বেসরকারি পর্যায়ে পরিচালিত স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়মে আনতে দ্বিতীয় দফায় চলা অভিযানে গত তিন দিনে ৬৪৬ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। একই সঙ্গে নিবন্ধন থাকলেও সেটি নবায়ন না করা ও আধুনিক যন্ত্রপাতি না থাকার অভিযোগে এসব প্রতিষ্ঠানকে ১১ লাখের বেশি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (৩১শে আগস্ট) রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখা এই তথ্য জানিয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, গত সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত সারাদেশে চলমান অভিযানে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান ১৬৯টি বন্ধ করা হয়েছে খুলনা বিভাগে। এরপর ঢাকা বিভাগে ১৫৮টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৫৪টি, রাজশাহী বিভাগে ৮১টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ১০০টি, রংপুর বিভাগে ২৪টি, বরিশালে ১৩টি ও সিলেটে বন্ধ হয়েছে মাত্র একটি। রাজধানীতে বন্ধ করা হয়েছে ২০টি চিকিৎসাকেন্দ্র।
এদিকে, জরিমানা আদায়ে শীর্ষে রয়েছে রাজশাহী বিভাগ। এই বিভাগে সর্বোচ্চ ৭ লাখ ৩৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এরপর ঢাকা বিভাগে এক লাখ, খুলনা বিভাগে দুই লাখ ১৭ হাজার, বরিশাল বিভাগে দুই লাখ এবং রংপুরে ১১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগসহ ঢাকা মহানগরীতে কোন জরিমানা আদায় করা হয়নি।
এর আগে গত ২৬শে মে ৭২ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়ে প্রথম দফায় ৩ শে মে বেআইনিভাবে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অভিযানে নামে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সে সময় এক হাজার ৬৪১টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় গত সোমবার সপ্তাহব্যাপী অভিযানে নামে সরকার। এই নিয়ে গত তিন মাসে দুই হাজার ৪১১টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হলো।
স্বাস্থ্য হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার সহকারী পরিচালক ডা. শেখ দাউদ আদনান বলেন, আমাদের কথা পরিষ্কার, কার্যক্রম চালাতে হলে নিবন্ধন নিতে হবে। যারাই বেআইনিভাবে কার্যক্রম চালাবেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।