Dhaka সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দরবারে হামলায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না : অতিরিক্ত ডিআইজি

রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি : 

যারা অশান্তির কারণ হয়েছেন এবং আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন, কেবল তাদেরই আইনের আওতায় আনা হবে। দরবারে হামলায় অপরাধীদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. সিদ্দিকুর রহমান।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, একটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হাজার হাজার মানুষ অংশ নিতে পারেন। তবে যখন সেই সমাবেশ অশান্ত হয়ে ওঠে, তখন সবার সম্পৃক্ততা থাকে না। তাই সবাইকে আসামি করা বা গ্রেফতার করা আইনসঙ্গত নয়। যারা অশান্তির কারণ, যারা আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে, শুধু তাদেরই আইনের আওতায় আনা হবে। অপরাধীদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

সিদ্দিকুর রহমান বলেন, মাজার ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও নুরাল পাগলার মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় যারা জড়িত; তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। এ ঘটনায় কোনো নিরপরাধ মানুষকে হয়রানি বা গণগ্রেপ্তার করা হবে না।

তিনি বলেন, যার বিরুদ্ধে তদন্তে সাক্ষ্য-প্রমাণ বেরিয়ে আসবে তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সে যদি প্রশাসনের ভেতর থাকে তার বিরুদ্ধেও, যে প্রশাসনের বাইরে আছে তার বিরুদ্ধেও। একটা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ যখন অশান্ত হয়ে যায়, তাতে কিন্তু সমাবেশের সবাই জড়িত থাকে না। একটা সমাবেশে হাজার হাজার মানুষ থাকে সবাই কিন্তু নাশকতা করে না। এবং সবাইকে আসামি করা, সবাইকে গ্রেপ্তার করা এটা তো আইনসঙ্গত না।

এ সময় রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবু রাসেল এবং গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের পর রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরাল পাগলের দরবারে তৌহিদি জনতার হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ভক্তদের পাল্টা সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় গোটা এলাকা। উত্তেজিত জনতা দরবার শরিফে হামলা চালায়, এতে আহত হন দুই পক্ষের শতাধিক মানুষ। এ ঘটনায় প্রাণ হারান রাসেল মোল্লা (২৮)। তিনি জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের জটু মিস্ত্রিপাড়ার আজাদ মোল্লার ছেলে।

এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৩ হাজার ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে পুলিশের উপপরিদর্শক সেলিম মোল্লা বাদী হয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলাটি করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন সড়কের বেহাল দশা, চলাচলে চরম ভোগান্তি

দরবারে হামলায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না : অতিরিক্ত ডিআইজি

প্রকাশের সময় : ০৫:০৬:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি : 

যারা অশান্তির কারণ হয়েছেন এবং আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন, কেবল তাদেরই আইনের আওতায় আনা হবে। দরবারে হামলায় অপরাধীদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. সিদ্দিকুর রহমান।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, একটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হাজার হাজার মানুষ অংশ নিতে পারেন। তবে যখন সেই সমাবেশ অশান্ত হয়ে ওঠে, তখন সবার সম্পৃক্ততা থাকে না। তাই সবাইকে আসামি করা বা গ্রেফতার করা আইনসঙ্গত নয়। যারা অশান্তির কারণ, যারা আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে, শুধু তাদেরই আইনের আওতায় আনা হবে। অপরাধীদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

সিদ্দিকুর রহমান বলেন, মাজার ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও নুরাল পাগলার মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় যারা জড়িত; তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। এ ঘটনায় কোনো নিরপরাধ মানুষকে হয়রানি বা গণগ্রেপ্তার করা হবে না।

তিনি বলেন, যার বিরুদ্ধে তদন্তে সাক্ষ্য-প্রমাণ বেরিয়ে আসবে তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সে যদি প্রশাসনের ভেতর থাকে তার বিরুদ্ধেও, যে প্রশাসনের বাইরে আছে তার বিরুদ্ধেও। একটা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ যখন অশান্ত হয়ে যায়, তাতে কিন্তু সমাবেশের সবাই জড়িত থাকে না। একটা সমাবেশে হাজার হাজার মানুষ থাকে সবাই কিন্তু নাশকতা করে না। এবং সবাইকে আসামি করা, সবাইকে গ্রেপ্তার করা এটা তো আইনসঙ্গত না।

এ সময় রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবু রাসেল এবং গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের পর রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরাল পাগলের দরবারে তৌহিদি জনতার হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ভক্তদের পাল্টা সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় গোটা এলাকা। উত্তেজিত জনতা দরবার শরিফে হামলা চালায়, এতে আহত হন দুই পক্ষের শতাধিক মানুষ। এ ঘটনায় প্রাণ হারান রাসেল মোল্লা (২৮)। তিনি জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের জটু মিস্ত্রিপাড়ার আজাদ মোল্লার ছেলে।

এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৩ হাজার ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে পুলিশের উপপরিদর্শক সেলিম মোল্লা বাদী হয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলাটি করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।