নিজস্ব প্রতিবেদক : 

তফসিল ঘোষণা হলে রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরো জটিল হবে। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির দায় নিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। তফসিল ঘোষণা করে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে ইসি। এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে, সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিএনপির সব নেতা গ্রেপ্তার ও অফিস তালাবদ্ধ রেখে তফসিল ঘোষণা, সাংঘর্ষিক আচরণ।

তফসিল ঘোষণা হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তখন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির দায় নিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। আমি মনে করি, ইসি তফসিল ঘোষণা করে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে। এটা দেশের জন্য শুভকর নয়।

তিনি বলেন, আমাদের দাবি হলো গণতন্ত্র বাচাঁন, মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করুন। এটাই আমার দাবি দলের পক্ষ থেকে। ডায়লগ নিয়ে বলা হচ্ছে, চিঠি দিয়েছে আমেরিকান অ্যাম্বাসি, সে বিষয়ে বলতে চাই কার সঙ্গে ডায়লগ হবে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে?

তিনি বলেন, ২০১৪ সালে ডায়লগ হয়েছিল না, তারা কি করেছে। নির্বাচন হয়েছিল ভোটারবিহীন। ২০১৮ সালেও ডায়লগ হয়েছিল গণভবনে সবাই গিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী নিজেও কিন্তু আশ্বাস দিয়েছিল, ওয়াদা দিয়েছিলেন যে নির্বাচন সঠিক হবে, সুন্দর হবে ও ফেয়ার হবে। কিন্তু ফেয়ার হয় নাই। তার আগের রাতে ভোট হয়ে গেছে। তারা আওয়ামী লীগ জনগণে বিশ্বাস করে না ভোটাররেও বিশ্বাস করে না এবং রাজনীতিও বিশ্বাস করে না। অতীতের ইতিহাস অনুযায়ী তাদের সঙ্গে আলোচনা করলেও আমি মনে করি এটা বৃথা যাবে। কোনো লাভ হবে না।

এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, জাতীয় পার্টির সঙ্গে বিএনপির কোনো যোগাযোগ হয়নি, যারা যার জায়গা থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এখন বিএনপির মহাসচিবসহ নেতারা জেলে। দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় তালা দেওয়া। এ অবস্থায় রেখে তফসিল ঘোষণা করা সাংঘর্ষিক আচরণ।

সংলাপ প্রসঙ্গে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগের সাথে কোনো সংলাপ নয়। এর আগেও সংলাপে কথা দিয়েছিল, কিন্তু তারা কথা রাখে নাই। সুতরাং সংলাপ ফলপ্রসূ হবে না। বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনকালীন সরকারে শেখ হাসিনাকে ছাড়া সংলাপের আলাপ হলে, তখন ভেবে দেখবে বিএনপি।

নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যু ফয়সালা, শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও ইসি পুনর্গঠন করলে সমাধান আসবে এ পরিস্থিতি থেকে বলেও জানান তিনি। আমি মনে করি বিবেকবান কোনো দল আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে যাবে না।