Dhaka শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তৃণমূলেও উন্নয়ন পৌছেঁ দিতে চায় সরকার : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

কেবল শহর নয়, তৃণমূল পর্যন্ত উন্নয়ন পৌঁছে দেয়াই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যে মানুষটা তৃণমূলে পড়ে আছে তাকে আগে টেনে তুলে আনতে হবে।

সোমবার (১৫ মে) বেলা পৌনে ১২টায় শাহবাগে বিসিএস প্রশাসন একাডেমিতে চলমান ১২৭, ১২৮ এবং ১২৯তম আইন ও প্রশাসন কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তৃণমূল পর্যন্ত উন্নয়ন করাই সরকারের লক্ষ্য মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের উন্নয়নের লক্ষ্যই ছিল তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত উন্নয়ন করা, এটা শুধু শহরভিত্তিক মানুষের জন্য না। আর তৃণমূলপর্যায়ে মানুষের উন্নতিটা যেন হয়, তাদের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানো, মাথাপিছু আয় বাড়নো এবং তাদের জীবনযাত্রার মান বাড়বে সেভাবেই সব পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করা হয়। ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণ করার পর এখনও আমরা ক্ষমতায় আছি, সেভাবেই কাজ করে যাওয়া হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষাসহ সবক্ষেত্রেই যাতে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হয় সেজন্য সব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তাদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর পাশাপাশি প্রশিক্ষণের ওপর জোর দেয়া হয়েছে।

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারের হত্যার পর যেসব সরকার ক্ষমতায় ছিল তারা মানুষের কল্যাণে কোনো কাজ করেনি বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ৭৫ পরবর্তী সরকারগুলো নিজেদের ক্ষমতা রক্ষায় ব্যস্ত ছিল। তারা মানুষের কল্যাণে কোনো কাজ করেনি।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের স্মৃতিচারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের মধ্যে দিয়েই ৭৫ পরবর্তী সময়ে ক্ষমতার পালাবদল হয়। সে সময় মানুষের বিচার চাওয়ার অধিকার ছিল না। মানুষের বেঁচে থাকার কোনো অধিকার ছিল না। ক্ষমতাসীনরা নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনে ব্যস্ত ছিলেন। সামরিক স্বৈরশাসকের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে দেশে ফিরে আসি।

দেশের প্রতিটি ক্ষেত্র আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে জোর দেওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর পাশাপাশি প্রশিক্ষণের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। শিক্ষাসহ সব ক্ষেত্রই যাতে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হয় সেজন্য সব পদক্ষেণ নেওয়া হয়েছে। দারিদ্রের হার শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে কাজ করছে সরকার।

ক্ষমতায় থাকতে বিএনপি জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতি করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে বলে মন্তব্য করেন সরকারপ্রধান।

দেশ যাতে পিছিয়ে না যায় সেদিকে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের খেয়াল রাখার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের বেতন-ভাতা যা কিছু সব জনগণের কাছ থেকে আসে। তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কাজ করা সকলের কর্তব্য। এই কথা মনে রেখে সব সময় চলতে হবে। যারা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, শপথ নিয়েছেন তাদেরকে এটুকু বলব, দেশের জনগণের সেবা করা এটাই সবচেয়ে বড় কাজ। আজকে বাংলাদেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে তার গতির যেন অব্যাহত থাকে। আমার এইটুকু দাবি।

তিনি বলেন, একজন মা যেমন একটি সংসারকে আগলে ধরে সবার ভালো দেখতে চান, আমি কিন্তু সেই মানসিকতা নিয়ে দেশটাকে পরিচালনা করে এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছি। এখান থেকে যেন আর আমাদের পিছিয়ে যেতে না হয়। সেদিকে সবাইকে দৃষ্টি দিতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, সাধারণ মানুষ যেন ন্যায় বিচার পায়। মাদক, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও দুর্নীতির হাত থেকে যেন মানুষ মুক্তি পায়। এগুলো সমাজটাকে নষ্ট করে, একেকটা পরিবারকে নষ্ট করে। সেদিকে আমাদের বিশেষ ভাবে দৃষ্টি দেওয়া একান্ত ভাবে দরকার।

তিনি বলেন, আমরা চাই আমাদের তরুণ প্রজন্ম দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে যেন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যায়।

প্রধানমন্ত্রী অপচয় রোধের পাশাপাশি অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করে কৃচ্ছ্রতা সাধনের করারও পরামর্শ দেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বে ৩৫তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আমাদের দারিদ্র্যের হার ৪১ ভাগ ছিল। তা আমরা ১৮ দশমিক ৭ ভাগে নামাতে পেরেছি। অন্তত আরও ২ থেকে ৩ শতাংশ আমাদের নামাতেই হবে।

