Dhaka শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তামিমের ব্যাটে রাজশাহীকে হারাল বরিশাল

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১১:১৫:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫
  • ২১৪ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে জয় দিয়ে এবারের আসর শুরু করেছিল ফরচুন বরিশাল। তবে পরের ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে হারে তামিম ইকবালের দল। তবে রাজশাহীকে সামনে পেয়ে আবারও আধিপত্য বিস্তার করল ফরচুনরা। বিশেষ করে তামিম এদিন ব্যাট হাতে প্রতিপক্ষ বোলারদের শাসন করেছেন। অধিনায়কের দুর্দান্ত ফিফটিতে আবারো জয়ে ফিরল বরিশাল।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) সিলেটে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রান সংগ্রহ করেছে রাজশাহী। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেছেন বিজয়। জবাবে খেলতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৭ ওভার ৩ বলেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বরিশাল। দলের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৮৬ রান করেছেন তামিম। তার ব্যাটেই দূর্বার রাজশাহীকে ১৫ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে হারিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

১৬৮ রানের জবাব দিতে নেমে বরিশালের শুরুটা ভালো হয়নি। নাজমুল হোসেন শান্তকে বসিয়ে একাদশে জায়গা দেওয়া ওপেনার প্রিতম হাসান ব্যর্থ হয়েছেন। ৯ বলে ৩ রান করে ফেরা প্রিতম সুযোগ পাওয়াটা কাজে লাগাতে পারেননি।

তবে তামিম ইকবাল ছিলেন অবিচল। শুরু থেকেই বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক। দ্বিতীয় উইকেটে কাইল মায়ার্সের সঙ্গে ১৫ বলে ৪১ রানের জুটি গড়েন তামিম। মায়ার্স ১১ বলে ২৪ করে ফিরলে এই জুটি ভাঙে।

এরপর তাওহিদ হৃদয় চারে নেমে নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। বড় রানের জন্য সংগ্রাম করতে থাকা হৃদয় আজ ১৪ বলে করেছেন ১৩ রান। তবে মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে দুর্দান্ত একটা জুটি গড়ে বরিশালের বড় জয় নিশ্চিত করে তবেই মাঠ ছেড়েছেন তামিম।

চতুর্থ উইকেটে দুজন ৪৫ বলে তুলেছেন অপরাজিত ৭৬ রান। মুশফিক ২৪ বলে ৪টি চার ১টি ছয়ে ৩৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। তামিম শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৮৬ রানে। ১১ চার ৩ ছয়ে এই রান করেন তামিম। মাঠ ছাড়তে ছাড়তে হয়ত একটা আপসোসও কাজ করছিল তামিমের মনে! আর কিছু রান থাকলে হয়ত সেঞ্চুরির একটা সুযোগ পেতেন! ১৭.৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য ১৬৯ রান তুলে ফেলে বরিশাল। রাজশাহীর হয়ে মহর শেখ ৩২ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন।

টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। শুরুতে বরিশালের বোলাররা অবশ্য সুবিধা করতে পারেননি। রাজশাহীকে ভালো শুরু এনে দিয়েছেন পাকিস্তানি ওপেনার মোহাম্মদ হারিস। ১৬ বলে ২২ রান করে হারিস ফিরলে দ্বিতীয় উইকেটে রানের গতি বাড়ান তরুণ জিসান আলম ও এনামুল হক বিজয়।

দ্বিতীয় উইকেটে ৩৪ বলে ৫৫ রান তোলেন দুজন। জিসান আলম ২৭ বলে ৩টি করে চার-ছয়ে ৩৮ রান করে ফিরলে এই জুটি ভাঙে। রাজশাহীর গতিও যেন সেখানে ভেঙে গেল! এরপর এনামুল হক বিজয় হঠাৎ-ই স্লো হয়ে গেলেন। মিডল অর্ডারে ইয়াসির আলি রাব্বি অবশ্য কিছুটা টেনেছেন রাজশাহীকে। তবে এনামুল হক বিজয় বারবার বল মিস করার কারণে বড় স্কোর হয়নি রাজশাহীর।

২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রানে থেমেছে রাজশাহী। এনামুল হক বিজয় শেষ পর্যন্ত ৩৫ বলে ৩৯ রানে আউট হয়েছেন। ইয়াসির আলি রাব্বি ২৩ বলে ২টি চার ৩টি ছয়ে ৩৭ রান করেছেন। বরিশালের হয়ে আজ দারুণ বোলিং করেছেন পাকিস্তানি পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। ৪ ওভারে ২০ রান খরচায় ২ উইকেট নিয়েছেন শাহিন। ১টি করে উইকেট নেন তানভির ইসলাম ও ফাহিম আশরাফ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

অপতথ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান সিইসির

তামিমের ব্যাটে রাজশাহীকে হারাল বরিশাল

প্রকাশের সময় : ১১:১৫:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫

স্পোর্টস ডেস্ক : 

দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে জয় দিয়ে এবারের আসর শুরু করেছিল ফরচুন বরিশাল। তবে পরের ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে হারে তামিম ইকবালের দল। তবে রাজশাহীকে সামনে পেয়ে আবারও আধিপত্য বিস্তার করল ফরচুনরা। বিশেষ করে তামিম এদিন ব্যাট হাতে প্রতিপক্ষ বোলারদের শাসন করেছেন। অধিনায়কের দুর্দান্ত ফিফটিতে আবারো জয়ে ফিরল বরিশাল।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) সিলেটে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রান সংগ্রহ করেছে রাজশাহী। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেছেন বিজয়। জবাবে খেলতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৭ ওভার ৩ বলেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বরিশাল। দলের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৮৬ রান করেছেন তামিম। তার ব্যাটেই দূর্বার রাজশাহীকে ১৫ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে হারিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

১৬৮ রানের জবাব দিতে নেমে বরিশালের শুরুটা ভালো হয়নি। নাজমুল হোসেন শান্তকে বসিয়ে একাদশে জায়গা দেওয়া ওপেনার প্রিতম হাসান ব্যর্থ হয়েছেন। ৯ বলে ৩ রান করে ফেরা প্রিতম সুযোগ পাওয়াটা কাজে লাগাতে পারেননি।

তবে তামিম ইকবাল ছিলেন অবিচল। শুরু থেকেই বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক। দ্বিতীয় উইকেটে কাইল মায়ার্সের সঙ্গে ১৫ বলে ৪১ রানের জুটি গড়েন তামিম। মায়ার্স ১১ বলে ২৪ করে ফিরলে এই জুটি ভাঙে।

এরপর তাওহিদ হৃদয় চারে নেমে নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। বড় রানের জন্য সংগ্রাম করতে থাকা হৃদয় আজ ১৪ বলে করেছেন ১৩ রান। তবে মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে দুর্দান্ত একটা জুটি গড়ে বরিশালের বড় জয় নিশ্চিত করে তবেই মাঠ ছেড়েছেন তামিম।

চতুর্থ উইকেটে দুজন ৪৫ বলে তুলেছেন অপরাজিত ৭৬ রান। মুশফিক ২৪ বলে ৪টি চার ১টি ছয়ে ৩৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। তামিম শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৮৬ রানে। ১১ চার ৩ ছয়ে এই রান করেন তামিম। মাঠ ছাড়তে ছাড়তে হয়ত একটা আপসোসও কাজ করছিল তামিমের মনে! আর কিছু রান থাকলে হয়ত সেঞ্চুরির একটা সুযোগ পেতেন! ১৭.৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য ১৬৯ রান তুলে ফেলে বরিশাল। রাজশাহীর হয়ে মহর শেখ ৩২ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন।

টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। শুরুতে বরিশালের বোলাররা অবশ্য সুবিধা করতে পারেননি। রাজশাহীকে ভালো শুরু এনে দিয়েছেন পাকিস্তানি ওপেনার মোহাম্মদ হারিস। ১৬ বলে ২২ রান করে হারিস ফিরলে দ্বিতীয় উইকেটে রানের গতি বাড়ান তরুণ জিসান আলম ও এনামুল হক বিজয়।

দ্বিতীয় উইকেটে ৩৪ বলে ৫৫ রান তোলেন দুজন। জিসান আলম ২৭ বলে ৩টি করে চার-ছয়ে ৩৮ রান করে ফিরলে এই জুটি ভাঙে। রাজশাহীর গতিও যেন সেখানে ভেঙে গেল! এরপর এনামুল হক বিজয় হঠাৎ-ই স্লো হয়ে গেলেন। মিডল অর্ডারে ইয়াসির আলি রাব্বি অবশ্য কিছুটা টেনেছেন রাজশাহীকে। তবে এনামুল হক বিজয় বারবার বল মিস করার কারণে বড় স্কোর হয়নি রাজশাহীর।

২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রানে থেমেছে রাজশাহী। এনামুল হক বিজয় শেষ পর্যন্ত ৩৫ বলে ৩৯ রানে আউট হয়েছেন। ইয়াসির আলি রাব্বি ২৩ বলে ২টি চার ৩টি ছয়ে ৩৭ রান করেছেন। বরিশালের হয়ে আজ দারুণ বোলিং করেছেন পাকিস্তানি পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। ৪ ওভারে ২০ রান খরচায় ২ উইকেট নিয়েছেন শাহিন। ১টি করে উইকেট নেন তানভির ইসলাম ও ফাহিম আশরাফ।