Dhaka সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তুরস্কে বিরোধী দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হলেন কারাবন্দি ইমামোগলু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

কারাবন্দি ইস্তাম্বুলের মেয়র ইকরেম ইমামোগলুকে প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ মানুষ ভোট দিয়ে তুরস্কের প্রধান বিরোধী দল সিএইচপি থেকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী নির্বাচিত করেছেন। পৌর কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।

জাতীয় সমর্থন বৃদ্ধি পাওয়ায় সোমবার (২৪ মার্চ) ইমামোগলুকে ২০২৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে পিপলস রিপাবলিক পার্টি (সিএইচপি)। তাকে নির্বাচিত করতে দলের ১৭ লাখ সদস্য ভোট প্রদান করেন। এছাড়া দলের সদস্যদের বাইরে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ ভোট দিয়েছেন।

গত ১৯ মার্চ এক বিশেষ অভিযানে আটকের পর রোববার ইমামোগলুকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হয়। সেখানে তার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ, চাঁদাবাজি, অবৈধভাবে অন্যের ব্যক্তিগত তথ্য রেকর্ড করা, টেন্ডারবাজী এবং অপরাধী সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আনে তুরস্কের পুলিশ ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। আদালত এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

ইমামোগলু অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ১৯ মার্চ আটকের পর রিমান্ডে নেয়ার আগে তিনি বলেছিলেন, ‘কখনও মাথা নত করব না।’

রাজনীতিবিদ হিসেবে ইকরেম ইমামোগলু তুরস্কে বেশ জনপ্রিয়। ২০১৯ সালে তিনি প্রথম ইস্তাম্বুলের মেয়র নির্বাচনে প্রার্থী হন এবং জয়ী হন। কিন্তু তুরস্কের সুপ্রিম ইলেকশন কাউন্সিল এই নির্বাচন বাতিল করে পুনর্র্নিবাচনের নির্দেশ দেয়। সেই নির্বাচনে আরও বড় ব্যবধানে জয়ী হন ইমামোগলু। এই বিজয় তাকে শুধু ইস্তাম্বুলের মেয়র হিসেবেই নয়, বরং সমগ্র বিরোধী আন্দোলনের প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে।

সম্প্রতি ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন ইমামোগলু। এরপরই গত ১৯ মার্চ তাকে আটক করা হয়। তাকে আটকের খবরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তার সমর্থকরা। সেই বিক্ষোভ এখনও চলছে। রোববার পর্যন্ত তুরস্কের ৮১টি প্রদেশের অন্তত ৫৫টিতে ইমামোগলুর পক্ষে সমাবেশ হয়েছে বলে ফরাসি সংবাদমাধ্যম এএফপি জানিয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ত্রিশাল জিরো পয়েন্ট-হরিরামপুর সড়কটি যেন মরণফাঁদ

তুরস্কে বিরোধী দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হলেন কারাবন্দি ইমামোগলু

প্রকাশের সময় : ১০:০৩:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

কারাবন্দি ইস্তাম্বুলের মেয়র ইকরেম ইমামোগলুকে প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ মানুষ ভোট দিয়ে তুরস্কের প্রধান বিরোধী দল সিএইচপি থেকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী নির্বাচিত করেছেন। পৌর কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।

জাতীয় সমর্থন বৃদ্ধি পাওয়ায় সোমবার (২৪ মার্চ) ইমামোগলুকে ২০২৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে পিপলস রিপাবলিক পার্টি (সিএইচপি)। তাকে নির্বাচিত করতে দলের ১৭ লাখ সদস্য ভোট প্রদান করেন। এছাড়া দলের সদস্যদের বাইরে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ ভোট দিয়েছেন।

গত ১৯ মার্চ এক বিশেষ অভিযানে আটকের পর রোববার ইমামোগলুকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হয়। সেখানে তার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ, চাঁদাবাজি, অবৈধভাবে অন্যের ব্যক্তিগত তথ্য রেকর্ড করা, টেন্ডারবাজী এবং অপরাধী সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আনে তুরস্কের পুলিশ ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। আদালত এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

ইমামোগলু অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ১৯ মার্চ আটকের পর রিমান্ডে নেয়ার আগে তিনি বলেছিলেন, ‘কখনও মাথা নত করব না।’

রাজনীতিবিদ হিসেবে ইকরেম ইমামোগলু তুরস্কে বেশ জনপ্রিয়। ২০১৯ সালে তিনি প্রথম ইস্তাম্বুলের মেয়র নির্বাচনে প্রার্থী হন এবং জয়ী হন। কিন্তু তুরস্কের সুপ্রিম ইলেকশন কাউন্সিল এই নির্বাচন বাতিল করে পুনর্র্নিবাচনের নির্দেশ দেয়। সেই নির্বাচনে আরও বড় ব্যবধানে জয়ী হন ইমামোগলু। এই বিজয় তাকে শুধু ইস্তাম্বুলের মেয়র হিসেবেই নয়, বরং সমগ্র বিরোধী আন্দোলনের প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে।

সম্প্রতি ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন ইমামোগলু। এরপরই গত ১৯ মার্চ তাকে আটক করা হয়। তাকে আটকের খবরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তার সমর্থকরা। সেই বিক্ষোভ এখনও চলছে। রোববার পর্যন্ত তুরস্কের ৮১টি প্রদেশের অন্তত ৫৫টিতে ইমামোগলুর পক্ষে সমাবেশ হয়েছে বলে ফরাসি সংবাদমাধ্যম এএফপি জানিয়েছে।