নিজস্ব প্রতিবেদক :
দিল্লি এবং আওয়ামী দোসরদের দৌরাত্ম্য আর বাংলার মাটিতে চলবে না বলে উল্লেখ করেছেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর পল্টনে শফিউল আলম প্রধান মিলনায়তনে যুব জাগপা আয়োজিত ‘আমার দেশ পত্রিকার মজলুম সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ দোসরদের ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে এবং মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে’ যুব সমাবেশের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কিনা সেটার সিদ্ধান্ত আওয়ামী লীগ নেবে। অন্তর্বর্তী সরকারকে স্পষ্ট ভাষায় স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, আগস্ট মাসের ৫ তারিখে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হাজারো শহীদ পরিবার এবং বাংলার জনগণ তাদের রায় জানিয়ে দিয়েছে। আপনি হাজারো শহীদের রক্তের বিনিময়ে প্রধান উপদেষ্টা হয়েছেন। শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করবেন না। শহীদ পরিবার, জুলাই যোদ্ধা আর দেশের মানুষের রায় আপনাকে মানতে হবে। আর তাই দ্রুততম সময়ে গণহত্যাকারী সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। কথা পরিষ্কার দিল্লি এবং আওয়ামী দোসরদের দৌরাত্ম্য আর বাংলার মাটিতে চলবে না।
রাশেদ প্রধান বলেন, শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট আখ্যা দানকারী মাহমুদুর রহমান এবং আমাদের নেতা শফিউল আলম প্রধান এক সঙ্গে ভারতীয় আধিপত্যবাদ এবং শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। সত্য পথের পথিক মাহমুদুর রহমানের ওপরে শেখ হাসিনার হামলা, মামলা, অত্যাচার এবং আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়ার ইতিহাস আমরা ভুলি নাই। মাহমুদুর রহমান এবং আমার দেশ পত্রিকার সাংবাদিকদের নামে আওয়ামী দোসর এবং দেশের অর্থ পাচারকারী মেঘনা গ্রুপের ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা আমরা মেনে নেবো না। দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলা প্রত্যাহার করতে হবে নতুবা আন্দোলন গড়ে তোলা হবে এবং মেঘনা গ্রুপের পণ্য বয়কটের ডাক আসবে। ফ্যাসিস্ট হাসিনামুক্ত বাংলাদেশে, দিল্লি আর আওয়ামী দোসরদের দৌরাত্ম্য চলবে না।
যুব জাগপা সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, জাগপার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শফিকুল ইসলাম শফিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন ফিরোজ, যুব জাগপার সহ-সভাপতি সাহাবুউদ্দিন সাবু, ক্রীড়া সম্পাদক জনি নন্দী, সহ দপ্তর সম্পাদক আসাদুজ্জামান নুর, মো. শাহআলম, আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।