আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
পশ্চিমবঙ্গের পাহাড়ি জেলা দার্জিলিংয়ে টানা ভারী বর্ষণ ও ভূমিধসে অন্তত কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে মিরিকের বালাসন নদীর ওপর নির্মিত দুধিয়া সেতু (দুধিয়া ব্রিজ) ধসে পড়েছে, যা শিলিগুড়ি ও মিরিক শহরের প্রধান সংযোগপথগুলোর একটি। প্রশাসন বলছে, বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ি রাস্তাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বহু এলাকা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
রোববার (৫ অক্টোবর) হিন্দুস্তান টামস এক প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
দার্জিলিংয়ের সংসদ সদস্য ও বিজেপি নেতা রাজু বিস্তা জানিয়েছেন, অতি ভারী বর্ষণের ফলে এলাকায় প্রাণহানি ও সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যদিও এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করা যায়নি, স্থানীয় প্রশাসনের প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, মিরিক এলাকায় অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রাজু বিস্তা তার এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে লিখেছেন, দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে অতি ভারী বৃষ্টির কারণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও মৃত্যুর খবর পেয়ে আমি গভীরভাবে শোকাহত। আমি পরিস্থিতির নিবিড় পর্যবেক্ষণ করছি এবং স্থানীয় প্রশাসন ও উদ্ধারকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, অবিরাম বর্ষণের কারণে ভূমিধস ও সড়কধসে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়েছে। উদ্ধারকাজে দমকল ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী কাজ করছে।
ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর শনিবার থেকেই হিমালয় সংলগ্ন উত্তরবঙ্গের জেলাগুলো— দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে— রেড অ্যালার্ট জারি করেছিল। পূর্বাভাস অনুযায়ী, রোববারও আলিপুরদুয়ারে অতি ভারী বৃষ্টির রেড অ্যালার্ট কার্যকর রয়েছে, আর দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ির জন্য জারি আছে অরেঞ্জ অ্যালার্ট।
কলকাতার আঞ্চলিক আবহাওয়া কেন্দ্রের সর্বশেষ ‘নাওকাস্ট’ সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, দুপুর ১২টা পর্যন্ত কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলায় অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, পাহাড়ি অঞ্চলে টানা বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে আরও ভূমিধস ও সেতু ধসের আশঙ্কা রয়েছে।