Dhaka শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তামিমের ইস্যুতে মুখ খুললেন সাকিব

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০১:০৩:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুলাই ২০২৩
  • ২৪৪ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

ত্রিনিদাদের পোর্ট অব স্পেনে ভারতীয় বোলারদের শাসন করে নিজের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সূচনা করেছিলেন তামিম ইকবাল। এই বাঁহাতি ওপেনার সেই ২০০৭ সালেই নিজের আগমনী বার্তা দিয়েছিলেন পুরো ক্রিকেট বিশ্বকে। জহির খানকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে হাঁকানো সেই ছয় আজও বাংলাদেশের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে দাপুটে জয়ের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। কালের বিবর্তনে তামিম ইকবাল হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশে সেরা ক্রিকেটার। তবে এই তারকাই বোর্ডের প্রতি চরম অভিমানে! বৃহস্পতিবার বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) চট্টগ্রামের স্থানীয় এক হোটেলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অবসরের ঘোষণা দেন।

প্রায় ১৬ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন তামিম ইকবাল। সিরিজের মাঝপথে তার এমন বিদায়ে দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে ঝড় বয়ে যাচ্ছে। সমর্থকদের পাশাপাশি অবাক হয়েছেন তামিমের সাবেক ও বর্তমান সতীর্থরাও।

তামিমের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদলউল্লাহ রিয়াদ, তাসকিন আহমেদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, লিটন দাসদের মতো সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটাররা।

তবে সাকিবের কাছ থেকে তৎক্ষণাৎ কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। সবাই ধরেই নিয়েছিলেন, তামিমের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো না, তাই চুপ করে আছেন সাকিব। তামিম-সাকিবের দ্বন্দ্ব ভয়াবহ, এমনটা যারা ধরে বসে ছিলেন, তাদের ভুল ভাঙলো আজ। তামিমকে নিয়ে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিলেন তার একসময়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু সাকিব আল হাসান।

সাকিব-তামিম ঘনিষ্ঠ বন্ধু, সবাই এটাই জানতেন দীর্ঘদিন। মাঝে গুঞ্জন ছড়ায়, দুজনের বন্ধুত্বে ফাটল ধরেছে, সাকিব আল হাসান আর তামিম ইকবাল পরস্পরকে এড়িয়ে চলছেন। খেলার জন্য যতটুকু দরকার, এর বাইরে দুজনকে একসঙ্গে দেখা যাচ্ছে না।

নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাকিব বলেন, ২০০৩ সাল থেকে জাতীয় দলের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৫ স্তরে আমাদের একসাথে প্রথম পথ চলা এবং আমরা গত ২০ বছর ধরে আমাদের স্বপ্ন এবং লক্ষ্যগুলি একসাথে ভাগ করে একটি দৃঢ় বন্ধন এবং বন্ধুত্ব গড়ে তুলেছি। আমরা বাংলাদেশের ক্রিকেটকে পরবর্তী স্তরে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি এবং তোমার আবেগ এবং আগ্রাসন আরও অনেককে অনুপ্রাণিত করতে সহায়তা করেছে। একই লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমরা একে অপরের শক্তির উপর নির্ভর করেছিলাম-আমাদের দেশের জন্য জয়লাভ করার জন্য।

জাতীয় দলের জার্সিতে তামিমের অর্জন প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, তোমার রান ও রেকর্ডগুলো তোমার হয়ে কথা বলবে এবং আমার সতীর্থ হিসাবে, একজন খেলোয়াড় হিসাবে তুমি যা কিছু অর্জন করেছ, তার জন্য আমরা অত্যন্ত গর্বিত।

ক্রিকেটের ২২ গজে বন্ধু তামিমকে মিস করবেন জানিয়ে বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার তার পোস্টে লিখেন, তোমার সঙ্গে আর মাঠের মাঝখানে না থাকাটা অদ্ভুত হবে। কিন্তু যখন আমরা প্রতিটি লড়াইয়ে পা রাখব, তখন তোমার আগুন আমাদের সবার ভিতরে জ্বলবে।

তামিমের অবসরপরবর্তী জীবনের জন্য শুভকামনা জানিয়ে সাকিব আরও লিখেন, তুমি তোমার নতুন জীবনে ছক্কা হাঁকাতে থাকো এবং তোমার প্রিয়জনের সঙ্গে নতুন মুহূর্তগুলো উপভোগ করো।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

