Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তারুণ্যের অভিযাত্রাকে বিজয়ের বন্দরে নিয়ে যাওয়া হবে : ওবায়দুল কাদের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৫৩:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৩
  • ১৮৫ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘স্মরণকালের সর্ববৃহৎ সমাবেশ’ করবে ছাত্রলীগ বলে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেও বলেন, ছাত্রলীগের এ শ্রেষ্ঠ মহাসমাবেশের মাধ্যমে তারুণ্যের অভিযাত্রাকে বিজয়ের বন্দরে নিয়ে যাওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের সমাবেশস্থল পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, নৌকার অভিযাত্রায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে তরুণ প্রজন্ম। আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে। এই সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে দেশের বৈধ সরকারকে হটাতে ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদী, সাম্প্রদায়িক অপশক্তির যে চক্রান্ত চলছে ছাত্রলীগের সমাবেশ থেকে তার প্রতিবাদ করা হবে।

এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও দেশটির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনসহ ১৮৩ জন নোবেলবিজয়ী এবং রাজনৈতিক নেতাদের দেয়া প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, একটা স্বাধীন দেশের নিজস্ব আইন আছে। কেউ শ্রমিকদের অর্থ আত্মসাৎ করলে প্রচলিত আইনে বিচার হবে। এখানে হস্তক্ষেপ করার অধিকার কারও নেই। বিশ্বনেতাদের বিবৃতি প্রচারে ২ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছেন ড. ইউনূস। যা তার আয়ের সাথে ব্যয়ের অসঙ্গতিপূর্ণ রয়েছে।

ডক্টর ইউনূসের মামলা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা আওয়ামী লীগ করেনি। বঞ্চিত শ্রমিকরা এখানে মামলা করেছে। কেউ ট্যাক্স ফাঁকি দিলে, গরিবের অর্থ আত্মসাৎ করলে তার বিরুদ্ধে মামলা হবে না?

তার বিরুদ্ধে শ্রমিক মামলা করেছে, আওয়ামী লীগ মামলা করেনি। মামলা করেছে বঞ্চিত শ্রমিকরা। যাদের অর্থ আত্মসাৎ করেছে এবং ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। মামলা হয়েছে সে কারণে। এখন কি আমাদের দেশে আইন নেই? আইনের শাসন নেই? বিচারব্যবস্থা নেই? যে কেউ ট্যাক্স ফাঁকি দিলে, শ্রমিকের অর্থ আত্মসাৎ করলে এ নিয়ে মামলা হবে না? এ ধরনের অভিযোগের বিচার হবে না ? কেন এটি স্থগিত করতে হবে?

প্রধানমন্ত্রী যে কথা বলেছেন, আমি সেই কথার প্রতিধ্বনি করে বলবো যদি তাদের এ বিষয়ে কোনো সংশয় থাকে, তাহলে এ বিষয়ে এক্সপার্ট এক্সপেরিয়েন্স (দক্ষ, অভিজ্ঞ) ব্যক্তি থাকলে তারা বাংলাদেশে তদন্ত করতে পাঠাতে পারে। তথ্য উপাত্ত বের করুক। এর ভেতরে কি আছে, এ মামলা জাস্টিফাইড কি না-তারা এটি করতে পারে।

তিনি বলেন, কেউ শ্রমিকের অর্থ আত্মসাৎ করলে দেশের প্রচলিত আইনে বিচার হবে। এখানে হস্তক্ষেপের কিছু নেই। মামলা নিয়ে কোনো শঙ্কা থাকলে তা যাচাই করতে বিশ্বনেতারা বাংলাদেশে বিশেষজ্ঞ পাঠাতে পারেন।

ব্রিফিং ও সমাবেশস্থল পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানসহ অন্যান্য নেতারা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

তারুণ্যের অভিযাত্রাকে বিজয়ের বন্দরে নিয়ে যাওয়া হবে : ওবায়দুল কাদের

প্রকাশের সময় : ০৭:৫৩:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘স্মরণকালের সর্ববৃহৎ সমাবেশ’ করবে ছাত্রলীগ বলে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেও বলেন, ছাত্রলীগের এ শ্রেষ্ঠ মহাসমাবেশের মাধ্যমে তারুণ্যের অভিযাত্রাকে বিজয়ের বন্দরে নিয়ে যাওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের সমাবেশস্থল পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, নৌকার অভিযাত্রায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে তরুণ প্রজন্ম। আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে। এই সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে দেশের বৈধ সরকারকে হটাতে ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদী, সাম্প্রদায়িক অপশক্তির যে চক্রান্ত চলছে ছাত্রলীগের সমাবেশ থেকে তার প্রতিবাদ করা হবে।

এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও দেশটির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনসহ ১৮৩ জন নোবেলবিজয়ী এবং রাজনৈতিক নেতাদের দেয়া প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, একটা স্বাধীন দেশের নিজস্ব আইন আছে। কেউ শ্রমিকদের অর্থ আত্মসাৎ করলে প্রচলিত আইনে বিচার হবে। এখানে হস্তক্ষেপ করার অধিকার কারও নেই। বিশ্বনেতাদের বিবৃতি প্রচারে ২ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছেন ড. ইউনূস। যা তার আয়ের সাথে ব্যয়ের অসঙ্গতিপূর্ণ রয়েছে।

ডক্টর ইউনূসের মামলা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা আওয়ামী লীগ করেনি। বঞ্চিত শ্রমিকরা এখানে মামলা করেছে। কেউ ট্যাক্স ফাঁকি দিলে, গরিবের অর্থ আত্মসাৎ করলে তার বিরুদ্ধে মামলা হবে না?

তার বিরুদ্ধে শ্রমিক মামলা করেছে, আওয়ামী লীগ মামলা করেনি। মামলা করেছে বঞ্চিত শ্রমিকরা। যাদের অর্থ আত্মসাৎ করেছে এবং ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। মামলা হয়েছে সে কারণে। এখন কি আমাদের দেশে আইন নেই? আইনের শাসন নেই? বিচারব্যবস্থা নেই? যে কেউ ট্যাক্স ফাঁকি দিলে, শ্রমিকের অর্থ আত্মসাৎ করলে এ নিয়ে মামলা হবে না? এ ধরনের অভিযোগের বিচার হবে না ? কেন এটি স্থগিত করতে হবে?

প্রধানমন্ত্রী যে কথা বলেছেন, আমি সেই কথার প্রতিধ্বনি করে বলবো যদি তাদের এ বিষয়ে কোনো সংশয় থাকে, তাহলে এ বিষয়ে এক্সপার্ট এক্সপেরিয়েন্স (দক্ষ, অভিজ্ঞ) ব্যক্তি থাকলে তারা বাংলাদেশে তদন্ত করতে পাঠাতে পারে। তথ্য উপাত্ত বের করুক। এর ভেতরে কি আছে, এ মামলা জাস্টিফাইড কি না-তারা এটি করতে পারে।

তিনি বলেন, কেউ শ্রমিকের অর্থ আত্মসাৎ করলে দেশের প্রচলিত আইনে বিচার হবে। এখানে হস্তক্ষেপের কিছু নেই। মামলা নিয়ে কোনো শঙ্কা থাকলে তা যাচাই করতে বিশ্বনেতারা বাংলাদেশে বিশেষজ্ঞ পাঠাতে পারেন।

ব্রিফিং ও সমাবেশস্থল পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানসহ অন্যান্য নেতারা।