তিনি বলেন, অতি দারিদ্র্যের হার যা ২৫ দশমিক ৯ ভাগ ছিল, তা আমরা এখন ৫ দশমিক ৬ ভাগে নামিয়ে এনেছি। কিন্তু আমরা চাই না বাংলাদেশে একজন মানুষও অতি দরিদ্র থাকুক। এটাকে একেবারে শূন্যের কোটায় আমরা নামিয়ে আনতে চাই। কাজেই কোথায় এখনও এ ধরনের মানুষ আছে, আমরা সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দেব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাঠামোগতভাবে, খাদ্য উৎপাদনের দিক থেকে, শিক্ষায়-দীক্ষায়, ডিজিটাল সেবা, প্রযুক্তি, সব দিক থেকে আজ বাংলাদেশে একটা বিরাট পরিবর্তন আমরা নিয়ে এসেছি। এটা যেন ব্যাহত না হয়। কারণ আমার একটা আশঙ্কা আছে। … (যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে) যখন সমস্ত কিছু কাটিয়ে ওঠে বাংলাদেশকে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পথে জাতির পিতা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, এমনকি যে চালের দাম ১০ টাকায় উঠে গিয়েছিল সেই চালের দাম তিন টাকায় নেমে এসেছিল। আমাদের প্রবৃদ্ধি ৯ ভাগে উন্নীত হলো, যখন মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এলো, মানুষ আত্মবিশ্বাস ফিরে পেলো, আমরা এগিয়ে যাব, ঠিক সে সময় কিন্তু ১৫ আগস্টের ঘটনাটা ঘটল। আমাদের সব আকাঙ্ক্ষা ধূলিসাৎ হয়ে গেল।

তিনি বলেন, ২১ বছর, পরে আবার আট বছর, এই ২৯ বছর জাতির জীবনে উন্নয়নের ধারাটা একদম থেমে গিয়েছিল। ২০০৯ সালে সরকার গঠন করে আজ ২০২৩ পর্যন্ত বাংলাদেশকে একটা জায়গায় আমরা আনতে পেরেছি।

সরকারপ্রধান বলেন, মহকুমাগুলোকে জেলায় রূপান্তরিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। আর প্রত্যেক জেলায় উন্নয়নের জন্য গভর্নর নিয়োগ করে সব প্রশাসনিক ব্যবস্থা নতুন ধারায় সূচনাও করেছিলেন তিনি। যাতে উন্নয়ন তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত হতে পারে, সেই ব্যবস্থাটাই তিনি নিয়েছিলেন। আমরা তার পদক্ষেপ অনুসরণ করেই কার্যক্রম পরিচালনা করছি। বর্তমান সরকারও স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করে চলেছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

তৃণমূলেও উন্নয়ন পৌছেঁ দিতে চায় সরকার : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০১:৫৪:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

কেবল শহর নয়, তৃণমূল পর্যন্ত উন্নয়ন পৌঁছে দেয়াই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যে মানুষটা তৃণমূলে পড়ে আছে তাকে আগে টেনে তুলে আনতে হবে।

সোমবার (১৫ মে) বেলা পৌনে ১২টায় শাহবাগে বিসিএস প্রশাসন একাডেমিতে চলমান ১২৭, ১২৮ এবং ১২৯তম আইন ও প্রশাসন কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তৃণমূল পর্যন্ত উন্নয়ন করাই সরকারের লক্ষ্য মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের উন্নয়নের লক্ষ্যই ছিল তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত উন্নয়ন করা, এটা শুধু শহরভিত্তিক মানুষের জন্য না। আর তৃণমূলপর্যায়ে মানুষের উন্নতিটা যেন হয়, তাদের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানো, মাথাপিছু আয় বাড়নো এবং তাদের জীবনযাত্রার মান বাড়বে সেভাবেই সব পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করা হয়। ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণ করার পর এখনও আমরা ক্ষমতায় আছি, সেভাবেই কাজ করে যাওয়া হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষাসহ সবক্ষেত্রেই যাতে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হয় সেজন্য সব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তাদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর পাশাপাশি প্রশিক্ষণের ওপর জোর দেয়া হয়েছে।

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারের হত্যার পর যেসব সরকার ক্ষমতায় ছিল তারা মানুষের কল্যাণে কোনো কাজ করেনি বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ৭৫ পরবর্তী সরকারগুলো নিজেদের ক্ষমতা রক্ষায় ব্যস্ত ছিল। তারা মানুষের কল্যাণে কোনো কাজ করেনি।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের স্মৃতিচারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের মধ্যে দিয়েই ৭৫ পরবর্তী সময়ে ক্ষমতার পালাবদল হয়। সে সময় মানুষের বিচার চাওয়ার অধিকার ছিল না। মানুষের বেঁচে থাকার কোনো অধিকার ছিল না। ক্ষমতাসীনরা নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনে ব্যস্ত ছিলেন। সামরিক স্বৈরশাসকের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে দেশে ফিরে আসি।

দেশের প্রতিটি ক্ষেত্র আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে জোর দেওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর পাশাপাশি প্রশিক্ষণের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। শিক্ষাসহ সব ক্ষেত্রই যাতে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হয় সেজন্য সব পদক্ষেণ নেওয়া হয়েছে। দারিদ্রের হার শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে কাজ করছে সরকার।

