নিজস্ব প্রতিবেদক :
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি ময়মনসিংহে দিপু দাস হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা আরো ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ডিসি-এসপিসহ সব মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে আয়োজিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আশঙ্কার কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ময়মনসিংহে একজন হিন্দুকে পুড়িয়ে মেরেছে। এ ধরনের ঘটনা আরও হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সে ব্যবস্থা নিতে হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যাতে অটুট থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে।
গত ১৮ ডিসেম্বর ভালুকায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে দীপু চন্দ্র দাশকে মব ভায়োলেন্সের মাধ্যমে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে আগুনে পোড়ানো হয়। বিষয়টি নিয়ে পরবর্তীতে র্যাব জানায়, কোথায় কবে ধর্ম অবমাননা করেছে দীপু, তার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
সভায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ডিসি-এসপিদের আশ্বাসের কথা তুলে ধরে সিইসি বলেন, তাদের কথা শুনে আমার বুকের জোর বেড়েছে। দেশে ও জাতির জন্য সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আমার একটি এজেন্ডা। আপনাদের সহোযোগিতা পেলে তা করতে পারবো। কোনোরকম পক্ষপাত হয়ে কাজ করবেন না।
তিনি বলেন, দুজন ব্যক্তি আমাদের কাছে ভিভিআইপি। একজন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অন্যজন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা। আইন থাকলে এখনই তাদের (ভিভিআইপি) ঘোষণা করে দিতাম।
নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা দেখেছি ঢাকা শহর পোস্টারে ছেয়ে গেছে। কিন্তু সময়মতো সেসব পোস্টার সরাতে দেখছি না।
তিনি বলেন, ইসি এখন অভিযোগ দাখিলের দপ্তর হয়ে গেছে। মানুষকে জানাতে হবে- কোথায় অভিযোগ করবে। অভিযোগ দায়েরের জন্য সেন্টার করতে হবে। আর ওই অভিযোগ সেন্টার থেকে অভিযোগ ম্যাজিসেট্রেটের কাছে দিতে হবে।
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা দেখেছি ঢাকা শহর পোস্টারে ছেয়ে গেছে। কিন্তু আপনারা যে সরাচ্ছেন তা কিন্তু দেখছি না। প্রতিটি কাজের পাবলিসিটি করেন। এখন যে পোস্টার সরে গেছে তা কিন্তু আমরা দেখছি না। ইসি এখন অভিযোগ দাখিলের দপ্তর হয়ে গেছে। মানুষকে জানাতে হবে কোথায় অভিযোগ করবে। অভিযোগ দায়েরের জন্য সেন্টার করতে হবে। আর ওই অভিযোগ সেন্টার থেকে অভিযোগ ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দিতে হবে।
ইসি সচিব আখতার আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় অন্য নির্বাচন কমিশনার, ইসি কর্মকর্তারা ও মাঠ প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তা, আইজিপি, মন্ত্রিপরিষদ সচিব অংশ নেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক 



















