Dhaka বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তিন মাসে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছে অক্টোবরে

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশে গেল অক্টোবর মাসে প্রায় দুই বিলিয়ন ডলারের (১৯৭ কোটি ৭৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার) রেমিট্যান্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১১০ টাকা ৫০ পয়সা ধরে) প্রায় ২১ হাজার ৮৫০ কোটি টাকার বেশি। আর প্রতিদিন এসেছে প্রায় ছয় কোটি ৩৯ লাখ ডলার বা ৭০৫ কোটি টাকা। যা তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়।

রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ার কারণ হিসেবে খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতি ডলারের ৫ শতাংশ প্রণোদনা দেয়ায় রেমিট্যান্স বেড়েছে। বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনিতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, প্রণোদনা বৃদ্ধির ফলে বৈধপথে রেমিট্যান্স বাড়ছে। আর রেমিট্যান্স বাড়লে আমদানি ব্যয় মেটানো সহজ হবে। এটি দেশের অর্থনীতির ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলেও মনে করেন তিনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, অক্টোবর মাসে দেশে ১৯৭ কোটি ৭৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার এসেছে । এর মধ্যে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকের মাধ্যমে ১৫ কোটি ৪৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার এসেছে। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৭৫ কোটি ৮৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৬০ লাখ ৩০ হাজার ডলার এসেছে।

গত মাসে সাতটি ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। এর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব, বেসরকারি কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেনস ব্যাংক, বিদেশি হাবিব ব্যাংক, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান।

সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৪ কোটি ৩৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার প্রবাসী আয় আসে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (এক টাকা সমান ১০৯.৫০ টাকা ধরে) ১৪ হাজার ৭১২ কোটি টাকা। জুলাই মাসে ১৯৭ কোটি ৩০ লাখ ডলারের (১.৯৭ বিলিয়ন ডলার) রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। আগস্টে এসেছিল ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ডলার। গত জুন মাসে দেশে রেকর্ড পরিমাণ ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার (২.১৯ বিলিয়ন ডলার) প্রবাসী আয় এসেছিল।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

রায়েরবাজারে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি ডাকসু নেতাদের শ্রদ্ধা

তিন মাসে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছে অক্টোবরে

প্রকাশের সময় : ০৭:১৫:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশে গেল অক্টোবর মাসে প্রায় দুই বিলিয়ন ডলারের (১৯৭ কোটি ৭৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার) রেমিট্যান্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১১০ টাকা ৫০ পয়সা ধরে) প্রায় ২১ হাজার ৮৫০ কোটি টাকার বেশি। আর প্রতিদিন এসেছে প্রায় ছয় কোটি ৩৯ লাখ ডলার বা ৭০৫ কোটি টাকা। যা তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়।

রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ার কারণ হিসেবে খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতি ডলারের ৫ শতাংশ প্রণোদনা দেয়ায় রেমিট্যান্স বেড়েছে। বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনিতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, প্রণোদনা বৃদ্ধির ফলে বৈধপথে রেমিট্যান্স বাড়ছে। আর রেমিট্যান্স বাড়লে আমদানি ব্যয় মেটানো সহজ হবে। এটি দেশের অর্থনীতির ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলেও মনে করেন তিনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, অক্টোবর মাসে দেশে ১৯৭ কোটি ৭৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার এসেছে । এর মধ্যে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকের মাধ্যমে ১৫ কোটি ৪৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার এসেছে। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৭৫ কোটি ৮৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৬০ লাখ ৩০ হাজার ডলার এসেছে।

গত মাসে সাতটি ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। এর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব, বেসরকারি কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেনস ব্যাংক, বিদেশি হাবিব ব্যাংক, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান।

সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৪ কোটি ৩৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার প্রবাসী আয় আসে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (এক টাকা সমান ১০৯.৫০ টাকা ধরে) ১৪ হাজার ৭১২ কোটি টাকা। জুলাই মাসে ১৯৭ কোটি ৩০ লাখ ডলারের (১.৯৭ বিলিয়ন ডলার) রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। আগস্টে এসেছিল ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ডলার। গত জুন মাসে দেশে রেকর্ড পরিমাণ ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার (২.১৯ বিলিয়ন ডলার) প্রবাসী আয় এসেছিল।