Dhaka শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দুইদিনেই শেষ ইতিহাসের ‘সংক্ষিপ্ততম’ টেস্ট

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৮:২৪:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৪
  • ২০০ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

সুইং ও বাউন্সের খেলায় মাত্র দেড় দিনেই কেপ টাউন টেস্টের সমাপ্তি হলো। যেখানে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ উইকেটে হারাল ভারত। এই জয়ে ১-১ ব্যবধানে সিরিজ ড্র করল রোহিত শর্মা বাহিনী।

এটি ছিল প্রোটিয়া অধিনায়ক ডিন এলগারের বিদায়ী টেস্ট। তবে টেস্টটি ওয়ানডে মেজাজেই যেন শেষ হলো। ৬৪২ বলের (১০৭ ওভার) মধ্যেই শেষ হয়ে যাওয়া এই টেস্টটি আবার বলের হিসাবে ইতিহাসের সংক্ষিপ্ততম ম্যাচ। এতে ভেঙেছে ৯২ বছরের রেকর্ড। এর আগে ১৯৩২ সালে মেলবোর্নে দক্ষিণ আফ্রিকাকে মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়া হারিয়েছিল ইনিংস ও ৭২ রানে, সে টেস্ট স্থায়ী হয়েছিল ৬৫৬ বল।

গতকালের মতো আজও নিউল্যান্ডসের উইকেট ভয়ংকর ছিল। যেখানে গতকাল দুদলের ২৩ উইকেট পড়েছিল। ভারতের প্রথম ইনিংসে তো শূন্য রানে শেষ ৬ উইকেটের পতন হয়।

বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) স্বাগতিকদের দ্বিতীয় ইনিংসে অন্য কোনো ব্যাটার যেখানে ১২ রানের বেশিই করতে পারেননি, এইডেন মার্করাম সেখানে খেলেছেন ১০৩ বলে ১০৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। তবে মার্করামের ওই শতকের পরও দ্বিতীয় ইনিংসে দ. আফ্রিকা ১৭৬ রানে থেমে ভারতকে লক্ষ্য দিতে পারে মাত্র ৭৯ রানের। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারত জয় পায় ১২ ওভারেই।

দক্ষিণ আফ্রিকার ৭৯ রানের ছোট লক্ষ্যে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ২৩ বলে ২৬ রান করে ফেরেন যশস্বী জসওয়াল। তবে এই রান তুলতেও বেশ ঘাম ঝরেছে ভারতের। শুভমান গিল ১১ বলে ১০ আর বিরাট কোহলি আউট হন ১১ বলে ১২ করেন। ১৬ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়া রোহিত শর্মাও ক্যাচ দিয়েছিলেন। প্রথম ইনিংসে শূন্য রানেই শেষ ৬ উইকেট হারায় ভারত। ফলে রোহিতের ক্যাচটা ড্রপ না হলে ম্যাচে আরও রোমাঞ্চ ছড়াতে পারতো। যদিও শেষ পর্যন্ত স্বস্তির জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ভারত।

এর আগে জাসপ্রিত বুমরার উইকেটের ছক্কায় দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭৬ রানে থামে দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংস। প্রোটিয়া ইনিংসে একমাত্র অর্জন এইডেন মার্করামের সেঞ্চুরি। ৭৩ রানে একবার জীবন পাওয়ার পর সুযোগ কাজে লাগান তিনি। ১০৩ বলে ১৭ চার ও ২ ছক্কায় ১০৬ রানের ইনিংস খেলেন মার্করাম। প্রোটিয়া ইনিংসের ৬০.২৩ শতাংশ রানই এসেছে তার ব্যাট থেকে। ১৯৬টি টেস্ট ম্যাচের তথ্য বিশ্লেষণ করে ক্রিকভিজ দেখিয়েছে, প্রত্যাশিত রান ও উইকেটের মডেল অনুসারে কেপটাউন টেস্টে করা মার্করামের সেঞ্চুরিটিই গত ১০৯৬টি টেস্টের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন।

কিন্তু তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি আর কেউ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২ রান এসেছে আগের দিন, ডিন এলগারের ব্যাট থেকে। প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট শিকার করা মোহাম্মদ সিরাজ এ ইনিংসে ফিরিয়েছেন শুধু মার্কর্মাকে। গতদিনের দুিই উইকেটের পর আর সফলতা পাননি মুকেশ কুমার। তবে প্রসিধ কৃষ্ণা একটি উইকেট নেন। প্রথম ইনিংসে মোহাম্মদ সিরাজের ৬ উইকেট শিকারে মাত্র ৫৫ রানে গুটিয়ে যায় প্রোটিয়ারা। জবাবে ভারত ১১ বলের ব্যবধানে কোনো রান না করেই শেষ ৬ উইকেট খোঁয়ালে ১৫৩ রানে অলআউট হতে হয়।

ম্যাচ সেরা হন মোহাম্মদ সিরাজ। আর যৌথভাবে সিরিজ সেরা হন এলগার ও বুমরাহ।

এর আগে তিন ম্যাচের ওয়ানডেতে ভারত ২-১ ব্যবধানে জয় পেয়েছিল। পরবর্তীতে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট ফরম্যাটের দুটি সিরিজই ড্র হয়েছে ১-১ ব্যবধানে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

