Dhaka সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তিন দিনের ছুটিতে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে যানজট

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

টানা তিন দিনের (বৃহস্পতি-শনি) বুদ্ধ পূর্ণিমা ও সাপ্তাহিক ছুটির চাপ পড়েছে মহাসড়কে। এতে সিরাজগঞ্জ মহাসড়কের রায়গঞ্জের চান্দাইকোনার পাবনা বাজার থেকে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কেপর্যন্ত সড়কের উভয় দিকে মাইলব্যাপী পণ্যবাহী ট্রাক ও বাসসহ অন্যান্য যানবাহনের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। চালকরা সিঙ্গেল লাইনেও দুই লেনের বাস-ট্রাক ঢুকিয়ে দিয়ে হুড়োহুড়ি করে যেতে গিয়ে আরও ভোগান্তি বাড়াচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৪ মে) সকাল থেকে চান্দাইকোনায় নির্মাণাধীন সেতুর দুদিকে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চালক-যাত্রীরা দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীন সাউথ এশিয়া সাব-রিজিওনাল কো-অপারেশন (সাসেক) -২ সংযোগ সড়ক প্রকল্পের নির্মাণ কাজ চলছে ওই সড়কে। এ কারণে এমনিতেই ওই সড়ক গত কয়েক বছর ধরে এবড়ো-থেবড়ো অবস্থায় রয়েছে। তার ওপর তিনদিনের ছুটির মধ্যে যানবাহনের চাপ বাড়ায় সকাল থেকে রায়গঞ্জের চান্দাইকোনায় নির্মাণাধীন সেতুর উভয় দিকে যানজট ও যানবাহনের ধীরগতি সৃষ্টি হয়। চালক-যাত্রী দীর্ঘ সময় আটকে থাকায় মহাসড়কে বিড়ম্বনা বাড়ছে।

সিরাজগঞ্জ থেকে সৈয়দপুরগামী জেনিন সার্ভিস বাসের সুপারভাইজার সেলিম রেজা জানান, বৃহস্পতিবার (৪ মে) সকাল থেকে যানবাহনের চাপ বাড়ায় সড়কের রায়গঞ্জের চান্দাইকোনায় থেমে থেমে যানজট সৃষ্টি হয়। সকাল ৬টার সময় বাস ছাড়লেও চান্দাইকোনা বাজারের কাছে পৌনে সাতটা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা অতিরিক্ত সময় আটকে থাকতে হয়। এতে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন। ট্রাফিক পুলিশ যানজট নিয়ন্ত্রণে কাজ করলেও ধীরগতি চলছে।

খবর পেয়ে হাইওয়ে ও স্থানীয় থানা পুলিশের পৃথক টহল দল যানজট নিরসনে চেষ্টা করলেও সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত উভয় দিকে যানবাহন আটকে থাকতে দেখা গেছে। এ সময় ওই মহাসড়কের চান্দাইকোনা থেকে রায়গঞ্জের ধানগড়া বাজার দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সেতুর কড্ডা ও মুলিবাড়ি হয়ে দূরপাল্লার বাস-ট্রাক ঢাকার দিকে চলতে দেখা যায়।

সিরাজগঞ্জ হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ওসি এসএম বদরুল আলম বলেন, সাসেক নির্মাণ কাজের ধীরগতি এবং এবড়ো-থেবড়োভাবে মাটি ফেলে রাস্তা সংকুচিত হওয়ার কারণে সড়কে প্রায়ই এ ধরনের সমস্যা হচ্ছে। যানবাহনের চাপ বাড়লে সমস্যা আরও বেড়ে যায়। ওই মহাসড়কের হাটিকুমরুল ইউনিয়ন পরিষদ থেকে রয়হাটি হয়ে চান্দাইকোনা পর্যন্ত ৩টি সেতুর নির্মাণাধীন থাকায় সেখানেও যানবাহনের ধীরগতি সৃষ্টি হচ্ছে। পুলিশ খবর পেয়ে সকাল থেকে যানজট নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। আধাঘণ্টা পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

রায়গঞ্জ থানার ওসি আসিফ ইকবাল জানান, হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার পাশপাশি জেলা পুলিশ মহাসড়কের ওই স্থানে যানজট নিয়ন্ত্রণ করে। নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় এ ধরনের সমস্যা প্রায়ই হচ্ছে।

সিরাজগঞ্জ হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ওসি এসএম বদরুল আলম বলেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীন সাউথ এশিয়া সাব-রিজিওনাল কো-অপারেশন (সাসেক)-২ সংযোগ সড়ক প্রকল্পের নির্মাণ কাজ চলছে। এ নির্মাণ কাজের ধীরগতি ও এবড়ো-থেবড়োভাবে মাটি ফেলে রাস্তা সংকুচিত হওয়ার কারণে সড়কে প্রায়ই এ ধরনের সমস্যা হচ্ছে। গাড়ির চাপ বাড়লে সমস্যা আরও বেড়ে যায়। মহাসড়কের হাটিকুমরুল ইউনিয়ন পরিষদ থেকে রয়হাটি হয়ে চান্দাইকোনা পর্যন্ত ৩টি সেতুর নির্মাণাধীন থাকায় সেখানেও যানবাহনের ধীরগতি হচ্ছে।

সাসেক-২ সংযোগ সড়ক প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) ড. ওয়ালিউল রহমান বলেন, নির্মাণ কাজ চলছে। চালকরা তা জেনেও হুড়োহুড়ি করে চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই ওই স্থানে যানজট সৃষ্টি করছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে চলমান কাজ শেষ হবে। তারপর আশা করছি এ ধরনের সমস্যা থাকবে না।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

