Dhaka শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জলবায়ু সম্মেলনে শীর্ষ বিশ্বনেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কপ-২৯ বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে ব্যস্ত সময় পার করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের শীর্ষ নেতা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি।

আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত এই ব্যক্তিত্বকে নতুন পরিচয়ে বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা। সম্মেলনে যোগ দেওয়ার প্রথম দিনেই তিনি পেয়েছেন তাদের উষ্ণ অভিনন্দন।

কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিতে এরই মধ্যে আজারবাইজানের বাকুতে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৮ আগস্ট অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের দায়িত্ব নেন তিনি। দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি ড. ইউনূসের দ্বিতীয় বিদেশ সফর। তার প্রথম সফর ছিল নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশন।

ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা

জলবায়ু সম্মেলন উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা ১১-১৪ নভেম্বর আজারবাইজানে সরকারি সফরে থাকবেন। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন ড. ইউনূস। সকালে সম্মেলনস্থলে পৌঁছালে বিভিন্ন দেশের শীর্ষস্থানীয়রাসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। শুভেচ্ছা জানান বিভিন্ন দেশের প্রধান ও প্রতিনিধিরা। এর মধ্যে অনেকের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনাও হয়েছে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বার্তায় বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা কপ-২৯ ভেন্যুতে বিশ্ব নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান এবং তুর্কি ফার্স্ট লেডির সঙ্গে দেখা করেন। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান তাকে তুরস্ক সফরের আমন্ত্রণ জানান। তিনি গভীর সংস্কার ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ার যাত্রায় বাংলাদেশকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন। ড. ইউনূস তাদের বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

প্রধান উপদেষ্টা সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। ড. ইউনূস জুলাই মাসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে গিয়ে বন্দি ৫৭ বাংলাদেশি নাগরিককে মুক্তি দেওয়ার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানান।

এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ, মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ মুইজ্জু, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে এবং নেপালের রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পাউডেলের সঙ্গে দেখা করেছেন।

অন্যদের মধ্যে তিনি বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী, ঘানার রাষ্ট্রপতি, বসনিয়া-হার্জেগোভিনার প্রধানমন্ত্রী, রুয়ান্ডার রাষ্ট্রপতি, আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী, মন্টিনিগ্রোর রাষ্ট্রপতি, বার্বাডোসের প্রধানমন্ত্রী, ব্রাজিল ও ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট, ফিফা সভাপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ড. ইউনূস আইওএম মহাপরিচালকের সঙ্গেও দেখা করেছেন।

এদিকে, আজারবাইজানের স্থানীয় সময় ১২টার দিকে ড. ইউনূসের বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে। বক্তব্যে তিনি জলবায়ুর প্রভাবে এই অঞ্চলের ক্ষতি তুলে ধরার পাশাপাশি ড. ইউনূসের আলোচিত ‘থ্রি-জিরো তত্ত্ব’ও তুলে ধরতে পারেন।
বাংলাদেশ জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম এবং সে কারণে বাকুতে বাংলাদেশ তার দাবি-দাওয়া তুলে ধরবে। পাশাপাশি, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর পক্ষে কথা বলবে।

 বসনিয়া হার্জেগোভিনার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা

সম্মেলনে বাংলাদেশের অবস্থানকে গুরুত্ব দেওয়া হবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশ যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, বিশেষ করে পূর্বাঞ্চলে বন্যার কারণে ক্ষয়ক্ষতি তুলে ধরা হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি তহবিল ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড’, প্যারিস চুক্তির তহবিল, এবং জলবায়ু উদ্বাস্তুদের বিষয়েও আলোচনা হতে পারে। এছাড়া, বাংলাদেশ উন্নত দেশগুলো থেকে সবুজ প্রযুক্তিতে সহায়তা চাইতে পারে।

কপ ২৯ নিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছিলেন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং এর প্রভাব মোকাবিলায় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আজারবাইজানের বাকুতে অনুষ্ঠিত কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। প্রধান উপদেষ্টা সম্মেলনে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি, বাকুতে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের সঙ্গে বৈঠক এবং সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে শুরু হয়েছে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কপ ২৯। এবারের সম্মেলনের মূল লক্ষ্য জলবায়ু সংকটে ভুক্তভোগী দরিদ্র দেশগুলোকে আরও অর্থসহায়তা দেওয়ার পথ খুঁজে বের করা। আগামী ২২ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এই সম্মেলন। বৈশ্বিক জলবায়ু সংকট সমাধানের লক্ষ্যে শতাধিক দেশের শীর্ষস্থানীয় নেতারা এতে অংশ নেবেন।

ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা

তবে এবার কয়েকটি বড় অর্থনীতি এবং সর্বাধিক কার্বন নিঃসরণকারী দেশের শীর্ষস্থানীয় নেতারা উপস্থিত থাকছেন না। তাদের মধ্যে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

কনফারেন্স অব দ্য পার্টিসের সংক্ষিপ্ত রূপ কপ। এটি বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত বিপর্যয় মোকাবিলায় জাতিসংঘের একটি উদ্যোগ। ১৯৯৫ সালে কপের প্রথম সম্মেলন হয়। ১৯৯৯ সালে ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিওতে কপের জলবায়ু সম্মেলনে ‘জলবায়ু পরিবর্তন’ ইস্যুটি প্রথমবারের মতো সামনে আসে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

