নিজস্ব প্রতিবেদক :
বরগুনার তালতলীর খোট্রার চর-মাছ বাজার এলাকায় খালের ওপর নির্মিত সেতু ১৬ বছর ধরে ব্যবহারের অনুপযোগী। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ নানা পেশার মানুষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুটির ক্রস অ্যাঙ্গেল মরিচা ধরে নড়বড়ে ও কাত হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সিমেন্টের ঢালাই বহু আগে ভেঙে পড়েছে। মাঝখানে বড় একটি ভাঙা অংশ মেরামত করে ব্রিজের ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাওয়া-আসা করছে মানুষ। যে কোনো মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কায় রয়েছে তারা।
জানা যায়, উপজেলার খোট্রার চর-মাছ বাজার এলাকায় খালের ওপর ২০০০ সালের দিকে একটি সেতু নির্মাণ করে এলজিইডি। এরপর ২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডরের সময় সেতুটি দেবে যায়। তারপর থেকে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়া সেতুটি দীর্ঘ ১৬ বছরেও সংস্কার হয়নি। বিকল্প না থাকায় প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ ব্যবহার করছে এ সেতু। তিন মাস আগে স্কুলে যাওয়ার সময় বেলালের ছেলে ইছা (৭) সেতু থেকে পড়ে মাথা ফেটে গুরুতর আহত হয়। এ ছাড়াও প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা ।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. আল আমিন হাওলাদার বলেন, সেতুটি দিয়ে খোট্রার চরের কয়েক হাজার মানুষ তালতলী উপজেলা শহরে যাতায়াত করে। এ ছাড়া বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও স্কুলে আসা-যাওয়া করেন। প্রায়ই এ সেতু পারাপারের সময় ঘটে দুর্ঘটনা। আমাদের দাবি দ্রুত যাতে সেতুটি মেরামত করে দেওয়া হয়।
নিশানবাড়িয়াা ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বাচ্চু বলেন, ভাঙা সেতুর কারণে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হন শিক্ষার্থী, কৃষক এবং রোগীরা। কিন্তু বিকল্প রাস্তা না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শত শত মানুষ পারাপার করছে সেতুটি। আমার ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ এ সেতু দিয়ে পারাপার করেন। এটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় কেনো গাড়ি চলাচল করে না। তবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষ পারাপার হচ্ছে।
এ ব্যাপারে তালতলী উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইমতিয়াজ হোসাইন রাসেল বলেন, নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে সেতুর নকশা সম্পন্ন হয়েছে। প্রাক্কলন অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অনুমোদন পেলে নির্মাণ শুরু করা হবে।