Dhaka বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তিতুমীরে অনশনরত তিন শিক্ষার্থীর অবস্থা আশঙ্কাজনক

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে পঞ্চম দিনের মতো আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন সরকারি তিতুমীর কলেজকে শিক্ষার্থীরা। অনশন কর্মসূচি পালন করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টা ১০ মিনিটের দিকে তিতুমীর কলেজের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. রাসেল আহমেদ। এর আগে তিতুমীর কলেজের মূল ফটকের সামনে অনশনরত শিক্ষার্থীদের শারীরিক পরীক্ষা করেন এই চিকিৎসক।

ডা. রাসেল আহমেদ বলেন, অনশনরত শিক্ষার্থীদের শরীরে পানি শূন্যতার কারণে তাদের ব্লাড প্রেসার কমে যাচ্ছে। ফলে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে। এখানে তাদের আর চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়। তাদের যদি দ্রুত হাসপাতালে না নেওয়া হয় তাহলে তাদের শরীরে শর্টটার্ম এবং লংটার্মে বড় ধরনের শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, পানি শূন্যতার কারণে তাদের মধ্যে ডিহাইড্রেশনের সৃষ্টি হয়েছে এর ফলে তাদের কিডনির কর্মক্ষমতা কমে যাচ্ছে। তাদের অবস্থা অবনতি দিকে যাচ্ছে। বিশেষ করে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক তাদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। তাদের চিকিৎসা এখানে দেওয়া সম্ভব না হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে তাদের চিকিৎসা দিতে হবে।

দুপুর সাড়ে ১২টায় তিতুমীর কলেজের সামনে ব্রিফিং করে এই ঘোষণা দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

তিতুমীর কলেজের ১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী আলি আহমদ বলেন, আজ বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত ছিলো। এতে সারাদেশ থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করেন। তাই তাদের কথা চিন্তা করে আমরা শুধু আজকের জন্য আমরা রেলপথ ও ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়ে সড়কে ব্লকেড কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছি। কিন্তু নর্থ সিটির ভেতরে অন্য সড়কগুলোতে ব্লকেড কর্মসূচি চলমান থাকবে।

তিনি আরো বলেন, তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের করার দাবি গত ২৮ বছরের। জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে গঠিত সরকারের কাছে নতুন করে দাবি পূরণের আবদার করেছি। এজন্য যতগুলো মাধ্যম ছিলো সবগুলো মাধ্যমেই আমরা দাবি জানিয়েছি। সেখান থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে সর্বশেষ আমরা অনশন কর্মসূচি দেই। আজ অনশনের পঞ্চমদিনে এসেই রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ কোনো সাড়া দেয়নি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

অপতথ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান সিইসির

তিতুমীরে অনশনরত তিন শিক্ষার্থীর অবস্থা আশঙ্কাজনক

প্রকাশের সময় : ০৩:১৭:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে পঞ্চম দিনের মতো আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন সরকারি তিতুমীর কলেজকে শিক্ষার্থীরা। অনশন কর্মসূচি পালন করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টা ১০ মিনিটের দিকে তিতুমীর কলেজের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. রাসেল আহমেদ। এর আগে তিতুমীর কলেজের মূল ফটকের সামনে অনশনরত শিক্ষার্থীদের শারীরিক পরীক্ষা করেন এই চিকিৎসক।

ডা. রাসেল আহমেদ বলেন, অনশনরত শিক্ষার্থীদের শরীরে পানি শূন্যতার কারণে তাদের ব্লাড প্রেসার কমে যাচ্ছে। ফলে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে। এখানে তাদের আর চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়। তাদের যদি দ্রুত হাসপাতালে না নেওয়া হয় তাহলে তাদের শরীরে শর্টটার্ম এবং লংটার্মে বড় ধরনের শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, পানি শূন্যতার কারণে তাদের মধ্যে ডিহাইড্রেশনের সৃষ্টি হয়েছে এর ফলে তাদের কিডনির কর্মক্ষমতা কমে যাচ্ছে। তাদের অবস্থা অবনতি দিকে যাচ্ছে। বিশেষ করে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক তাদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। তাদের চিকিৎসা এখানে দেওয়া সম্ভব না হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে তাদের চিকিৎসা দিতে হবে।

দুপুর সাড়ে ১২টায় তিতুমীর কলেজের সামনে ব্রিফিং করে এই ঘোষণা দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

তিতুমীর কলেজের ১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী আলি আহমদ বলেন, আজ বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত ছিলো। এতে সারাদেশ থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করেন। তাই তাদের কথা চিন্তা করে আমরা শুধু আজকের জন্য আমরা রেলপথ ও ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়ে সড়কে ব্লকেড কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছি। কিন্তু নর্থ সিটির ভেতরে অন্য সড়কগুলোতে ব্লকেড কর্মসূচি চলমান থাকবে।

তিনি আরো বলেন, তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের করার দাবি গত ২৮ বছরের। জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে গঠিত সরকারের কাছে নতুন করে দাবি পূরণের আবদার করেছি। এজন্য যতগুলো মাধ্যম ছিলো সবগুলো মাধ্যমেই আমরা দাবি জানিয়েছি। সেখান থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে সর্বশেষ আমরা অনশন কর্মসূচি দেই। আজ অনশনের পঞ্চমদিনে এসেই রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ কোনো সাড়া দেয়নি।