এলপি গ্যাসের নতুন দাম নির্ধারণ রোববার

জলবায়ু সম্মেলনে শীর্ষ বিশ্বনেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ

প্রকাশের সময় : ০২:১০:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কপ-২৯ বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে ব্যস্ত সময় পার করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের শীর্ষ নেতা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি।

আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত এই ব্যক্তিত্বকে নতুন পরিচয়ে বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা। সম্মেলনে যোগ দেওয়ার প্রথম দিনেই তিনি পেয়েছেন তাদের উষ্ণ অভিনন্দন।

কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিতে এরই মধ্যে আজারবাইজানের বাকুতে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৮ আগস্ট অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের দায়িত্ব নেন তিনি। দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি ড. ইউনূসের দ্বিতীয় বিদেশ সফর। তার প্রথম সফর ছিল নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশন।

ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা

জলবায়ু সম্মেলন উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা ১১-১৪ নভেম্বর আজারবাইজানে সরকারি সফরে থাকবেন। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন ড. ইউনূস। সকালে সম্মেলনস্থলে পৌঁছালে বিভিন্ন দেশের শীর্ষস্থানীয়রাসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। শুভেচ্ছা জানান বিভিন্ন দেশের প্রধান ও প্রতিনিধিরা। এর মধ্যে অনেকের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনাও হয়েছে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বার্তায় বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা কপ-২৯ ভেন্যুতে বিশ্ব নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান এবং তুর্কি ফার্স্ট লেডির সঙ্গে দেখা করেন। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান তাকে তুরস্ক সফরের আমন্ত্রণ জানান। তিনি গভীর সংস্কার ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ার যাত্রায় বাংলাদেশকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন। ড. ইউনূস তাদের বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

প্রধান উপদেষ্টা সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। ড. ইউনূস জুলাই মাসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে গিয়ে বন্দি ৫৭ বাংলাদেশি নাগরিককে মুক্তি দেওয়ার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানান।

এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ, মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ মুইজ্জু, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে এবং নেপালের রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পাউডেলের সঙ্গে দেখা করেছেন।

অন্যদের মধ্যে তিনি বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী, ঘানার রাষ্ট্রপতি, বসনিয়া-হার্জেগোভিনার প্রধানমন্ত্রী, রুয়ান্ডার রাষ্ট্রপতি, আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী, মন্টিনিগ্রোর রাষ্ট্রপতি, বার্বাডোসের প্রধানমন্ত্রী, ব্রাজিল ও ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট, ফিফা সভাপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ড. ইউনূস আইওএম মহাপরিচালকের সঙ্গেও দেখা করেছেন।

এদিকে, আজারবাইজানের স্থানীয় সময় ১২টার দিকে ড. ইউনূসের বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে। বক্তব্যে তিনি জলবায়ুর প্রভাবে এই অঞ্চলের ক্ষতি তুলে ধরার পাশাপাশি ড. ইউনূসের আলোচিত ‘থ্রি-জিরো তত্ত্ব’ও তুলে ধরতে পারেন।
বাংলাদেশ জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম এবং সে কারণে বাকুতে বাংলাদেশ তার দাবি-দাওয়া তুলে ধরবে। পাশাপাশি, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর পক্ষে কথা বলবে।

 বসনিয়া হার্জেগোভিনার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা

সম্মেলনে বাংলাদেশের অবস্থানকে গুরুত্ব দেওয়া হবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশ যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, বিশেষ করে পূর্বাঞ্চলে বন্যার কারণে ক্ষয়ক্ষতি তুলে ধরা হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি তহবিল ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড’, প্যারিস চুক্তির তহবিল, এবং জলবায়ু উদ্বাস্তুদের বিষয়েও আলোচনা হতে পারে। এছাড়া, বাংলাদেশ উন্নত দেশগুলো থেকে সবুজ প্রযুক্তিতে সহায়তা চাইতে পারে।

কপ ২৯ নিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছিলেন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং এর প্রভাব মোকাবিলায় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আজারবাইজানের বাকুতে অনুষ্ঠিত কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। প্রধান উপদেষ্টা সম্মেলনে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি, বাকুতে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের সঙ্গে বৈঠক এবং সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে শুরু হয়েছে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কপ ২৯। এবারের সম্মেলনের মূল লক্ষ্য জলবায়ু সংকটে ভুক্তভোগী দরিদ্র দেশগুলোকে আরও অর্থসহায়তা দেওয়ার পথ খুঁজে বের করা। আগামী ২২ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এই সম্মেলন। বৈশ্বিক জলবায়ু সংকট সমাধানের লক্ষ্যে শতাধিক দেশের শীর্ষস্থানীয় নেতারা এতে অংশ নেবেন।

ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা

তবে এবার কয়েকটি বড় অর্থনীতি এবং সর্বাধিক কার্বন নিঃসরণকারী দেশের শীর্ষস্থানীয় নেতারা উপস্থিত থাকছেন না। তাদের মধ্যে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

কনফারেন্স অব দ্য পার্টিসের সংক্ষিপ্ত রূপ কপ। এটি বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত বিপর্যয় মোকাবিলায় জাতিসংঘের একটি উদ্যোগ। ১৯৯৫ সালে কপের প্রথম সম্মেলন হয়। ১৯৯৯ সালে ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিওতে কপের জলবায়ু সম্মেলনে ‘জলবায়ু পরিবর্তন’ ইস্যুটি প্রথমবারের মতো সামনে আসে।