তামিমের ইস্যুতে মুখ খুললেন সাকিব

প্রকাশের সময় : ০১:০৩:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুলাই ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

ত্রিনিদাদের পোর্ট অব স্পেনে ভারতীয় বোলারদের শাসন করে নিজের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সূচনা করেছিলেন তামিম ইকবাল। এই বাঁহাতি ওপেনার সেই ২০০৭ সালেই নিজের আগমনী বার্তা দিয়েছিলেন পুরো ক্রিকেট বিশ্বকে। জহির খানকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে হাঁকানো সেই ছয় আজও বাংলাদেশের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে দাপুটে জয়ের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। কালের বিবর্তনে তামিম ইকবাল হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশে সেরা ক্রিকেটার। তবে এই তারকাই বোর্ডের প্রতি চরম অভিমানে! বৃহস্পতিবার বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) চট্টগ্রামের স্থানীয় এক হোটেলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অবসরের ঘোষণা দেন।

প্রায় ১৬ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন তামিম ইকবাল। সিরিজের মাঝপথে তার এমন বিদায়ে দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে ঝড় বয়ে যাচ্ছে। সমর্থকদের পাশাপাশি অবাক হয়েছেন তামিমের সাবেক ও বর্তমান সতীর্থরাও।

তামিমের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদলউল্লাহ রিয়াদ, তাসকিন আহমেদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, লিটন দাসদের মতো সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটাররা।

তবে সাকিবের কাছ থেকে তৎক্ষণাৎ কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। সবাই ধরেই নিয়েছিলেন, তামিমের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো না, তাই চুপ করে আছেন সাকিব। তামিম-সাকিবের দ্বন্দ্ব ভয়াবহ, এমনটা যারা ধরে বসে ছিলেন, তাদের ভুল ভাঙলো আজ। তামিমকে নিয়ে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিলেন তার একসময়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু সাকিব আল হাসান।

সাকিব-তামিম ঘনিষ্ঠ বন্ধু, সবাই এটাই জানতেন দীর্ঘদিন। মাঝে গুঞ্জন ছড়ায়, দুজনের বন্ধুত্বে ফাটল ধরেছে, সাকিব আল হাসান আর তামিম ইকবাল পরস্পরকে এড়িয়ে চলছেন। খেলার জন্য যতটুকু দরকার, এর বাইরে দুজনকে একসঙ্গে দেখা যাচ্ছে না।

নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাকিব বলেন, ২০০৩ সাল থেকে জাতীয় দলের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৫ স্তরে আমাদের একসাথে প্রথম পথ চলা এবং আমরা গত ২০ বছর ধরে আমাদের স্বপ্ন এবং লক্ষ্যগুলি একসাথে ভাগ করে একটি দৃঢ় বন্ধন এবং বন্ধুত্ব গড়ে তুলেছি। আমরা বাংলাদেশের ক্রিকেটকে পরবর্তী স্তরে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি এবং তোমার আবেগ এবং আগ্রাসন আরও অনেককে অনুপ্রাণিত করতে সহায়তা করেছে। একই লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমরা একে অপরের শক্তির উপর নির্ভর করেছিলাম-আমাদের দেশের জন্য জয়লাভ করার জন্য।

জাতীয় দলের জার্সিতে তামিমের অর্জন প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, তোমার রান ও রেকর্ডগুলো তোমার হয়ে কথা বলবে এবং আমার সতীর্থ হিসাবে, একজন খেলোয়াড় হিসাবে তুমি যা কিছু অর্জন করেছ, তার জন্য আমরা অত্যন্ত গর্বিত।

ক্রিকেটের ২২ গজে বন্ধু তামিমকে মিস করবেন জানিয়ে বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার তার পোস্টে লিখেন, তোমার সঙ্গে আর মাঠের মাঝখানে না থাকাটা অদ্ভুত হবে। কিন্তু যখন আমরা প্রতিটি লড়াইয়ে পা রাখব, তখন তোমার আগুন আমাদের সবার ভিতরে জ্বলবে।

তামিমের অবসরপরবর্তী জীবনের জন্য শুভকামনা জানিয়ে সাকিব আরও লিখেন, তুমি তোমার নতুন জীবনে ছক্কা হাঁকাতে থাকো এবং তোমার প্রিয়জনের সঙ্গে নতুন মুহূর্তগুলো উপভোগ করো।