সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, সেতুটি চালু হলে কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধাসহ রংপুর অঞ্চলে কৃষিপণ্য পরিবহনে নতুন গতি আসবে। এতে কৃষকরা দ্রুত বাজারে পণ্য পৌঁছে দিতে পারবেন। সময়মতো পণ্য বিক্রি করে আয় বাড়াতে পারবেন কৃষকরা। ফলে এলাকাজুড়ে সামাজিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির সম্ভাবনা তৈরি হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক :
যানবাহন ও সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য আগামী ২৫ আগস্ট খুলে দেয়া হবে তিস্তা সেতু। গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলার মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের জন্য তিস্তা নদীর ওপর এই সেতু নির্মিত হয়েছে।
গাইবান্ধা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রায় ১ হাজার ৪৯০ মিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতুটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)’র নির্মিত অন্যতম বৃহৎ সেতু। এটি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর খেয়াঘাট ও কুড়িগ্রামের চিলমারী খেয়াঘাটের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে।
সেতুটি চালু হলে কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার মধ্যে যোগাযোগে ১০০ কিলোমিটারের বেশি পথ কমে যাবে। সৌদি ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তায় চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পিসি গার্ডার এ সেতুটি নির্মাণ করেছে।
সেতুটি নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ৭৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে মূল সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২৭৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। সংযোগ সড়কে নির্মাণে ১০ কোটি ২৫ লাখ, নদী শাসনে ৮ কোটি ৫৫ লাখ এবং জমি অধিগ্রহণে ব্যয় হয়েছে ৬ কোটি টাকা।
সেতুটির নিচে রয়েছে ৩০টি পিলার, যার মধ্যে ২৮টি নদীর মধ্যে ও ২টি দু’পারে স্থাপন করা হয়েছে। সেতুর উভয় পাশে ৩ দশমিক ১৫ কিলোমিটার জুড়ে নদী শাসনের কাজ করা হয়েছে।
সেতুর দুই প্রান্তে মোট ৫৭ দশমিক ৩ কিলোমিটার নতুন রাস্তা নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে চিলমারীর মাটিকাটা জংশন থেকে সেতু পর্যন্ত ৭ দশমিক ৩ কিলোমিটার এবং সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট থেকে হরিপুর সেতু পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার রাস্তা অন্তর্ভুক্ত।