Dhaka সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তারেক রহমান তাড়াতাড়ি দেশে ফিরে আসবেন : মির্জা আব্বাস

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সব মামলা প্রত্যাহারের মাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরে আসবেন বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

রোববার (১ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, তারেক রহমান আমাদের মাঝে সহি সালামতে ফিরে আসবেন খুব তাড়াতাড়ি। এজন্য আল্লাহতা’লা তাকে সুস্থ করেছেন, সুস্থ রেখেছেন এবং খালাস দিয়েছেন। উনার খালাসের জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, আল্লাহতা’লা যেন উনাকে দীর্ঘায়ু দান করেন।’

তিনি বলেন, আমরা একই জেলে ছিলাম, চকবাজারের জেলে। আমাদের সামনে থেকে উনি বিদায় নিয়ে গেলেন। বহুদিন পর যখন ফেরত আনল, তখন তিনি একেবারেই অসুস্থৃ। চলতে-ফিরতে পারতেন না। এখন বিদেশে আল্লাহর রহমতে মোটামুটি সুস্থ, যদিও সম্পূর্ণ সুস্থ না। উনি সুস্থ হওয়ার কথা না। বিকজ অন্য ধরনের অত্যাচার ছিল। এটার দীর্ঘ প্রসারী ফল আছে।

মির্জা আব্বাস বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ছিল বিদেশি শক্তি দ্বারা একটি পরিকল্পিত হামলা। এই হামলায় কখনোই বিএনপি যুক্ত ছিল না। একটা বিদেশি শক্তি এই অপকর্ম করে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ফাঁসাতে চেয়েছিল।

তিনি বলেন, এমনকি একটি ভুল, মিথ্যা, সাজানো মামলা তৈরি করে সাজানো গল্পের ওপর ভিত্তি করে সাজা দিয়েছিল। বিজয়ের প্রথম দিনে আপনাদের একটি সুখবর দিতে চাই। সেই মামলার রায় আজ প্রকাশ পেয়েছে এবং তারেক রহমানকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা ইউনূস সরকারকে ঠিক পথ দেখানোর চেষ্টা করছি। কিছু লোক দেশে এবং দেশের বাইরে থেকে বিএনপিকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ট্যাগ করার চেষ্টা করছে। আমি তাদের বলতে চাই।

তিনি আরও বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। এই কথা আমরা বারবার বলবো, বলতে হবে। কারণ বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সঠিক ইতিহাস ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছে। কিন্তু আমরা সঠিক কথাগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরবো।

বিএনপি সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য ১৫ বছর যুদ্ধ করেছি। আমরা স্বাধীন সংবাদমাধ্যম চাই, কিন্তু অপসাংবাদিকতা চাই না। গণতন্ত্র এবং বিএনপি একসঙ্গে যায়। আমরা গণতন্ত্রের পক্ষে।

আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, তারা ব্যাংক থেকে টাকা লুট করেছে, মানুষ গুম, খুন করেছে। পানি এবং তেল কখনো মেলে না, তেমনি আওয়ামী লীগ আর গণতন্ত্র একসঙ্গে যায় না।

তিনি বলেন, সবাই বলে বাংলাদেশ ছোট গরিব দেশ। কিন্তু আমি মনে করি বাংলাদেশ উদার ও অনেক শক্তিশালী দেশ। একটা কথা মনে রাখতে হবে আমাদের সোলজার কম। আমি তাদের ভাবতে বলব আমরা একাত্তর সালে ট্রেনিং ছাড়া যুদ্ধ করেছি। ২৪ সালে হাসিনা পতনেও আমরা, আমাদের ছেলে-মেয়েরা বিনা অস্ত্রে যুদ্ধ করেছে। বাংলাদেশে ২০ কোটি লোক কিন্তু সোলজার। যদি আজকে বাংলাদেশ দখল করতে হয় তাহলে ২০ কোটি লোকের রক্ত পাড়া দিয়ে দেশ দখল করতে হবে।

আওয়ামী লীগ ১৫ বছরে দেশের সব ইতিহাস নষ্ট করেছে উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, তারা গত ১৫ বছরে সঠিক ইতিহাস নষ্ট করে ফেলেছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক। দেশের সেক্টর কমান্ডারের অফিস ছিল ভারতে। একমাত্র জিয়াউর রহমানের অফিস ছিল সিলেটে। আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার ইতিহাস বইয়ে পড়েছে। তারা সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনি। আমরা সম্মুখ সারির যুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছি।

স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ, গণঅধিকার পরিষের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বিমানের ফ্লাইটে ফের ত্রুটি, শারজাহ না গিয়ে ফিরে এলো ঢাকায়

