Dhaka বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দক্ষিণ আফ্রিকা বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৫:০৯:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪
  • ১৯৮ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়কের কথা মানলে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ রান বেশি করেছে। আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়কের কথা মানলে মনে হবে, তারাই রান কম করেছে। জ্যামাইকার কিংস্টনের স্যাবাইনা পার্কের উইকেট আসলে কত রানের সেটি শুধু উইকেট-ই জানে!

প্রায় দুই বছরের মধ্যে বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সেখানে অনুষ্ঠিত হলো প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৮ উইকেটে ১৭৫ রান তুলেছিল। তাড়া করতে নেমে ১৯.৫ ওভারে ১৪৭ রানে গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। সিরিজের এই প্রথম টি-টোয়েন্টি ২৮ রানে জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ শুরু করে কিংয়ের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে। প্রথম তিন ওভারে ওঠে ৩৪ রান, এক ওপেনার জনসন চার্লসের রান তখনও শূন্য।

চার্লস আউট হন ১ রানে। এরপর কিংয়ের সঙ্গে দ্রুত রানের ধারা ধরে রাখেন বিশ্বকাপ দলে জায়গা না পাওয়া কাইল মেয়ার্স। দ্বিতীয় উইকেটে ৪৪ বলে ৭৯ রান যোগ করেন দুজন। কিং ফিফটি করেন ২৬ বলে। নবম ওভারে ১০০ পেরিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

ছয়টি করে চার ও ছক্কায় ৭৯ করে কিং যখন আউট হন, ১১ ওভারে দলের রান তখন ১১৫। পরের বিপর্যয়ের আঁচ তখনও পাওয়া যায়নি। কিন্তু তিন ছক্কায় ২৫ বলে ৩৪ করে মেয়ার্স আউট হওয়ার পরই ক্যারিবিয়ানদের উল্টো যাত্রার শুরু। এক পাশে রোস্টন চেইস উইকেট আগলে রাখেন, আরেক পাশে উইকেট পড়তে থাকে নিয়মিত।

শেষ সাত ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে তারা রান তুলতে পারে কেবল ৪৩। চেইস অপরাজিত রয়ে যান ৩০ বলে ৩২ করে।

২৬ রানে ৩ উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা বোলার ওটনিল বার্টমান। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে অভিষেকে ৩১ বছর বয়সী এই পেসারের চেয়ে ভালো পারফরম্যান্স আছে আর কেবল দুই বোলারের।

রান তাড়া করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে প্রোটিয়ারা। সঙ্গী হারাতে থাকলেও একপ্রান্ত আগলে ব্যাটিং করতে থাকেন হেনড্রিকস। তিনি শেষ ওভারে গিয়ে আউট হন। ৫১ বলে ৬টি চার ও ৬ ছক্কায় খেলে যান ৮৭ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন। যদিও অন্য ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় তার ইনিংসটি বিফলে যায়।

হেনড্রিকস বাদে ম্যাথিউ ব্রিটজকে ৪ চারে ১৯ ও রাসি ফন ডের ডুসেন ১ চারে করেন ১৭ রান। বাকিদের কেউ দুই অঙ্কের কোটা ছুঁতে পারেনি।

তার আগে উইন্ডিজের ইনিংসেও ছয় ব্যাটসম্যান আউট হন দুই অঙ্কের কোটা ছোঁয়ার আগে। জনসন চার্লস ১, অ্যান্দ্রে ফ্লেচার ১, ফাবিয়ান আলেন ১, আকিল হোসেন ২, ফোর্ড ৫ ও মোতি ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন।

তবু কিং, কাইল মায়ার্স ও রোস্টন চেজের ব্যাটে ১৭৫ রানের লড়াকু পুঁজি পায় উইন্ডিজ। কিং ৪৫ বলে ৬টি চার ও ৬ ছক্কায় ৭৯ রানের ইনিংস খেলেন। মায়ার্স ১ চার ও ৩ ছক্কায় করেন ৩৪ রান। আর চেস ২ চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত ৩২ রানের ইনিংস খেলেন।

বল হাতে দক্ষিণ আফ্রিকার অটনিয়েল বার্টম্যান ও আন্দিলে ফেলুকাওয়ে ৩টি করে উইকেট নেন। ম্যাচসেরা হন উইন্ডিজ অধিনায়ক কিং।

এ মাঠেই সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি শনিবার (২৫ মে)।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

দক্ষিণ আফ্রিকা বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়

প্রকাশের সময় : ০৫:০৯:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক : 

দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়কের কথা মানলে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ রান বেশি করেছে। আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়কের কথা মানলে মনে হবে, তারাই রান কম করেছে। জ্যামাইকার কিংস্টনের স্যাবাইনা পার্কের উইকেট আসলে কত রানের সেটি শুধু উইকেট-ই জানে!

