Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তিস্তা প্রকল্পের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশ : চীনের রাষ্ট্রদূত

নিজস্ব প্রতিবেদক :

ঢাকাস্থ চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, তিস্তা সম্পর্কে আপনারা অবগত আছেন। আমি এটা নিয়ে কি বলতে পারি। তিস্তা নদী বাংলাদেশের সীমানায়, এটা বাংলাদেশের নদী। তিস্তা নদীতে প্রকল্প নেওয়ার সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ নেবে। চীন সেই সিদ্ধান্তে সম্মান জানাবে। এই মুহূর্তে আমি এটাই বলতে পারি।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ‘ডিক্যাব টক’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

ইয়াও ওয়েন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারের চীন সফর দুই দেশের কৌশলগত উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়ে সাজানো হয়েছে। চীন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ নির্ভরযোগ্য অংশীদার। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়ন নিয়ে আমরা পরিকল্পনা করেছি। বিস্তারিত যথা সময়ে ঘোষণা করা হবে।

তিনি আরও বলেন, চীনের একার পক্ষে রাখাইনের যুদ্ধ বন্ধ করা সম্ভব না। এশিয়াসহ সবার কাজ করতে হবে। চীন চায় প্রতিবেশীর সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক বজায় থাকুক।

চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, রিজার্ভ সংকট মোকাবেলায় প্রথমবাবের মত প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। আশা করছি এই সফরের মধ্য দিয়ে কোন একটা ব্রেকথ্রু/অগ্রগতির ঘোষণা আসবে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে অনেকদিন ধরেই একটি স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ রয়েছে যা উন্নতিকে ত্বরান্বিত করেছে। চীনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ সফর দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার করার পথ সুদৃঢ় করবে। এ সফর দুই দেশের রাজনৈতিক,অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে অপার সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে। দুই দেশের মধ্যে উইন উইন পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।

তিনি বলেন, ব্রিকসে সদস্য হতে বাংলাদেশকে চীন সহযোগিতা করবে। অচিরেই বাংলাদেশ ব্রিকসের সদস্য হবে বলে আশা করছি।

রাষ্ট্রদূত বলেন, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরাতে চীন সব পক্ষকে একত্রিত করতে ইতিবাচক কাজ করে যাচ্ছে। গত বছর চীন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার এ নিয়ে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করেছে। এটি দুর্ভাগ্যজনক গত বছর সেপ্টেম্বরে মিয়ানমারের সংঘর্ষ শুরু হলে এ নিয়ে অগ্রগতি স্থগিত হয়ে যায়।

কয়টি ডকুমেন্ট সই হতে পারে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এ সম্পর্কে আমি বলার উপযুক্ত নই। তবে বলতে পারি এই সফরে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণ, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) প্রকল্প, চীনা বিনিয়োগ, রোহিঙ্গা সংকট সমাধান, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব দুই দেশের মধ্যে বহুমুখী সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়েও আলোচনা হবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ডিক্যাব প্রেসিডেন্ট নূরুল ইসলাম হাসিব ও সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

তিস্তা প্রকল্পের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশ : চীনের রাষ্ট্রদূত

প্রকাশের সময় : ০১:২৭:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক :

ঢাকাস্থ চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, তিস্তা সম্পর্কে আপনারা অবগত আছেন। আমি এটা নিয়ে কি বলতে পারি। তিস্তা নদী বাংলাদেশের সীমানায়, এটা বাংলাদেশের নদী। তিস্তা নদীতে প্রকল্প নেওয়ার সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ নেবে। চীন সেই সিদ্ধান্তে সম্মান জানাবে। এই মুহূর্তে আমি এটাই বলতে পারি।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ‘ডিক্যাব টক’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

ইয়াও ওয়েন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারের চীন সফর দুই দেশের কৌশলগত উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়ে সাজানো হয়েছে। চীন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ নির্ভরযোগ্য অংশীদার। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়ন নিয়ে আমরা পরিকল্পনা করেছি। বিস্তারিত যথা সময়ে ঘোষণা করা হবে।

তিনি আরও বলেন, চীনের একার পক্ষে রাখাইনের যুদ্ধ বন্ধ করা সম্ভব না। এশিয়াসহ সবার কাজ করতে হবে। চীন চায় প্রতিবেশীর সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক বজায় থাকুক।

চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, রিজার্ভ সংকট মোকাবেলায় প্রথমবাবের মত প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। আশা করছি এই সফরের মধ্য দিয়ে কোন একটা ব্রেকথ্রু/অগ্রগতির ঘোষণা আসবে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে অনেকদিন ধরেই একটি স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ রয়েছে যা উন্নতিকে ত্বরান্বিত করেছে। চীনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ সফর দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার করার পথ সুদৃঢ় করবে। এ সফর দুই দেশের রাজনৈতিক,অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে অপার সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে। দুই দেশের মধ্যে উইন উইন পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।

তিনি বলেন, ব্রিকসে সদস্য হতে বাংলাদেশকে চীন সহযোগিতা করবে। অচিরেই বাংলাদেশ ব্রিকসের সদস্য হবে বলে আশা করছি।

রাষ্ট্রদূত বলেন, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরাতে চীন সব পক্ষকে একত্রিত করতে ইতিবাচক কাজ করে যাচ্ছে। গত বছর চীন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার এ নিয়ে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করেছে। এটি দুর্ভাগ্যজনক গত বছর সেপ্টেম্বরে মিয়ানমারের সংঘর্ষ শুরু হলে এ নিয়ে অগ্রগতি স্থগিত হয়ে যায়।

কয়টি ডকুমেন্ট সই হতে পারে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এ সম্পর্কে আমি বলার উপযুক্ত নই। তবে বলতে পারি এই সফরে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণ, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) প্রকল্প, চীনা বিনিয়োগ, রোহিঙ্গা সংকট সমাধান, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব দুই দেশের মধ্যে বহুমুখী সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়েও আলোচনা হবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ডিক্যাব প্রেসিডেন্ট নূরুল ইসলাম হাসিব ও সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু।