নিজস্ব প্রতিবেদক :
দুই বিচারপতির পদত্যাগ দাবি করে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল-সমাবেশ করে আদালত অবমাননার ঘটনায় বিএনপি সমর্থক সাত আইনজীবীকে ব্যাখ্যা দিতে আগামী ১৫ জানুয়ারি তলব করেছেন আপিল বিভাগ।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৪ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। সেই সঙ্গে বিএনপি ও আওয়ামী লীগকে মিছিল সমাবেশ না করতে নির্দেশও দেন আপিল বিভাগ।
আদালত অবমাননার অভিযোগ ওঠা বিএনপির সাত আইনজীবী হলেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মদ আলী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ফাহিমা নাসরিন মুন্নি, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিমকোর্ট শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া, সুপ্রিমকোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, সুপ্রিমকোর্ট বারের সাবেক সহসম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিমকোর্ট শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল।
সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে ২৭ আগস্ট ওই সংবাদ সম্মেলন হয়। এতে দেওয়া বক্তব্যের কয়েকটি লাইন উদ্ধৃত করে ২৯ আগস্ট সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মো. নাজমুল হুদা আবেদনটি করেন। ওই আবেদনটি গত ৩০ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভগে শুনানি হয়। এতে বিচারপতিদের নিয়ে ব্যানার, লিফলেটসহ বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের মিছিল ও অবস্থানের ছবি যুক্ত করা হয়।
একইসঙ্গে তাদের সুপ্রিম কোর্টসহ সব আদালত অঙ্গনে কোনও ধরনের মিছিল-সমাবেশ না করার বিষয়ে হাইকোর্টের রায় কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি।
এর আগে, জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে ‘আমরা বাংলাদেশের বিচারপতিরা হলাম শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’- আপিল বিভাগের এক বিচারপতির এমন বক্তব্যকে কেন্দ্র করে মিছিল-স্লোগান-সভা অব্যাহত রাখায় বিএনপিপন্থি সাত আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়।
পরে ১৮ অক্টোবর বিএনপিপন্থি সাত আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগের আবেদনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে স্বেচ্ছায় বিবাদি হতে সুপ্রিম কোর্টের বিএনপিপন্থি আরও ১৯৫ জন আইনজীবী আবেদন জানান।
ইউনাইটেড ল’ইয়ারস ফ্রন্টের কো কনভেনার সিনিয়র অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বিএনপিপন্থি এডহক কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোহসীন রশিদ, বারের সাবেক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গিয়াসউদ্দিন, ফ্রন্টের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদল, অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক, সংবিধান সংরক্ষণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব, ড. মেহেদী, গোলাম রহমান, খালেদ আহমেদ, মোহাম্মদ আলী, কে আর খান পাঠান, রেজাউল করিম, মু কাইয়ুম, রায়হান বিশ্বাস, নুরুল হুদা, জুয়েল মুন্সি সুমনসহ ১৯৫ জন আইনজীবী ওই আবেদন জানান।