Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

দক্ষিণ কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির পশ্চিম উপকূলে অত্যাধুনিক এই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।

গত এক বছরের কম সময়ের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন অন্তত ৩টি বিমান বিধ্বস্ত হলো।

অবশ্য বিমান বিধ্বস্ত হলেও পাইলট নিরাপদে বের হয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন। এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরেও দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের একটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছিল।

সিউল থেকে প্রায় ১১০ মাইল দক্ষিণে অবস্থিত কুনসান বিমান ঘাঁটি থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কোরিয়ান উপদ্বীপের পশ্চিমে একটি প্রশিক্ষণ মিশনের সময় ঘটনাটি ঘটে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার পশ্চিম উপকূলে একটি মার্কিন এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সমুদ্রে বিধ্বস্ত হয়েছে বলে দেশটিতে অবস্থানরত মার্কিন বিমান বাহিনীর একটি ইউনিট জানিয়েছে। এছাড়া পাইলটকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে মার্কিন বাহিনীর এই ইউনিট।

বিমান বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনারকবলে পড়া যুদ্ধবিমান থেকে পাইলট নিরাপদে বের হয়ে যান এবং বিধ্বস্ত হওয়ার প্রায় ৫০ মিনিট পরে তাকে উদ্ধার করা হয়। চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

৮ম ফাইটার উইং কমান্ডার কর্নেল ম্যাথিউ গেট একটি বিবৃতিতে কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের উদ্ধারকারী বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

এদিকে দীর্ঘ আলোচনার পর অবশেষে তুরস্কের কাছ এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিক্রি করছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) ২৩ বিলিয়ন ডলারের চুক্তির অনুমোদন করেছে ওয়াশিংটন। এর আগে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার জন্য সুইডেনকে অনুমোদন দেয় তুরস্ক।

যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, তুরস্কের সঙ্গে এই চুক্তির ব্যাপারে কংগ্রেসকে জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। একই সঙ্গে গ্রিসের কাছে ৪০টি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

অষ্টম ফাইটার উইংয়ের কমান্ডার কর্নেল ম্যাথিউ গেটকে দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্ধারকারীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তারা পাইলটকে খুঁজে বের করতে মার্কিন সেনাবাহিনীর সাথে কাজে যোগ দিয়েছিলেন।

কর্নেল ম্যাথিউ গেটকে বলেছেন, সমুদ্র থেকে বিমানটি খুঁজে বের করা এবং পুনরুদ্ধার করার দিকেই এখন তাদের মনোযোগ রয়েছে।

এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে নিয়মিত প্রশিক্ষণ ফ্লাইটের সময় আরেকটি মার্কিন এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সিউলের দক্ষিণাঞ্চলে কৃষি এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। সেসময়ও পাইলট নিরাপদে বের হয়ে যান এবং বিধ্বস্তের জেরে অন্য কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

তারও আগে গত বছরের নভেম্বরের শেষের দিকে জাপানের ইয়াকুশিমা দ্বীপের উপকূলে একটি মার্কিন যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। সিভি-২২ ওসপ্রে মডেলের সেই যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ৬ মার্কিন সেনা নিহত হন।

উল্লেখ্য, ওয়াশিংটন হচ্ছে সিউলের প্রধান নিরাপত্তা মিত্র। পারমাণবিক ক্ষমতাশালী উত্তর কোরিয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রায় ২৮ হাজার ৫০০ মার্কিন সৈন্য মোতায়েন রয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত

প্রকাশের সময় : ০৫:৩০:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

দক্ষিণ কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির পশ্চিম উপকূলে অত্যাধুনিক এই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।

গত এক বছরের কম সময়ের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন অন্তত ৩টি বিমান বিধ্বস্ত হলো।

অবশ্য বিমান বিধ্বস্ত হলেও পাইলট নিরাপদে বের হয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন। এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরেও দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের একটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছিল।

সিউল থেকে প্রায় ১১০ মাইল দক্ষিণে অবস্থিত কুনসান বিমান ঘাঁটি থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কোরিয়ান উপদ্বীপের পশ্চিমে একটি প্রশিক্ষণ মিশনের সময় ঘটনাটি ঘটে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার পশ্চিম উপকূলে একটি মার্কিন এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সমুদ্রে বিধ্বস্ত হয়েছে বলে দেশটিতে অবস্থানরত মার্কিন বিমান বাহিনীর একটি ইউনিট জানিয়েছে। এছাড়া পাইলটকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে মার্কিন বাহিনীর এই ইউনিট।

বিমান বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনারকবলে পড়া যুদ্ধবিমান থেকে পাইলট নিরাপদে বের হয়ে যান এবং বিধ্বস্ত হওয়ার প্রায় ৫০ মিনিট পরে তাকে উদ্ধার করা হয়। চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

৮ম ফাইটার উইং কমান্ডার কর্নেল ম্যাথিউ গেট একটি বিবৃতিতে কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের উদ্ধারকারী বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

এদিকে দীর্ঘ আলোচনার পর অবশেষে তুরস্কের কাছ এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিক্রি করছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) ২৩ বিলিয়ন ডলারের চুক্তির অনুমোদন করেছে ওয়াশিংটন। এর আগে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার জন্য সুইডেনকে অনুমোদন দেয় তুরস্ক।

যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, তুরস্কের সঙ্গে এই চুক্তির ব্যাপারে কংগ্রেসকে জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। একই সঙ্গে গ্রিসের কাছে ৪০টি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

অষ্টম ফাইটার উইংয়ের কমান্ডার কর্নেল ম্যাথিউ গেটকে দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্ধারকারীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তারা পাইলটকে খুঁজে বের করতে মার্কিন সেনাবাহিনীর সাথে কাজে যোগ দিয়েছিলেন।

কর্নেল ম্যাথিউ গেটকে বলেছেন, সমুদ্র থেকে বিমানটি খুঁজে বের করা এবং পুনরুদ্ধার করার দিকেই এখন তাদের মনোযোগ রয়েছে।

এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে নিয়মিত প্রশিক্ষণ ফ্লাইটের সময় আরেকটি মার্কিন এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সিউলের দক্ষিণাঞ্চলে কৃষি এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। সেসময়ও পাইলট নিরাপদে বের হয়ে যান এবং বিধ্বস্তের জেরে অন্য কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

তারও আগে গত বছরের নভেম্বরের শেষের দিকে জাপানের ইয়াকুশিমা দ্বীপের উপকূলে একটি মার্কিন যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। সিভি-২২ ওসপ্রে মডেলের সেই যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ৬ মার্কিন সেনা নিহত হন।

উল্লেখ্য, ওয়াশিংটন হচ্ছে সিউলের প্রধান নিরাপত্তা মিত্র। পারমাণবিক ক্ষমতাশালী উত্তর কোরিয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রায় ২৮ হাজার ৫০০ মার্কিন সৈন্য মোতায়েন রয়েছে।