প্রায় দুই বছরের মধ্যে বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সেখানে অনুষ্ঠিত হলো প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৮ উইকেটে ১৭৫ রান তুলেছিল। তাড়া করতে নেমে ১৯.৫ ওভারে ১৪৭ রানে গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। সিরিজের এই প্রথম টি-টোয়েন্টি ২৮ রানে জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ শুরু করে কিংয়ের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে। প্রথম তিন ওভারে ওঠে ৩৪ রান, এক ওপেনার জনসন চার্লসের রান তখনও শূন্য।

চার্লস আউট হন ১ রানে। এরপর কিংয়ের সঙ্গে দ্রুত রানের ধারা ধরে রাখেন বিশ্বকাপ দলে জায়গা না পাওয়া কাইল মেয়ার্স। দ্বিতীয় উইকেটে ৪৪ বলে ৭৯ রান যোগ করেন দুজন। কিং ফিফটি করেন ২৬ বলে। নবম ওভারে ১০০ পেরিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

ছয়টি করে চার ও ছক্কায় ৭৯ করে কিং যখন আউট হন, ১১ ওভারে দলের রান তখন ১১৫। পরের বিপর্যয়ের আঁচ তখনও পাওয়া যায়নি। কিন্তু তিন ছক্কায় ২৫ বলে ৩৪ করে মেয়ার্স আউট হওয়ার পরই ক্যারিবিয়ানদের উল্টো যাত্রার শুরু। এক পাশে রোস্টন চেইস উইকেট আগলে রাখেন, আরেক পাশে উইকেট পড়তে থাকে নিয়মিত।

শেষ সাত ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে তারা রান তুলতে পারে কেবল ৪৩। চেইস অপরাজিত রয়ে যান ৩০ বলে ৩২ করে।

২৬ রানে ৩ উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা বোলার ওটনিল বার্টমান। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে অভিষেকে ৩১ বছর বয়সী এই পেসারের চেয়ে ভালো পারফরম্যান্স আছে আর কেবল দুই বোলারের।

রান তাড়া করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে প্রোটিয়ারা। সঙ্গী হারাতে থাকলেও একপ্রান্ত আগলে ব্যাটিং করতে থাকেন হেনড্রিকস। তিনি শেষ ওভারে গিয়ে আউট হন। ৫১ বলে ৬টি চার ও ৬ ছক্কায় খেলে যান ৮৭ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন। যদিও অন্য ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় তার ইনিংসটি বিফলে যায়।

হেনড্রিকস বাদে ম্যাথিউ ব্রিটজকে ৪ চারে ১৯ ও রাসি ফন ডের ডুসেন ১ চারে করেন ১৭ রান। বাকিদের কেউ দুই অঙ্কের কোটা ছুঁতে পারেনি।

তার আগে উইন্ডিজের ইনিংসেও ছয় ব্যাটসম্যান আউট হন দুই অঙ্কের কোটা ছোঁয়ার আগে। জনসন চার্লস ১, অ্যান্দ্রে ফ্লেচার ১, ফাবিয়ান আলেন ১, আকিল হোসেন ২, ফোর্ড ৫ ও মোতি ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন।

তবু কিং, কাইল মায়ার্স ও রোস্টন চেজের ব্যাটে ১৭৫ রানের লড়াকু পুঁজি পায় উইন্ডিজ। কিং ৪৫ বলে ৬টি চার ও ৬ ছক্কায় ৭৯ রানের ইনিংস খেলেন। মায়ার্স ১ চার ও ৩ ছক্কায় করেন ৩৪ রান। আর চেস ২ চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত ৩২ রানের ইনিংস খেলেন।

বল হাতে দক্ষিণ আফ্রিকার অটনিয়েল বার্টম্যান ও আন্দিলে ফেলুকাওয়ে ৩টি করে উইকেট নেন। ম্যাচসেরা হন উইন্ডিজ অধিনায়ক কিং।

এ মাঠেই সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি শনিবার (২৫ মে)।