Dhaka সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তারেক-জোবায়দার রায় বিচার বিভাগের রায় না : আমীর খসরু

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সরকার আইনকে ব্যবহার করে সব ধরনের বেআইনি কাজ করে যাচ্ছে। অসংবিধানিকভাবে সংবিধানকে সংশোধন করেছে। সংবিধানের কোনো নিয়মে যা সংশোধন হয় না, সেটি তারা করেছে।

শুক্রবার (১১ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে রায়ের প্রতিবাদে জিয়া পরিষদ আয়োজিত এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে যে রায় দেওয়া হয়েছে সেটি যে বিচার বিভাগের রায়, তা বাংলাদেশের কেউ বিশ্বাস করে না। এ বিষয়ে অনেকেই ডাইরেক্টলি এবং ইনডাইরেক্টলি বলেছেন- এই রায় বিচার বিভাগের না। রায়টি হচ্ছে একটি ফ্যাসিস্ট রেজিমেন্টের রায়। এটা যে বিচার বিভাগের রায় তা বাংলাদেশের কেউ বিশ্বাস করে না।

তিনি আরো বলেন, জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া বাংলাদেশের যে মুক্তবাজার অর্থনীতি তৈরি করেছিলেন এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে অর্থনীতিতে অংশীদার করেছিলেন, সেই অর্থনীতি তো লুটপাটের রাজত্ব হতে পারবে না। এজন্য তারা ‘আওয়ামী মডেল অব ইকোনমিকস’ তৈরি করেছে। এটি আপনারা বিশ্বের আর কোথাও পাবেন না।

আমীর খসরু বলেন, বিএনপির একার পক্ষে রাষ্ট্র মেরামত করা সম্ভব না। এর জন্য জাতীয় সরকার লাগবে, জাতীয় ঐক্য লাগবে। এবং রাষ্ট্রের জন্য যে ৩১ দফা তারেক রহমান জাতির সামনে উত্থাপন করেছেন, সেগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। রাষ্ট্রের ক্ষমতা যারা দখল করে বসে আছে, তাদের বিদায় করতে হবে। বিচার বিভাগকে যত এক্সপোজ করবেন, তত ফ্যাসিস্ট সরকারকে এক্সপোজ করার সমান হবে। যেভাবে আমরা পুলিশ, র্যাব এবং সরকারি কর্মকর্তাদের বিষয়ে বলেছি।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র হত্যার জন্য, ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য পুলিশ তাদের এক্সটেনশন হিসেবে কাজ করছে। এটাকে অ্যড্রেস করতে হবে এবং সিরিয়াসলি অ্যাড্রেস করতে হবে। তারেক রহমান-জোবায়দা রহমানকে শাস্তি দিয়ে বিএনপি ধ্বংস হবে না, গণতন্ত্র ধ্বংস হবে না, বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া যাবে না।

আমীর খসরু বলেন, জুবাইদা রহমানকে সরকার ভয় করে। আগামী নির্বাচনে তিনি আসলে ভয়। কিন্তু এসব তো ভেসে যাবে। তাহলে জাইমা রহমানকে বাদ রাখলেন কেনো? আপনি যার সঙ্গেই নির্বাচন করবেন দাঁড়াতে পারবেন না। সুতরাং যা করছেন তার প্রতিদান পাওয়ার আগেই সরে দাঁড়ান।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, বিচার বিভাগ ভিসানীতির আওতায় চলে এসেছে। যে দেশের বিচার বিভাগের বিচারকরা ভিসানীতির আওতায় আসে, সে দেশে কি আর বাকি কিছু থাকে? সেখানে তো কোনো বিচার নেই। বিষয়টা আরও সামনে নিয়ে আসতে হবে। দেশ-বিদেশের সকলের সামনে তুলে ধরতে হবে।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আজ তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে যে সাজা দিয়েছে সেখানে বিচারকের করার কিছু নাই। কারণ এটা তো সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে আসে। যা সাবেক প্রধান বিচারপতি সিনহা এমনকি বর্তমান বিচারকরাও বলেছেন। সুতরাং তাদের কাছে কোনো প্রত্যাশা করে লাভ নেই।

দেশের পরিবর্তন করতে বর্তমান সরকারের পতন ঘটাতে হবে মন্তব্য করেন খসরু বলেন, আজ দেশ কোথায় গিয়ে ঠেকেছে তা সম্পর্কে দেশবাসীকে জানানো দরকার। ১৪ আগস্ট একটি বই প্রকাশ করা হবে। যেখানে মিডিয়ার রিপোর্ট তুলে ধরা হবে। সেরকমভাবে রোহিঙ্গা শরণার্থী নিয়ে একটি বই প্রকাশ করা হবে। দেশের বিচার বিভাগ আজ কোথায় দাঁড়িয়ে আছে সেটা নিয়ে দেশে বিদেশে তুলে ধরতে হবে।

জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ওবায়েদ ইসলাম, গাজীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফজলুল হক মিলন প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আড়াই বছরেও শেষ হয়নি সেতু নির্মাণ কাজ, দুর্ভোগে এলাকাবাসী

