Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দুই দশক ধরে খালি অফিসার্স কোয়ার্টার

গাইবান্ধা জেলার সরকারি অফিসার্স কোয়ার্টারের অবস্থা জরাজীর্ণ। ২১ বছর থেকে সেখানকার ৪টি ভবনে কেউ বসবাস করে না। অযত্নে অবহেলায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ভবনগুলো। চুরি হচ্ছে ভবনের কোটি টাকার সম্পদ। সেখানে মাদক ব্যবসা ও চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন স্থানীয়রা।

১৯৮৬ সালে গাইবান্ধায় সাড়ে ৫ একর জমির উপর সরকারি কর্মকর্তাদের বসবাসের জন্য এই কোয়ার্টার নির্মাণ করে গণপূর্ত বিভাগ। সবিতা, ললিতা, ববিতা ও উত্তরা নামে ৪টি ব্লকে ৩টি দ্বিতল এবং একটি তিনতলা ভবন রয়েছে কোয়ার্টারে। তবে, পরবর্তীতে ডরমেটরী, সার্কিট হাউস, জেলা পরিষদের ডাকবাংলো এবং বিভিন্ন বিভাগের নিজস্ব রেস্ট হাউসে কর্মকর্তারা চলে যান। এতে ২০০১ সাল থেকে এই ভবনগুলো ফাঁকা পড়ে আছে।

দীর্ঘদিন কেউ না থাকায় ঝোপ জঙ্গলে ভরে গেছে ভবনগুলো। দরজা-জানালা, গ্রীল, বিদ্যুৎ ও পানির লাইনের যন্ত্রপাতি চুরি হয়ে গেছে। দিনে ছিনতাই আর সন্ধ্যা হলেই সেখানে মাদক ব্যবসাসহ চলে অসামাজিক কর্মকাণ্ড। এতে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় অধিবাসীরা।

এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. অলিউর রহমান।

এদিকে, এসব বিষয়ে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কথা বলতে রাজি হননি। তবে তিনি জানান, এগুলোর সংস্কার ও মেরামতের জন্য কয়েক বছর আগে ঢাকায় মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল তবে এখনও সিদ্ধান্ত আসেনি।

আবহাওয়া

বদলির চিঠি প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলায় ৮ কর কর্মকর্তা বরখাস্ত

দুই দশক ধরে খালি অফিসার্স কোয়ার্টার

প্রকাশের সময় : ০১:২৮:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২২

গাইবান্ধা জেলার সরকারি অফিসার্স কোয়ার্টারের অবস্থা জরাজীর্ণ। ২১ বছর থেকে সেখানকার ৪টি ভবনে কেউ বসবাস করে না। অযত্নে অবহেলায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ভবনগুলো। চুরি হচ্ছে ভবনের কোটি টাকার সম্পদ। সেখানে মাদক ব্যবসা ও চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন স্থানীয়রা।

১৯৮৬ সালে গাইবান্ধায় সাড়ে ৫ একর জমির উপর সরকারি কর্মকর্তাদের বসবাসের জন্য এই কোয়ার্টার নির্মাণ করে গণপূর্ত বিভাগ। সবিতা, ললিতা, ববিতা ও উত্তরা নামে ৪টি ব্লকে ৩টি দ্বিতল এবং একটি তিনতলা ভবন রয়েছে কোয়ার্টারে। তবে, পরবর্তীতে ডরমেটরী, সার্কিট হাউস, জেলা পরিষদের ডাকবাংলো এবং বিভিন্ন বিভাগের নিজস্ব রেস্ট হাউসে কর্মকর্তারা চলে যান। এতে ২০০১ সাল থেকে এই ভবনগুলো ফাঁকা পড়ে আছে।

দীর্ঘদিন কেউ না থাকায় ঝোপ জঙ্গলে ভরে গেছে ভবনগুলো। দরজা-জানালা, গ্রীল, বিদ্যুৎ ও পানির লাইনের যন্ত্রপাতি চুরি হয়ে গেছে। দিনে ছিনতাই আর সন্ধ্যা হলেই সেখানে মাদক ব্যবসাসহ চলে অসামাজিক কর্মকাণ্ড। এতে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় অধিবাসীরা।

এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. অলিউর রহমান।

এদিকে, এসব বিষয়ে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কথা বলতে রাজি হননি। তবে তিনি জানান, এগুলোর সংস্কার ও মেরামতের জন্য কয়েক বছর আগে ঢাকায় মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল তবে এখনও সিদ্ধান্ত আসেনি।