দুইদিনেই শেষ ইতিহাসের ‘সংক্ষিপ্ততম’ টেস্ট

প্রকাশের সময় : ০৮:২৪:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক : 

সুইং ও বাউন্সের খেলায় মাত্র দেড় দিনেই কেপ টাউন টেস্টের সমাপ্তি হলো। যেখানে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ উইকেটে হারাল ভারত। এই জয়ে ১-১ ব্যবধানে সিরিজ ড্র করল রোহিত শর্মা বাহিনী।

এটি ছিল প্রোটিয়া অধিনায়ক ডিন এলগারের বিদায়ী টেস্ট। তবে টেস্টটি ওয়ানডে মেজাজেই যেন শেষ হলো। ৬৪২ বলের (১০৭ ওভার) মধ্যেই শেষ হয়ে যাওয়া এই টেস্টটি আবার বলের হিসাবে ইতিহাসের সংক্ষিপ্ততম ম্যাচ। এতে ভেঙেছে ৯২ বছরের রেকর্ড। এর আগে ১৯৩২ সালে মেলবোর্নে দক্ষিণ আফ্রিকাকে মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়া হারিয়েছিল ইনিংস ও ৭২ রানে, সে টেস্ট স্থায়ী হয়েছিল ৬৫৬ বল।

গতকালের মতো আজও নিউল্যান্ডসের উইকেট ভয়ংকর ছিল। যেখানে গতকাল দুদলের ২৩ উইকেট পড়েছিল। ভারতের প্রথম ইনিংসে তো শূন্য রানে শেষ ৬ উইকেটের পতন হয়।

বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) স্বাগতিকদের দ্বিতীয় ইনিংসে অন্য কোনো ব্যাটার যেখানে ১২ রানের বেশিই করতে পারেননি, এইডেন মার্করাম সেখানে খেলেছেন ১০৩ বলে ১০৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। তবে মার্করামের ওই শতকের পরও দ্বিতীয় ইনিংসে দ. আফ্রিকা ১৭৬ রানে থেমে ভারতকে লক্ষ্য দিতে পারে মাত্র ৭৯ রানের। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারত জয় পায় ১২ ওভারেই।

দক্ষিণ আফ্রিকার ৭৯ রানের ছোট লক্ষ্যে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ২৩ বলে ২৬ রান করে ফেরেন যশস্বী জসওয়াল। তবে এই রান তুলতেও বেশ ঘাম ঝরেছে ভারতের। শুভমান গিল ১১ বলে ১০ আর বিরাট কোহলি আউট হন ১১ বলে ১২ করেন। ১৬ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়া রোহিত শর্মাও ক্যাচ দিয়েছিলেন। প্রথম ইনিংসে শূন্য রানেই শেষ ৬ উইকেট হারায় ভারত। ফলে রোহিতের ক্যাচটা ড্রপ না হলে ম্যাচে আরও রোমাঞ্চ ছড়াতে পারতো। যদিও শেষ পর্যন্ত স্বস্তির জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ভারত।

এর আগে জাসপ্রিত বুমরার উইকেটের ছক্কায় দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭৬ রানে থামে দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংস। প্রোটিয়া ইনিংসে একমাত্র অর্জন এইডেন মার্করামের সেঞ্চুরি। ৭৩ রানে একবার জীবন পাওয়ার পর সুযোগ কাজে লাগান তিনি। ১০৩ বলে ১৭ চার ও ২ ছক্কায় ১০৬ রানের ইনিংস খেলেন মার্করাম। প্রোটিয়া ইনিংসের ৬০.২৩ শতাংশ রানই এসেছে তার ব্যাট থেকে। ১৯৬টি টেস্ট ম্যাচের তথ্য বিশ্লেষণ করে ক্রিকভিজ দেখিয়েছে, প্রত্যাশিত রান ও উইকেটের মডেল অনুসারে কেপটাউন টেস্টে করা মার্করামের সেঞ্চুরিটিই গত ১০৯৬টি টেস্টের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন।

কিন্তু তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি আর কেউ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২ রান এসেছে আগের দিন, ডিন এলগারের ব্যাট থেকে। প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট শিকার করা মোহাম্মদ সিরাজ এ ইনিংসে ফিরিয়েছেন শুধু মার্কর্মাকে। গতদিনের দুিই উইকেটের পর আর সফলতা পাননি মুকেশ কুমার। তবে প্রসিধ কৃষ্ণা একটি উইকেট নেন। প্রথম ইনিংসে মোহাম্মদ সিরাজের ৬ উইকেট শিকারে মাত্র ৫৫ রানে গুটিয়ে যায় প্রোটিয়ারা। জবাবে ভারত ১১ বলের ব্যবধানে কোনো রান না করেই শেষ ৬ উইকেট খোঁয়ালে ১৫৩ রানে অলআউট হতে হয়।

ম্যাচ সেরা হন মোহাম্মদ সিরাজ। আর যৌথভাবে সিরিজ সেরা হন এলগার ও বুমরাহ।

এর আগে তিন ম্যাচের ওয়ানডেতে ভারত ২-১ ব্যবধানে জয় পেয়েছিল। পরবর্তীতে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট ফরম্যাটের দুটি সিরিজই ড্র হয়েছে ১-১ ব্যবধানে।