ক্ষমতায় থাকতে বিএনপি জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতি করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে বলে মন্তব্য করেন সরকারপ্রধান।

দেশ যাতে পিছিয়ে না যায় সেদিকে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের খেয়াল রাখার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের বেতন-ভাতা যা কিছু সব জনগণের কাছ থেকে আসে। তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কাজ করা সকলের কর্তব্য। এই কথা মনে রেখে সব সময় চলতে হবে। যারা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, শপথ নিয়েছেন তাদেরকে এটুকু বলব, দেশের জনগণের সেবা করা এটাই সবচেয়ে বড় কাজ। আজকে বাংলাদেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে তার গতির যেন অব্যাহত থাকে। আমার এইটুকু দাবি।

তিনি বলেন, একজন মা যেমন একটি সংসারকে আগলে ধরে সবার ভালো দেখতে চান, আমি কিন্তু সেই মানসিকতা নিয়ে দেশটাকে পরিচালনা করে এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছি। এখান থেকে যেন আর আমাদের পিছিয়ে যেতে না হয়। সেদিকে সবাইকে দৃষ্টি দিতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, সাধারণ মানুষ যেন ন্যায় বিচার পায়। মাদক, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও দুর্নীতির হাত থেকে যেন মানুষ মুক্তি পায়। এগুলো সমাজটাকে নষ্ট করে, একেকটা পরিবারকে নষ্ট করে। সেদিকে আমাদের বিশেষ ভাবে দৃষ্টি দেওয়া একান্ত ভাবে দরকার।

তিনি বলেন, আমরা চাই আমাদের তরুণ প্রজন্ম দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে যেন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যায়।

প্রধানমন্ত্রী অপচয় রোধের পাশাপাশি অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করে কৃচ্ছ্রতা সাধনের করারও পরামর্শ দেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বে ৩৫তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আমাদের দারিদ্র্যের হার ৪১ ভাগ ছিল। তা আমরা ১৮ দশমিক ৭ ভাগে নামাতে পেরেছি। অন্তত আরও ২ থেকে ৩ শতাংশ আমাদের নামাতেই হবে।

তিনি বলেন, অতি দারিদ্র্যের হার যা ২৫ দশমিক ৯ ভাগ ছিল, তা আমরা এখন ৫ দশমিক ৬ ভাগে নামিয়ে এনেছি। কিন্তু আমরা চাই না বাংলাদেশে একজন মানুষও অতি দরিদ্র থাকুক। এটাকে একেবারে শূন্যের কোটায় আমরা নামিয়ে আনতে চাই। কাজেই কোথায় এখনও এ ধরনের মানুষ আছে, আমরা সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দেব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাঠামোগতভাবে, খাদ্য উৎপাদনের দিক থেকে, শিক্ষায়-দীক্ষায়, ডিজিটাল সেবা, প্রযুক্তি, সব দিক থেকে আজ বাংলাদেশে একটা বিরাট পরিবর্তন আমরা নিয়ে এসেছি। এটা যেন ব্যাহত না হয়। কারণ আমার একটা আশঙ্কা আছে। … (যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে) যখন সমস্ত কিছু কাটিয়ে ওঠে বাংলাদেশকে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পথে জাতির পিতা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, এমনকি যে চালের দাম ১০ টাকায় উঠে গিয়েছিল সেই চালের দাম তিন টাকায় নেমে এসেছিল। আমাদের প্রবৃদ্ধি ৯ ভাগে উন্নীত হলো, যখন মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এলো, মানুষ আত্মবিশ্বাস ফিরে পেলো, আমরা এগিয়ে যাব, ঠিক সে সময় কিন্তু ১৫ আগস্টের ঘটনাটা ঘটল। আমাদের সব আকাঙ্ক্ষা ধূলিসাৎ হয়ে গেল।

তিনি বলেন, ২১ বছর, পরে আবার আট বছর, এই ২৯ বছর জাতির জীবনে উন্নয়নের ধারাটা একদম থেমে গিয়েছিল। ২০০৯ সালে সরকার গঠন করে আজ ২০২৩ পর্যন্ত বাংলাদেশকে একটা জায়গায় আমরা আনতে পেরেছি।

সরকারপ্রধান বলেন, মহকুমাগুলোকে জেলায় রূপান্তরিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। আর প্রত্যেক জেলায় উন্নয়নের জন্য গভর্নর নিয়োগ করে সব প্রশাসনিক ব্যবস্থা নতুন ধারায় সূচনাও করেছিলেন তিনি। যাতে উন্নয়ন তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত হতে পারে, সেই ব্যবস্থাটাই তিনি নিয়েছিলেন। আমরা তার পদক্ষেপ অনুসরণ করেই কার্যক্রম পরিচালনা করছি। বর্তমান সরকারও স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করে চলেছে।