নিজস্ব প্রতিবেদক :
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, বিগত সরকারের নেতা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা আগেই যারা পালিয়ে গেছেন, তারা ৫, ৬ ও ৭ আগস্ট পালিয়ে গেছেন। এই তিন দিনে পালিয়েছেন। এখন পালানো কঠিন হয়ে গেছে। বর্ডার এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
শনিবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর উত্তরা এপিবিএন সদর দপ্তরে শহিদ মীর মুগ্ধের স্মরণ সভা, মিলাদ মাহফিল, মীর মুগ্ধ ভবন ও এপিবিএন স্কুল এন্ড কলেজের প্রবেশ তোরণ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গণহত্যার সঙ্গে জড়িত কিংবা মামলার পলাতক আসামিদের তথ্য পেলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। মামলার অনুসন্ধানে যে দোষী সাব্যস্ত হবে তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজধানীসহ সারা দেশে যেসব মামলা হচ্ছে তার মধ্য অনেককে অকারণে আসামি করা হচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, এখন পুলিশ বাদী হয়ে কোনো মামলা করছে না। এই মামলাগুলো করছে সাধারণ জনগণ। তারা (জনগণ) ১০ জনের নাম দিচ্ছেন, হয়ে যাচ্ছে ১০০ জনের নামে মামলা। অনুসন্ধানে যে দোষী সাব্যস্ত হবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওবায়দুল কাদের ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সাবেক প্রভাবশালী নেতাদের বিরুদ্ধে অনেক মামলা হয়েছে। তারা কোথায় আছেন, তারা কেন গ্রেপ্তার হচ্ছেন না জানতে চাইলে জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আপনারা (সাংবাদিকরা) আমাদের তথ্য দিন। আমাদের দায়িত্ব তাদের গ্রেপ্তার। আপনাদের দায়িত্ব আমাদের তথ্য দেওয়া। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে, আপনারাও অনুসন্ধান সাংবাদিকতা করেন। পলাতকদের তথ্য পেলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানে যারা আহত হয়েছে তাদের প্রত্যেকের চিকিৎসা সরকার করবে। প্রয়োজনের বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে, কোন কিছুতে কার পূর্ণ করা হবে না।
যারা এখনো কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন, তারা আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নেই বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, বারবার সুযোগ দেওয়ার পরও তারা যোগদান করেননি। তাদের ব্যাপারে এটিই অন্তর্বর্তী সরকারের শেষ সিদ্ধান্ত।