আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাওয়ার সময় তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবির ঘটনায় সাব-সাহারান আফ্রিকা থেকে আগত অন্তত ১৯ শরণার্থী ও অভিবাসী নিহত হয়েছেন। নৌকাটি ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাওয়ার চেষ্টা করছিল। নিখোঁজ আরও ৩৪ জন।
রোববার (২৬ মার্চ) একটি মানবাধিকার সংগঠনের বরাত দিয়ে আল-জাজিরা এ তথ্য জানিয়েয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপগামী অভিবাসনপ্রত্যাশীদের কাছে তিউনিসিয়া অন্যতম একটি কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। গত চার দিনে তিউনিসিয়া উপকূলে অন্তত পাঁচটি নৌকা ডুবে যায়। এতে ৬৭ জন নিখোঁজ এবং ৯ জনের মৃত্যু হয়।
তিউনিসিয়ার কোস্টগার্ড জানিয়েছে, গত চার দিনে তারা ৮০টি নৌকা থামিয়ে তিন হাজারেরও বেশি মানুষকে আটক করেছে। আটকের অধিকাংশই আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চল থেকে এসেছে।
ইতালির এনএসএ নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ইতালির লাম্পেদুসা দ্বীপে দুই হাজারেরও বেশি শরণার্থী পৌঁছেছে। তারা একে ‘রেকর্ড’ শরণার্থী আগমন হিসেবে বর্ণনা করেছে তারা।
ফোরাম ফর সোশ্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক রাইটস (এফটিডিইএস) এর কর্মকর্তা রোমধনে বেন আমোরের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, শরণার্থী ও অভিবাসীদের বহনকারী একটি নৌকা স্ফ্যাক্স সৈকত থেকে যাত্রা করার পর তিউনিসিয়ার মাহদিয়া উপকূলে ডুবে গেলে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
শনিবার (২৫ মার্চ) তিউনিসিয়া উপকূলে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে যায়। এতে শিশুসহ অন্তত ৩৪ জন নিখোঁজ রয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপগামী অভিবাসনপ্রত্যাশীদের কাছে তিউনিসিয়া অন্যতম একটি কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ইতালিতে প্রবেশ করা অন্তত ১২ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী তিউনিসিয়া থেকে এসেছেন। গত বছরের একই সময়ে এই সংখ্যা ছিল মাত্র এক হাজার ৩০০।
গত মাসে তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ অভিযোগ করেন যে, তার দেশে অবস্থানরত সাব-সাহারান আফ্রিকার অভিবাসনপ্রত্যাশীদের কারণে অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি এই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের হুমকি হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তার এমন মন্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেছে আফ্রিকান ইউনিয়ন। সূত্র : আল-জাজিরা।