নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকা থেকে সুস্মিতা সাহা নামে এক নারী চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত ১টার দিকে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সুস্মিতা জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার আরামনগর গ্রামের সনজিৎ কুমার ও ডলি রানির সন্তান।
জানা যায়, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানাধীন নাখালপাড়া এলাকায় এক বান্ধবীর বাসায় ছিলেন সুম্মিতা। বান্ধবীর বাসাতেই গতরাতে তিনি ঘুমের ওষুধ খান। গুরুতর অসুস্থ তাকে অবস্থায় ইম্পালস হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
মাজহারুল ইসলাম জানান, একটি ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল সুস্মিতার। ধারণা করা হচ্ছে, সম্পর্ক অবনতি হওয়ার কারণে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার একটি বাসায় তিনি অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তার পরিচিত লোকজন হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, এ সময় একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া সুস্মিতা মিরপুর-১৪ ডেন্টাল কলেজ থেকে ডাক্তারি পাস করেন। বর্তমানে তিনি কোথায় চেম্বার করতেন সেটা জানা যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
ঘুমের ওষুধ খাওয়ার আগে তিনি চিরকুট লিখেছেন, যা ইতোমধ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে জব্দ করা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিতে ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল মর্গে মরদেহ পাঠানো হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া চিরকুটে লিখা ছিল, ‘….একবার আমার মুখটা দেখো। আমি একবার তোমাকে দেখতে চাই। ওষুধ এ রিয়েকশন শুরু হয়ে গেছে। তোমার সুখ, তোমার পাশে অন্য কাউকে দেখে আমার বাঁচা সম্ভব না। কোথাও আমাকে পেলে অপরিচিত হয়ে এড়িয়ে যেতে। সুখী হও।’