নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে কথা বলেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফেরানোর পরিবেশ এখনো আমরা তৈরি করতে পারিনি। অনুকূল পরিবেশ হলে শিগগিরই তিনি দেশে ফিরবেন।
রোববার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে ১৫ দিনের লন্ডন সফর থেকে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান। এই সফরে তিনি তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
বিএনপি সব সময় নতুন দলকে স্বাগত জানায় উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন বলেন, তবে সেটা যেন কিংস পার্টির মতো না হয়। বর্তমানে দেশে যে ফ্যাসিবাদ-বিরোধী ঐক্য গড়ে উঠেছে তা বাস্তবায়ন ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে দ্রুত নির্বাচন দেওয়া প্রয়োজন।
এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর ২০০৭ সালের ৭ মার্চ তারেক রহমানকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরপর তাকে ১৩টি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে রিমান্ডেও নেওয়া হয়। ১৮ মাস পর ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর জামিনে কারামুক্ত হন তিনি। এর আট দিন পর ১১ সেপ্টেম্বর দেশ ছেড়ে যুক্তরাজ্যে চলে যান। তখন থেকে সপরিবারে লন্ডনে অবস্থান করছেন। যুক্তরাজ্যে থাকা অবস্থায় একাধিক মামলায় কারাদ- হয় তারেক রহমানের।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কারাগার থেকে মুক্ত হন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ দলটির অধিকাংশ নেতা। সরকার পরিবর্তনের পর তারেক রহমান দ্রুত দেশে ফিরবেন বলে দলটির নেতাকর্মীরা ভেবে নিলেও পাঁচ মাসেও ফেরেননি তারেক রহমান। কবে নাগাদ তিনি দেশে ফিরতে পারেন এ নিয়ে দলটির নেতাকর্মীরা ধোঁয়াশায় রয়েছেন। এমন অবস্থার মধ্যে তারেক রহমান কবে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরতে পারেন সে বিষয়ে তথ্য জানান বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ।
তারেক রহমানের সঙ্গে কী কী বিষয়ে কথা হয়েছে জানতে চাইলে সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, এ বিষয়ে আপনারা ধীরে ধীরে জানতে পারবেন। তবে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঐক্যের কথা বলেছেন।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে ফ্যাসিবাদবিরোধী যে ঐক্য গড়ে উঠেছে তার বান্তবায়নে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আমাদের যাওয়া উচিত। জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে যতদ্রুত সম্ভব নির্বাচনের দিকে যাওয়া উচিত। ভাসা ভাসা সময় না, সবার সঙ্গে আলোচনা করে একটা সঠিক রোডম্যাপ দিতে হবে। নতুন রাজনৈতিক শক্তির উদয় হলে আমরা স্বাগত জানাবো তবে কিংসপার্টির মতো যেনো না হয়।
সংবিধান নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংবিধান কখনো কবর দেওয়া যায় না। পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংশোধন হতে পারে।