তারেক রহমান তাড়াতাড়ি দেশে ফিরে আসবেন : মির্জা আব্বাস

প্রকাশের সময় : ০৫:৫১:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সব মামলা প্রত্যাহারের মাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরে আসবেন বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

রোববার (১ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, তারেক রহমান আমাদের মাঝে সহি সালামতে ফিরে আসবেন খুব তাড়াতাড়ি। এজন্য আল্লাহতা’লা তাকে সুস্থ করেছেন, সুস্থ রেখেছেন এবং খালাস দিয়েছেন। উনার খালাসের জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, আল্লাহতা’লা যেন উনাকে দীর্ঘায়ু দান করেন।’

তিনি বলেন, আমরা একই জেলে ছিলাম, চকবাজারের জেলে। আমাদের সামনে থেকে উনি বিদায় নিয়ে গেলেন। বহুদিন পর যখন ফেরত আনল, তখন তিনি একেবারেই অসুস্থৃ। চলতে-ফিরতে পারতেন না। এখন বিদেশে আল্লাহর রহমতে মোটামুটি সুস্থ, যদিও সম্পূর্ণ সুস্থ না। উনি সুস্থ হওয়ার কথা না। বিকজ অন্য ধরনের অত্যাচার ছিল। এটার দীর্ঘ প্রসারী ফল আছে।

মির্জা আব্বাস বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ছিল বিদেশি শক্তি দ্বারা একটি পরিকল্পিত হামলা। এই হামলায় কখনোই বিএনপি যুক্ত ছিল না। একটা বিদেশি শক্তি এই অপকর্ম করে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ফাঁসাতে চেয়েছিল।

তিনি বলেন, এমনকি একটি ভুল, মিথ্যা, সাজানো মামলা তৈরি করে সাজানো গল্পের ওপর ভিত্তি করে সাজা দিয়েছিল। বিজয়ের প্রথম দিনে আপনাদের একটি সুখবর দিতে চাই। সেই মামলার রায় আজ প্রকাশ পেয়েছে এবং তারেক রহমানকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা ইউনূস সরকারকে ঠিক পথ দেখানোর চেষ্টা করছি। কিছু লোক দেশে এবং দেশের বাইরে থেকে বিএনপিকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ট্যাগ করার চেষ্টা করছে। আমি তাদের বলতে চাই।

তিনি আরও বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। এই কথা আমরা বারবার বলবো, বলতে হবে। কারণ বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সঠিক ইতিহাস ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছে। কিন্তু আমরা সঠিক কথাগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরবো।

বিএনপি সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য ১৫ বছর যুদ্ধ করেছি। আমরা স্বাধীন সংবাদমাধ্যম চাই, কিন্তু অপসাংবাদিকতা চাই না। গণতন্ত্র এবং বিএনপি একসঙ্গে যায়। আমরা গণতন্ত্রের পক্ষে।

আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, তারা ব্যাংক থেকে টাকা লুট করেছে, মানুষ গুম, খুন করেছে। পানি এবং তেল কখনো মেলে না, তেমনি আওয়ামী লীগ আর গণতন্ত্র একসঙ্গে যায় না।

তিনি বলেন, সবাই বলে বাংলাদেশ ছোট গরিব দেশ। কিন্তু আমি মনে করি বাংলাদেশ উদার ও অনেক শক্তিশালী দেশ। একটা কথা মনে রাখতে হবে আমাদের সোলজার কম। আমি তাদের ভাবতে বলব আমরা একাত্তর সালে ট্রেনিং ছাড়া যুদ্ধ করেছি। ২৪ সালে হাসিনা পতনেও আমরা, আমাদের ছেলে-মেয়েরা বিনা অস্ত্রে যুদ্ধ করেছে। বাংলাদেশে ২০ কোটি লোক কিন্তু সোলজার। যদি আজকে বাংলাদেশ দখল করতে হয় তাহলে ২০ কোটি লোকের রক্ত পাড়া দিয়ে দেশ দখল করতে হবে।

আওয়ামী লীগ ১৫ বছরে দেশের সব ইতিহাস নষ্ট করেছে উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, তারা গত ১৫ বছরে সঠিক ইতিহাস নষ্ট করে ফেলেছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক। দেশের সেক্টর কমান্ডারের অফিস ছিল ভারতে। একমাত্র জিয়াউর রহমানের অফিস ছিল সিলেটে। আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার ইতিহাস বইয়ে পড়েছে। তারা সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনি। আমরা সম্মুখ সারির যুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছি।

স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ, গণঅধিকার পরিষের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান প্রমুখ।