আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
মিশরের রাফাহ সীমান্ত দিয়ে রোববার (২৯ অক্টোবর) ৩৩টি ট্রাক পানি, খাদ্য ও চিকিৎসা সরবরাহ নিয়ে গাজায় প্রবেশ করেছে বলে জাতিসঙ্ঘের মানবিক সংস্থা ওসিএইচএ ঘোষণা করেছে।
ওসিএইচএ সোমবার জানিয়েছে, ২১ অক্টোবর মানবিক সহায়তা বিতরণ শুরু হওয়ার পর এটি ছিল বৃহত্তম চালান।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইল দ্বারা বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ করার পর জেনারেটরে কাজ পরিচালনা করার জন্য হাসপাতালগুলোর পক্ষ থেকে জ্বালানি সরবরাহের অনুরোধ সত্ত্বেও দেয়া হয়নি।
ওসিএইচএ সতর্ক জারি করে বলেছে, নাগরিক অস্থিরতাসহ মানবিক পরিস্থিতির অবনতি ঠেকাতে আরও সাহায্যের প্রয়োজন। সংস্থাটি আরও বলেছে, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও পানি সরবরাহের জন্য ‘জরুরিভিত্তিতে জ্বালানি প্রয়োজন’।
আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রচেষ্টায় মিসরের রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে ২১ অক্টোবর ২০টি এবং তার পরের দিন ১৭টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে। তারপর বৃহস্পতিবার আরও ৯টি ত্রাণবাহী ট্রাকে ১৪১ মেট্রিক টন খাদ্যসামগ্রী প্রবেশ করেছে।
এএফপি নিউজ এজেন্সি অনুসারে, বিধ্বস্থ গাজায় সীমিত ডেলিভারি পুনরায় শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ১১৭টি ট্রাক সরবরাহ নিয়ে গেছে।
অবরোধের আগে প্রতিদিন প্রায় ৫০০ ট্রাক সাহায্য এবং অন্যান্য পণ্য বহন করে গাজায় প্রবেশ করতো।
এদিকে গাজায় ইসরাইলি হামলায় এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা আট হাজার ছাড়িয়েছে। রোববার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। এদের অর্ধেকই শিশু। শনিবার নিহতের সংখ্যা সাত হাজার ৭০৩ বলে জানানো হয়েছিল।
উল্লেখ্য, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে ঘোষণা করে। এর প্রতিরোধে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরাইল।
এক বিবৃতিতে হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ বলেন, গত শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে ইসরাইলে পাঁচ হাজার রকেট বর্ষণের মাধ্যমে ‘অপারেশন আল-আকসা স্ট্রম’ শুরু হয়েছে। এ সময় ইসরাইল গাজা থেকে অনুপ্রবেশের কথা স্বীকার করে।
বস্তুত, ১৯৫৩ সালের পর এই প্রথম এত বড় মাত্রার যুদ্ধ শুরু হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে।