির্বাচনী আসন পিরোজপুর-১ ও সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর পিরোজপুর-২ এর সীমানা পুনর্র্নিধারণের প্রজ্ঞাপন কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।