তারেক-জোবায়দার রায় বিচার বিভাগের রায় না : আমীর খসরু

প্রকাশের সময় : ০৪:১৬:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সরকার আইনকে ব্যবহার করে সব ধরনের বেআইনি কাজ করে যাচ্ছে। অসংবিধানিকভাবে সংবিধানকে সংশোধন করেছে। সংবিধানের কোনো নিয়মে যা সংশোধন হয় না, সেটি তারা করেছে।

শুক্রবার (১১ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে রায়ের প্রতিবাদে জিয়া পরিষদ আয়োজিত এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে যে রায় দেওয়া হয়েছে সেটি যে বিচার বিভাগের রায়, তা বাংলাদেশের কেউ বিশ্বাস করে না। এ বিষয়ে অনেকেই ডাইরেক্টলি এবং ইনডাইরেক্টলি বলেছেন- এই রায় বিচার বিভাগের না। রায়টি হচ্ছে একটি ফ্যাসিস্ট রেজিমেন্টের রায়। এটা যে বিচার বিভাগের রায় তা বাংলাদেশের কেউ বিশ্বাস করে না।

তিনি আরো বলেন, জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া বাংলাদেশের যে মুক্তবাজার অর্থনীতি তৈরি করেছিলেন এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে অর্থনীতিতে অংশীদার করেছিলেন, সেই অর্থনীতি তো লুটপাটের রাজত্ব হতে পারবে না। এজন্য তারা ‘আওয়ামী মডেল অব ইকোনমিকস’ তৈরি করেছে। এটি আপনারা বিশ্বের আর কোথাও পাবেন না।

আমীর খসরু বলেন, বিএনপির একার পক্ষে রাষ্ট্র মেরামত করা সম্ভব না। এর জন্য জাতীয় সরকার লাগবে, জাতীয় ঐক্য লাগবে। এবং রাষ্ট্রের জন্য যে ৩১ দফা তারেক রহমান জাতির সামনে উত্থাপন করেছেন, সেগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। রাষ্ট্রের ক্ষমতা যারা দখল করে বসে আছে, তাদের বিদায় করতে হবে। বিচার বিভাগকে যত এক্সপোজ করবেন, তত ফ্যাসিস্ট সরকারকে এক্সপোজ করার সমান হবে। যেভাবে আমরা পুলিশ, র্যাব এবং সরকারি কর্মকর্তাদের বিষয়ে বলেছি।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র হত্যার জন্য, ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য পুলিশ তাদের এক্সটেনশন হিসেবে কাজ করছে। এটাকে অ্যড্রেস করতে হবে এবং সিরিয়াসলি অ্যাড্রেস করতে হবে। তারেক রহমান-জোবায়দা রহমানকে শাস্তি দিয়ে বিএনপি ধ্বংস হবে না, গণতন্ত্র ধ্বংস হবে না, বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া যাবে না।

আমীর খসরু বলেন, জুবাইদা রহমানকে সরকার ভয় করে। আগামী নির্বাচনে তিনি আসলে ভয়। কিন্তু এসব তো ভেসে যাবে। তাহলে জাইমা রহমানকে বাদ রাখলেন কেনো? আপনি যার সঙ্গেই নির্বাচন করবেন দাঁড়াতে পারবেন না। সুতরাং যা করছেন তার প্রতিদান পাওয়ার আগেই সরে দাঁড়ান।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, বিচার বিভাগ ভিসানীতির আওতায় চলে এসেছে। যে দেশের বিচার বিভাগের বিচারকরা ভিসানীতির আওতায় আসে, সে দেশে কি আর বাকি কিছু থাকে? সেখানে তো কোনো বিচার নেই। বিষয়টা আরও সামনে নিয়ে আসতে হবে। দেশ-বিদেশের সকলের সামনে তুলে ধরতে হবে।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আজ তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে যে সাজা দিয়েছে সেখানে বিচারকের করার কিছু নাই। কারণ এটা তো সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে আসে। যা সাবেক প্রধান বিচারপতি সিনহা এমনকি বর্তমান বিচারকরাও বলেছেন। সুতরাং তাদের কাছে কোনো প্রত্যাশা করে লাভ নেই।

দেশের পরিবর্তন করতে বর্তমান সরকারের পতন ঘটাতে হবে মন্তব্য করেন খসরু বলেন, আজ দেশ কোথায় গিয়ে ঠেকেছে তা সম্পর্কে দেশবাসীকে জানানো দরকার। ১৪ আগস্ট একটি বই প্রকাশ করা হবে। যেখানে মিডিয়ার রিপোর্ট তুলে ধরা হবে। সেরকমভাবে রোহিঙ্গা শরণার্থী নিয়ে একটি বই প্রকাশ করা হবে। দেশের বিচার বিভাগ আজ কোথায় দাঁড়িয়ে আছে সেটা নিয়ে দেশে বিদেশে তুলে ধরতে হবে।

জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ওবায়েদ ইসলাম, গাজীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফজলুল হক মিলন প্রমুখ।