তিন দিনের ছুটিতে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে যানজট

প্রকাশের সময় : ০৮:১৯:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

টানা তিন দিনের (বৃহস্পতি-শনি) বুদ্ধ পূর্ণিমা ও সাপ্তাহিক ছুটির চাপ পড়েছে মহাসড়কে। এতে সিরাজগঞ্জ মহাসড়কের রায়গঞ্জের চান্দাইকোনার পাবনা বাজার থেকে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কেপর্যন্ত সড়কের উভয় দিকে মাইলব্যাপী পণ্যবাহী ট্রাক ও বাসসহ অন্যান্য যানবাহনের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। চালকরা সিঙ্গেল লাইনেও দুই লেনের বাস-ট্রাক ঢুকিয়ে দিয়ে হুড়োহুড়ি করে যেতে গিয়ে আরও ভোগান্তি বাড়াচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৪ মে) সকাল থেকে চান্দাইকোনায় নির্মাণাধীন সেতুর দুদিকে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চালক-যাত্রীরা দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীন সাউথ এশিয়া সাব-রিজিওনাল কো-অপারেশন (সাসেক) -২ সংযোগ সড়ক প্রকল্পের নির্মাণ কাজ চলছে ওই সড়কে। এ কারণে এমনিতেই ওই সড়ক গত কয়েক বছর ধরে এবড়ো-থেবড়ো অবস্থায় রয়েছে। তার ওপর তিনদিনের ছুটির মধ্যে যানবাহনের চাপ বাড়ায় সকাল থেকে রায়গঞ্জের চান্দাইকোনায় নির্মাণাধীন সেতুর উভয় দিকে যানজট ও যানবাহনের ধীরগতি সৃষ্টি হয়। চালক-যাত্রী দীর্ঘ সময় আটকে থাকায় মহাসড়কে বিড়ম্বনা বাড়ছে।

সিরাজগঞ্জ থেকে সৈয়দপুরগামী জেনিন সার্ভিস বাসের সুপারভাইজার সেলিম রেজা জানান, বৃহস্পতিবার (৪ মে) সকাল থেকে যানবাহনের চাপ বাড়ায় সড়কের রায়গঞ্জের চান্দাইকোনায় থেমে থেমে যানজট সৃষ্টি হয়। সকাল ৬টার সময় বাস ছাড়লেও চান্দাইকোনা বাজারের কাছে পৌনে সাতটা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা অতিরিক্ত সময় আটকে থাকতে হয়। এতে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন। ট্রাফিক পুলিশ যানজট নিয়ন্ত্রণে কাজ করলেও ধীরগতি চলছে।

খবর পেয়ে হাইওয়ে ও স্থানীয় থানা পুলিশের পৃথক টহল দল যানজট নিরসনে চেষ্টা করলেও সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত উভয় দিকে যানবাহন আটকে থাকতে দেখা গেছে। এ সময় ওই মহাসড়কের চান্দাইকোনা থেকে রায়গঞ্জের ধানগড়া বাজার দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সেতুর কড্ডা ও মুলিবাড়ি হয়ে দূরপাল্লার বাস-ট্রাক ঢাকার দিকে চলতে দেখা যায়।

সিরাজগঞ্জ হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ওসি এসএম বদরুল আলম বলেন, সাসেক নির্মাণ কাজের ধীরগতি এবং এবড়ো-থেবড়োভাবে মাটি ফেলে রাস্তা সংকুচিত হওয়ার কারণে সড়কে প্রায়ই এ ধরনের সমস্যা হচ্ছে। যানবাহনের চাপ বাড়লে সমস্যা আরও বেড়ে যায়। ওই মহাসড়কের হাটিকুমরুল ইউনিয়ন পরিষদ থেকে রয়হাটি হয়ে চান্দাইকোনা পর্যন্ত ৩টি সেতুর নির্মাণাধীন থাকায় সেখানেও যানবাহনের ধীরগতি সৃষ্টি হচ্ছে। পুলিশ খবর পেয়ে সকাল থেকে যানজট নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। আধাঘণ্টা পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

রায়গঞ্জ থানার ওসি আসিফ ইকবাল জানান, হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার পাশপাশি জেলা পুলিশ মহাসড়কের ওই স্থানে যানজট নিয়ন্ত্রণ করে। নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় এ ধরনের সমস্যা প্রায়ই হচ্ছে।

সিরাজগঞ্জ হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ওসি এসএম বদরুল আলম বলেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীন সাউথ এশিয়া সাব-রিজিওনাল কো-অপারেশন (সাসেক)-২ সংযোগ সড়ক প্রকল্পের নির্মাণ কাজ চলছে। এ নির্মাণ কাজের ধীরগতি ও এবড়ো-থেবড়োভাবে মাটি ফেলে রাস্তা সংকুচিত হওয়ার কারণে সড়কে প্রায়ই এ ধরনের সমস্যা হচ্ছে। গাড়ির চাপ বাড়লে সমস্যা আরও বেড়ে যায়। মহাসড়কের হাটিকুমরুল ইউনিয়ন পরিষদ থেকে রয়হাটি হয়ে চান্দাইকোনা পর্যন্ত ৩টি সেতুর নির্মাণাধীন থাকায় সেখানেও যানবাহনের ধীরগতি হচ্ছে।

সাসেক-২ সংযোগ সড়ক প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) ড. ওয়ালিউল রহমান বলেন, নির্মাণ কাজ চলছে। চালকরা তা জেনেও হুড়োহুড়ি করে চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই ওই স্থানে যানজট সৃষ্টি করছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে চলমান কাজ শেষ হবে। তারপর আশা করছি এ ধরনের সমস্যা থাকবে না।