আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার সময় তিউনিসিয়া উপকূলে একটি নৌকা ডুবে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অন্তত ২০ জন নিখোঁজ রয়েছে। সম্প্রতি উত্তর আফ্রিকার দেশটি থেকে ইউরোপে যাওয়ার প্রবণতা ব্যাপকভাবে বেড়েছ। একই সঙ্গে বেড়েছে দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা।
শনিবার (৮ এপ্রিল) উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিশিয়া থেকে যাত্রা শুরুর পর অভিবাসীদের বহনকারী নৌকাডুবির এই ঘটনা ঘটেছে।
তিউনিশিয়ার বিচার বিভাগের একজন কর্মকর্তা অভিবাসীদের নৌকাডুবির এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দেশটির স্ফ্যাক্স আদালতের বিচারক ফৌজি মাসমুদি বলেছেন, তিউনিশীয় কোস্ট গার্ড দক্ষিণাঞ্চলের স্ফ্যাক্স শহরের কাছে একই নৌকার অন্য ১৭ অভিবাসীকে জীবিত উদ্ধার করেছে। তাদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন তিনি।
গত কয়েক সপ্তাহে তিউনিসিয়ার উপকূলে বেশ কয়েকটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে ডুবে যাওয়া নৌকার কয়েক ডজন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন এবং অনেকেই পানিতে ডুবে মারা গেছেন।
আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের দারিদ্র্য ও সংঘাত থেকে পালিয়ে আসা মানুষদের উন্নত জীবনের আশায় ইউরোপে যাওয়ার জন্য অন্যতম প্রধান প্রস্থান পয়েন্ট হয়ে উঠেছে তিউনিশিয়া। এসব দেশের অভিবাসীরা আগে ইউরোপের উদ্দেশ্যে লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগরে বেশি যাত্রা করতেন।
শুক্রবার তিউনিশিয়ার ন্যাশনাল গার্ড বলেছিল, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টার সময় ১৪ হাজারের বেশি অভিবাসীকে আটক অথবা উদ্ধার করা হয়েছে। এই অভিবাসীদের বেশিরভাগই সাব-সাহারা আফ্রিকা অঞ্চলের। আর অভিবাসীদের ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার এই চেষ্টা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫ গুণেরও বেশি। সূত্র: রয়টার্স।